Advertisement
E-Paper

নয়া বিদ্রোহ

ব লতে শুরু করল বছর ১৯-এর নাজিয়া (নাম পরিবর্তিত)। ‘আমার তখন ১৩-১৪ বছর বয়স। ইদে আমার নিজের ছোটকাকা ওর মেয়ে আর আমাকে নিয়ে বেড়াতে বেরিয়েছিল।

নীলার্ণব চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০১৬ ০০:০০

ব লতে শুরু করল বছর ১৯-এর নাজিয়া (নাম পরিবর্তিত)। ‘আমার তখন ১৩-১৪ বছর বয়স। ইদে আমার নিজের ছোটকাকা ওর মেয়ে আর আমাকে নিয়ে বেড়াতে বেরিয়েছিল। ছোটকাকার মেয়ে আমার থেকে অনেক বড়। দিল্লিতে ও কী সব কাজ করত, মাঝে মাঝে আসত গ্রামে। ঘুরতে ঘুরতে ক্যানিং স্টেশন চত্বরে। ছোটকাকা এগিয়ে গেছে। দিদি আমাকে ঠান্ডা কিনে খেতে দিল। খাওয়ার পরই মাথাটা ঝিম মেরে গেল। সব দেখতে পাচ্ছি, শুনতে পাচ্ছি, কিন্তু কিছু বলতে পারছি না। দেখলাম, ট্রেনে তোলা হল আমাকে। কখন ‌যেন ঘুমিয়ে পড়লাম। জ্ঞান ‌যখন ফিরল, দেখি খড়্গপুর স্টেশনে ট্রেন দাঁড়িয়ে। আমার পাশে চারটে ছেলে, আর আমার কাকার মেয়ে। দিদিকে জিজ্ঞেস করলাম, কোথায় নিয়ে ‌যাচ্ছিস আমাকে? দিদি বলল, সব সময় দিল্লি দেখবি দিল্লি দেখবি করিস, তাই দিল্লি নিয়ে ‌যাচ্ছি তোকে। খুব তেষ্টা পেয়েছে, জল চাইলাম। ‌যে-ই জল খেলাম, মাথাটা আবার ঝিম মেরে গেল। ঘুমিয়ে পড়লাম। ‌উঠে দেখি, অচেনা একটা বড় স্টেশন। সঙ্গে তিনটে অচেনা ছেলে বসে আছে। দিদি নেই কোথাও। ছেলেগুলো হিন্দি আর মরাঠিতে কথা বলছিল। কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। জিজ্ঞেস করলাম, এটা কোথায়? এক জন দেখলাম বাংলা জানে। বলল, পুণে। খুব খিদে পেয়েছিল, আর ভয়— মাথা কাজ করছে না। খাবার চাইতে ওরা একটা কেক কিনে দিল। আর বলল, আমায় ভাল জায়গায় নিয়ে ‌যাচ্ছে। দিদি একটু বাদেই চলে আসবে। এর পর গাড়ি করে নিয়ে গেল একটা চারতলা বিল্ডিংয়ের সামনে।

‘সিঁড়ি দিয়ে উঠতে থাকলাম। এক একটা তলা উঠছি, এক একটা ছেলে কোথায় গায়েব হয়ে যাচ্ছে। দেখি পর পর ঘরে শুধু মেয়ে আর মেয়ে। বাংলাতেই কথা বলছে ওরা, আমাকে হাঁ করে দেখছিল। শুনতে পেলাম এক জন বলল, আমি নতুন চিড়িয়া। পৌঁছলাম চারতলায়। সঙ্গে তখন একটা মাত্র ছেলে। একটা ছোট ঘরে আনা হল আমাকে, সেখানে ছোট খাট। ছেলেটা হঠাৎ আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করল। আমি চিৎকার করে উঠলাম, এক ধাক্কা দিলাম ওকে। ও খিস্তি দিল। চলে গেল। তার পর দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেওয়া হল। বুঝতে পারলাম, বন্দি হয়ে গেছি।

‘সন্ধেবেলা ছোট জানলাটা খুলল। দেখি কয়েকটা মেয়ে, হিহি করে হাসছে। এক জন বলল, তোর মরণ হয় না রে! সত্যি মরে ‌যেতেই চাইছিলাম তখন। পর দিন সকালে এক বয়স্ক মহিলা এল। আমাকে কী করতে হবে বোঝাতে লাগল। শুনে বমি এসে গেল। বলে দিলাম, এ সব আমার দ্বারা হবে না, আমি নিজের ইচ্ছায় আসিনি এখানে। কয়েক দিন বোঝানোর পর কাজ না হলে শুরু হল মার। রোজ নিয়ম করে মারত। খেতে দিত না, কারও সঙ্গে কথা বলতে দিত না, গা ধুতে দিত না। তিন মাস এ রকম খালি পিটিয়ে গেছে। এক দিন এমন মারল ‌যে রক্তারক্তি, অজ্ঞান হয়ে গেলাম। আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হল। অনেক ওষুধ খেলাম, স্যালাইন টানলাম। তার পর কিছুটা সুস্থ হলে ফের ওই বিল্ডিংয়ে নিয়ে এল ওরা। আবার ওই বুড়িটা এসে আমাকে ‘ওই কাজ’ করতে বলল। এ বার ‘হ্যাঁ’ করে দিলাম। আর কত মার খাব, পারছিলাম না সহ্য করতে, তাই...

‘তার পর ওরা আমার সঙ্গে কিছুটা ভাল ব্যবহার করতে শুরু করে। এক দিন মন্দির দেখাতে নিয়ে যায়, এক দিন বাজারে নিয়ে যায়। মনে মনে তখন একটা কথা ঘুরতে শুরু করেছে, পালাতে হবে, পালাতে হবে... তাই রাস্তাঘাট ভাল করে দেখতে থাকি। কয়েক দিন পর ওদের ‌কী মনে হল কে জানে, হয়তো বুঝতে পেরেছিল ‌পালানোর কথা ভাবছি, আমাকে অন্য একটা বিল্ডিংয়ে সরিয়ে দেওয়া হল। এই বিল্ডিংটা দু’তলা। মেয়ের সংখ্যাও আগেরটার চেয়ে কম। কিন্তু সবাই এখানেও বাঙালি। কিন্তু এই তিন মাসে আমি অনেক বদলে গেছি। বিল্ডিংয়ে ঢুকেই মেয়েদের সঙ্গে আলাপ জমাতে শুরু করি। সকলের ঠিকানা জিজ্ঞেস করতে থাকি। কেউ সত্যি বলে, কেউ মিথ্যে। আমাদের জামাকাপড় ‌যে মেয়েটা ধুয়ে দিত, তার সঙ্গে খুব বন্ধুত্ব হয়ে যায়। লুকিয়ে তার থেকে ফোন নিয়ে এক দিন মায়ের সঙ্গে কথা বলি। মা হাউহাউ করে কাঁদছিল তখন। জিজ্ঞেস করল, কোথায় আছিস, বাড়ি ফিরে আয়। বললাম, ভাল আছি মা, ফিরে আসব, চিন্তা কোরো না।

‘আমার সঙ্গে আরও কয়েকটা মেয়ের ভাল আলাপ হয়ে যায়। আমি তাদের জিজ্ঞেস করতে থাকি, পালানোর কোনও পথ আছে কি না। ওরা বলে, না, না, না। জিজ্ঞেস করি, তোমাদের বাড়ি ‌যেতে ইচ্ছে করে না? ওরা বলে, না, ধুস... এই ভাবে আরও তিন মাস কাটে। আমি মেয়েগুলোকে রোজ বোঝাই, কেন পালানো দরকার। বলি, আমাদের দিয়ে এ সব করানো হচ্ছে কেন, এটা খুবই খারাপ কাজ, অন্যায়। ‌ওরা আস্তে আস্তে আমার কথায় সায় দিতে থাকে। যে সব ছেলে আমাদের কাছে আসত, তাদের অনেকেই খুব ভাল। অনেকে আবার বাইরে মরাঠি, হিন্দিতে কথা বললেও ভিতরে এসে বাংলায় কথা বলত, আমাদের কথা জানতে চাইত। ওদের মধ্যে দুজন এখানকার দুজন মেয়েকে ভালও বাসল। এক দিন ভোরবেলা ‌যখন বাইরের দরজা সবে খুলে দেওয়া হয়েছে, তখন ওই দুটো মেয়েকে নিয়ে ওই দুটো ছেলে ভাগল। ওদের পালানো দেখে মনে সাহস পেয়ে পেলাম আমরাও।

‘সে দিন সন্ধের পর থেকে প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি হচ্ছিল। মনে হল, আজই পালানোর সবচেয়ে ভাল দিন। আমার সঙ্গে ‌যেতে রাজি হয়ে গেল সাত জন। রাজি হল না চার জন। আমি রীতা বলে একটা মেয়েকে বললাম, পেটের ব্যথায় কাতরাতে থাক। আমরা মাসিকে ডাকছি। মাসিটা এলেই, তুই দৌড়ে বেরিয়ে আসবি, আর ওকে ঘরে আটকে রেখে আমরা পালাব। আর পালাতে না চাওয়া চার জনের এক জনকে বললাম, আমরা চলে গেলে দরজা খুলে দিস মাসিকে। বলবি, ঝড়বাদলের আওয়াজে তোরা আগে শুনতে পাসনি। রীতা আমার কথামত পেটের ব্যথার নাটক করল। মাসি আসতেই, ঠিক ‌যেমনটা প্ল্যান করেছিলাম, তেমনই করা হল।

‘বিল্ডিংয়ের গেটে একটা ঝানু বুড়ি সারা দিন বসে থাকত। সন্ধের পর থেকে সে মদ খেত। বৃষ্টির জন্য সে দিন বোধহয় একটু বেশিই খেয়ে ফেলেছিল। দেখলাম, দরজার সামনে লাট খেয়ে পড়ে আছে। ওকে টপকে আমরা গেট খুলে পালালাম। এই সময় বাইরে কতকগুলো ছেলে পাহারা দেয়, আমাদের ভাগ্য ভাল সে দিন কেউ সেখানে ছিল না। আমরা দৌড়তে থাকলাম। গলিটা অনেক লম্বা। গলি পেরিয়ে গিয়ে রোডে উঠলাম। দেখি একটা অটো, হাত দেখালাম, কিন্তু কাজ হল না। ঝড়বৃষ্টিতে অটোও খুবই কম আসছে। অনেক ক্ষণ দাঁড়ানোর পর ‌যেই দেখলাম আর একটা অটো, আমরা আট জন হাত ধরাধরি করে দাঁড়িয়ে পড়লাম রাস্তায়। অটোটা ফাঁকা ছিল, সবাই কোনও রকমে উঠলাম। আমাদের মধ্যে একজন মরাঠি আর হিন্দি জানত। সে ড্রাইভারকে বলল, কোথায় ‌যেতে হবে।

‘আসলে, বিল্ডিংয়ে আমাদের কাছে এক জন কাস্টমার আসত, সে পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলে। ছেলেটা খুব ভাল ছিল, বলেছিল ‌যদি কখনও পালানোর কথা ভাবি, সে সাহা‌য্য করবে। ফোন নম্বর আর ঠিকানা দিয়েছিল। সেই গ্রামটার কাছেই ‌যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল অটো ড্রাইভারটাকে। প্রায় দু’ঘণ্টা চলার পর একটা জায়গায় থামল অটোটা। তখন বৃষ্টিও থেমে গেছে। অটোঅলা আড়াই হাজার টাকা নিল। ‌আমাদের বিল্ডিংয়ে বিশাল একটা ভাঁড় ছিল, সেখানে আমাদের রোজ একশো টাকা করে দিতে হত, কয়েক দিন আগে সেই ভাঁড়টা ভেঙে ফেলি আমরা। পাঁচ হাজার টাকা পাই। সেই টাকা থেকে অটোওলাকে দিলাম। অটো থেকে নেমে দেখি, সামনে একটা দোকান। টেলিফোন বুথও আছে। বুথ থেকে ফোন করলাম ওই ছেলেটাকে।

‘দোকানদার আমাদের দোকানের ভিতরে একটা ঘরে বসতে বলল। আমরা বসে আছি, মিনিট কুড়ি গেছে। সে হঠাৎ বাইরে থেকে দরজা আটকে দিল। আমরা খুব চিৎকার করলাম। দোকানদার খুলল না, বলল, পুলিশে খবর দিয়েছে, পুলিশ আসছে। আমরা দরজায় লাথি মারতে মারতে যখন প্রায় ভেঙে ফেলেছি, তখন দোকানদার দরজা খুলল। আমরা পড়িমরি করে দৌড়লাম। খানিকটা গিয়ে আর একটা টেলিফোন বুথ থেকে ফোন করলাম। এ বার কিছু ক্ষণের মধ্যেই ছেলেটা একটা গাড়ি নিয়ে এসে গেল। আমাদের নিয়ে তুলল ওর ফুফুর বাড়িতে। দিন দুই পর শুনলাম, ছেলেটার বাড়িতে পুলিশ এসেছিল, সার্চ করেছে। কী ভাবে ‌যেন খবর পেয়েছে আমরা তার জিম্মায়। ছেলেটা বাড়ির লোকজনদের সঙ্গে আমাদের কথাও বলিয়ে দিয়েছে। ভাল জামাকাপড় কিনে দিয়েছে। টাকা দিয়েছে। তবে বলেছে, হাওড়া অবধি পৌঁছে দিয়েই তার কাজ শেষ, তার পর সে আমাদের আর চেনে না।

‘দিন পাঁচেক পর ছেলেটা আমাদের নিয়ে পুণে স্টেশনের দিকে রওনা দিল। কিন্তু স্টেশনের সামনে থেকেই ফিরে এলাম আমরা। বুঝতে পারলাম না কেন। পর দিনও একই ব্যাপার হল। তার পর দিনও। এই তিন দিন খুব টেনশনে গেছিল। ছেলেটা ফুফুর বাড়িতে আমাদের আর রাখল না, রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে বলল, আলাদা আলাদা ঘুরে বেড়াতে। বলল, রাতে এসে নিয়ে ‌যাবে। রাতে আমাদের আট জনকে আটটা বাড়িতে রাখল ও। চার দিনের দিন, পুণের পরের স্টেশন, নামটা ঠিক মনে নেই, সেখান থেকে আমরা ট্রেনে উঠলাম। ছেলেটা তখন বলল, পুলিশ পুণে স্টেশনে আমাদের ধরার জন্য জাল পেতে ছিল, গেলেই ‌যা হওয়ার হত।

‘আমরা হাওড়ায় পৌঁছলাম। ছেলেটা স্টেশনে নামিয়ে দিয়েই কোথায় চলে গেল। আমাদের সবারই কেউ কেউ এসেছিল নিতে। আমাদের আট জনের এক জন ছিল বাংলাদেশের মেয়ে। অন্যরা এ রাজ্যের নানা জেলার। হাওড়ায় এসে বুঝতে পারলাম, আনন্দ কাকে বলে।’

কথা হচ্ছিল ক্যানিং-এ বসে। ক্যানিংয়ের চারটে ব্লক থেকে নাকি প্রায় রোজ পাচার হয়ে ‌যাচ্ছে মেয়েরা। বিভিন্ন বয়সের, হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে। বহু অভি‌যোগ আজও জমা পড়ে না পুলিশের ঘরে। সামাজিক সম্মানের খাতিরে মানুষ ভয় পান। আর পুলিশও সব সময় খুব একটা কিছু যে গা করে না, সে নালিশও আছে। ‘গরানবোস গ্রামবিকাশ কেন্দ্র’ সংস্থাটি বহু দিন ধরে মেয়ে পাচারের বিরুদ্ধে কাজ করছে, নাজিয়া এখন তাদেরই সঙ্গে।

‘ও ফিরে আসার পর জীবনে এল আর এক আয়লা—’ বলে উঠলেন নাজিয়ার মা রুবিনা বিবি (নাম পরিবর্তিত)। ‘আমাদের গ্রামে আর একটা মেয়ে মিসিং হয়েছিল কয়েক বছর আগে। নাজিয়া ফিরে আসার পর সেই মেয়েটার বাবা মামলা করল ওর নামে। অভি‌যোগ, আমার মেয়ে নাকি তার মেয়েকে পাচার করে দিয়েছে।’

‘মানে, কাউন্টার কেস। এই ধরনের ঘটনায় এমন আকছার দেখা ‌যায়।’ বললেন গ্রামবিকাশ কেন্দ্রের সম্পাদক নীহাররঞ্জন রপ্তান, ‘আমি শিয়োর, নাজিয়াকে ‌পাচারের সঙ্গে ‌যারা ‌যুক্ত, তারাই এখানকার ওই মেয়েটাকে পাচার করেছে। নাজিয়া ফিরে আসায় পাচারকারীরা ভয় পেয়েছে। তাই মেয়েটির বাবাকে এই বলে চাপ দিচ্ছে, নাজিয়ার বিরুদ্ধে ‌যদি তিনি মামলা করেন, তাহলে ওঁর মেয়েকে তারা ফিরিয়ে দেবে। অবশ্য এতে ভয় পাওয়ার মেয়ে নাজিয়া নয়। ও তো এর মধ্যেই ওর নিজের কাকু আর কাকুর মেয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। কোনও চাপেই মামলা তুলে নেবে না, সেটাও জানিয়ে দিয়েছে।’

‘হ্যাঁ, ঠিকই বলছেন। আমাদের জীবন তো ছারখার করে দেওয়া হচ্ছে। নাজিয়াকে রাস্তাঘাটে হুমকি দিচ্ছে। এক বার প্রচণ্ড মার মেরেছিল ওরা ওকে, ঘরে ঢুকে। তার পর হাসপাতালে প‌র্যন্ত ‌নিয়ে যেতে দেওয়া হচ্ছিল না!’ বললেন রুবিনা। মায়ের মুখের কথা কাড়ল নাজিয়া: ‘আরও শুনবেন? আমি পোলট্রি করেছিলাম। এই ঘরেই ছিল সেই পোলট্রি। মুরগির খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়ে সব মুরগি ওরা মেরেছে। পাশে আমাদের ঘর ছিল, সেটা পুড়িয়ে দিয়েছে। এখন এই পোলট্রির ঘরেই থাকতে হচ্ছে। তবে জেনে রাখবেন, পোলট্রির ঘরে থাকছি বলে আমরা মুরগি না, এত সহজে ছাড়ব না ওদের। আমাদের দল আছে। শেষ দেখে ছাড়ব আমি। মরতে ভয় পাই না।’

nilarnab1@gmail.com

revolt
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy