Advertisement
১৯ মে ২০২৪
এগারো বছরের মেয়ের পালিয়ে আসার গল্প

‘মাওবাদীরা আমায় ধরেছিল’

মাওবাদীদের ডেরা থেকে পালিয়ে এসেছে জামটি গ্রামের বছর এগারোর কিশোরী। কী ভাবে মাইলের পর মাইল জঙ্গলের মধ্যে ছুটতে ছুটতে মাওবাদীদের হাত থেকে উদ্ধার পেল সে? মাওবাদীদের ডেরায় ওকে কী কাজ করতে হত?

ছবি:ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য

ছবি:ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য

আর্যভট্ট খান
শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০১৬ ০০:০১
Share: Save:

মাওবাদীদের ডেরা থেকে পালিয়ে এসেছে জামটি গ্রামের বছর এগারোর কিশোরী। কী ভাবে মাইলের পর মাইল জঙ্গলের মধ্যে ছুটতে ছুটতে মাওবাদীদের হাত থেকে উদ্ধার পেল সে? মাওবাদীদের ডেরায় ওকে কী কাজ করতে হত? শারীরিক অত্যাচারও কি চলত ওর ওপর? ওর মতো আরও বাচ্চা নাকি রয়েছে গুমলার এই বানালা জঙ্গলের ডেরায়? তাদের কী অবস্থা? এ সব জানতে, চলেছি জামটি গ্রামে।

হাইওয়ে থেকে গ্রামের রাস্তায় ঢুকতেই যেন ঝুপ করে দু’পাশে জঙ্গল ঝাপিয়ে পড়ল। জঙ্গল কেটে এই মাওবাদী অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার প্রকল্পে রাস্তা হচ্ছে। টিউবওয়েল বসছে। বসছে মোবাইল টাওয়ার। আমি চলেছি অজিতের মোটর সাইকেলে। ও বলল, ‘রাস্তাঘাটে বা টিউবওয়েলে আপত্তি নেই ওদের। আপত্তি শুধু মোবাইল টাওয়ারে। দেখুন মাওবাদীরা এই মোবাইল টাওয়ারটায় কিছু দিন আগেই আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’ বিভিন্ন জায়গা দেখিয়ে অজিত মাওবাদী তাণ্ডবের নানা ঘটনা বলতে থাকল। কোথায় ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে পুলিশের গাড়ি উড়েছে, কোথায় পুলিশের সঙ্গে গুলিযুদ্ধ চলেছে মাওবাদীদের, কোন জায়গায় পর পর পাঁচটা ডাম্পার পুড়িয়েছে ওরা।

জৌরি আর ঘাগরা নদী পেরিয়ে পৌঁছে গেলাম জামটি। ছড়ানো ছেটানো মাটি আর অ্যাসবেস্টসের বাড়ি। গুমটির মুদিখানা দোকান, মাটির বাড়ির লেপা উঠোনে মুরগি চরছে। কোনও কোনও বাড়ির সামনে গরু, মোষ খুঁটিতে বাধা। ঘরের উঠোনে দাঁড়িয়ে মেয়েটির মা বলে দিলেন, ‘মেয়ে বাড়িতে নেই। ও এখন বাড়িতে থাকে না। ওকে পাওয়া যাবে না। আর ওকে পাওয়া গেলেও ও কিছু বলবে না।’

ভাব জমানোর জন্য চেয়ে বসলাম এক গ্লাস জল। অজিত বলল, ‘তুমি তো আমাকে চেনো মাসি। কত বার বিষুনপুরের হাটে দেখা হয়েছে। এক জন অতিথিকে তোমাদের বাড়িতে নিয়ে এলাম। তাকে একটু চা-ও খাওয়াবে না?’ চা এল। ঘরের দাওয়ায় একটা খাটিয়া রাখা ছিল। তাতে বসতে অসুবিধা হবে ভেবে ঘরের ভেতর থেকে বেরিয়ে এল দুটো প্লাস্টিকের চেয়ারও।

মহিলা আস্তে আস্তে কথা বলতে শুরু করলেন। ‘উগ্রবাদীরা (এই এলাকার লোকেরা মাওবাদী বলে না, বলে উগ্রবাদী) তো ফরমান জারি করেই রেখেছে, গ্রামের প্রতিটা বাড়ি থেকে একটা করে বাচ্চা তাদের সংগঠনের জন্য দিতে হবে। নিজের ইচ্ছেয় না দিলে জোর করে নিয়ে যাবে। সে দিন আমাদের বাড়িতে ওরা কয়েক জন এল। বলল, রাতের খাবারটা এখানেই খেয়ে যাবে।

‘ওরা এ রকম মাঝেমধ্যেই যে কোনও বাড়িতে হানা দেয়। কখনও খেতেও চায়। তবে বায়নাক্কা নেই। শুধু মাড় ভাত খেতে দিলেও আপত্তি করে না। সে দিন অবশ্য বাড়িতে কাঁকরোল ভাজা ছিল। খেতে খেতে ওরা ফের বাচ্চা দেওয়ার কথা তুলতেই আমি আর আমার স্বামী ‘না’ বলে দিলাম। আমাদের তিন মেয়ে, দুই ছেলে। পরিষ্কার জানিয়ে দিলাম, কোনও বাচ্চাকেই দেব না।

‘ওরা এত সাহস কোথা থেকে পেয়েছে জানেন? একটা সময় এই গ্রামের লোকেরা স্বেচ্ছায় বাচ্চাদের তুলে দিয়েছে ওদের হাতে। গ্রামের মানুষরা কেউ খেতমজুরের কাজ করে, কেউ জঙ্গলে কাঠ কাটতে যায়। একটা একটা বাড়িতে চার-পাঁচটা করে বাচ্চা। একটা বাচ্চাকে উগ্রবাদীদের হাতে তুলে দিলে তার খাওয়া-পরার খরচ বেঁচে যায়। তাই বছর কয়েক আগেও বাচ্চা দিয়ে দেওয়ার রেওয়াজ ছিল এই ঘাগরা নদীর ধারের গ্রামগুলোতে। শুধু জামটি নয়, কুমারি, বোরহা, নিরাসি, বানালা গ্রামের মানুষরাও তাদের একটা বা দুটো বাচ্চা দিয়ে দিয়েছে। ওদের সংগঠন বেড়েছে। বাঘ এক বার রক্তের স্বাদ পেয়ে গেলে আর কি ছাড়ে?

‘কিন্তু এখন সময় পালটেছে। পর পর কয়েকটা বাড়িতে গিয়ে ৭ থেকে ১৪ বছরের বাচ্চার খোঁজ করুন। বেশির ভাগ বাড়িতেই পাবেন না। খেলার মাঠে বাচ্চা খুঁজুন। পাবেন না। আমরা সবাই ওদের গ্রাম থেকে সরিয়ে দিচ্ছি আস্তে আস্তে। কেউ হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করছে। কেউ আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে পড়ছে। কিছু দিন আগে গরমের ছুটিতেও আমরা বাচ্চাদের হোস্টেল থেকে বাড়িতে আনিনি। পুলিশই বলেছে, হোস্টেল থেকে বাড়িতে বাচ্চা নিয়ে এলে ফের উগ্রপন্থীদের খপ্পরে পড়তে পারে। তাই ওরা হোস্টেলেই থাকুক। আপনারা গিয়ে দেখা করে আসুন।

‘এত সব জেনেও আমার মেয়েটাকে বাঁচাতে পারিনি। ঠিকই করে নিয়েছিলাম, ওকে স্কুলের হোস্টেলে ভর্তি করে দেব। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি ঘটনাটা গেল! ওরা যে দিন আমাদের বাড়িতে খেতে এল, তার তিন দিন পর, মেয়েকে নিয়ে জঙ্গলে কাঠ কাটতে গিয়েছিলাম। সঙ্গে আমার স্বামীও। ওরা চার জন হঠাৎ জঙ্গল ফুঁড়ে বন্দুক নিয়ে হাজির। স্বামীর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে বলল, মেয়েকে না দিলে খতম! মেয়েও বলল, ‘বাবাকে মেরো না। আমাকে নিয়ে চলো।’ চোখের সামনে দেখলাম, মেয়ের চোখে রুমাল বেঁধে ওরা ওকে গভীর জঙ্গলের দিকে নিয়ে চলে গেল।’

আরও কিছু কিছু গল্প হল। কথায় কথায় মহিলা বলে দিলেন, কোন হোস্টেলে মেয়েটি এখন রয়েছে। মেয়ে যে ফিরে আসবে, ভাবতেই পারেননি তিনি। গ্রাম থেকে যে বাচ্চাদের উগ্রবাদীরা ধরে নিয়ে যায়, তাদের বেশির ভাগই ফেরে না। কেউ পুলিশের সঙ্গে গুলিগোলায় লাশ হয়ে গ্রামে ফিরে আসে। মেয়ে গ্রামে ফিরতেই ওকে এক দিনও আর রাখেননি। হোস্টেলে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

আমরা কথা দিলাম, যা শোনার তা তো শুনেই নিয়েছি, আর হোস্টেলে গিয়ে মেয়েটির সঙ্গে দেখা করব না। তার পর ওই বাড়ি থেকে বেরিয়েই, আমাদের মোটরসাইকেল ছুটল ওই হোস্টেলটার দিকে।

সেই হোস্টেলের দেখভাল করেন যে দিদিমণি, তিনি বললেন, মেয়েটি তো এখন বন্ধুদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খেতে বসেছে। ওদের খাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। হোস্টেলের একটা ছোট ঘরে লাইন করে মাটিতে খেতে বসেছে ওরা। স্টিলের থালায় ভাত, শাক আর ট্যালট্যালে ডাল। জানা গেল, আজ রবিবার বলে ডালটা স্পেশাল মেনু। খাওয়া-দাওয়া সেরে গুটিগুটি পায়ে বারান্দায় এল মেয়েটি। দিদিমণি জানালেন, ও ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হয়েছে। তবে, খুব সপ্রতিভ। বড় বয়সে ওয়ানে পড়ছে বলে তাড়াতাড়ি অক্ষরজ্ঞান রপ্ত করে ফেলেছে।

জিজ্ঞেস করলাম, ‘কী হয়েছিল সে দিন? কোথায় নিয়ে গেল তোমাকে?’

বারান্দার রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে মুখ নামিয়ে রেখেছিল মেয়েটি। দিদিমণি বলেন, ‘বল, বল, ভয় নেই। তোকে কী করতে হয়েছিল ওই চার মাস? খুব মারধর করত, না?’

মেয়েটি যে এতটা সপ্রতিভ হবে, বুঝতে পারিনি। মাথা ঝাঁকিয়ে জোর গলায় বলল, ‘না, কেউ আমাকে মারধর করেনি। ওরা আমার চোখে রুমাল বেঁধে নিয়ে গেছিল, তাই বুঝতে পারিনি কোথায় এলাম। তবে ওরা বলত, আমরা আছি বানালার জঙ্গলে। আমাকে শুধু বাসন মাজতে হত। বড় বড় ডেকচি, হাঁড়ি, কড়াই। আর ওরা যখন জঙ্গলের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেত, তখন ওদের ভারী ভারী ব্যাগ বইতে হত। ব্যাগের মধ্যে ছিল চাল, ডাল আর বড় বড় বন্দুক।’

শুধু বাসন মাজার কাজ? শুনেছি বাচ্চা মেয়েদেরও ওরা বন্দুক চালানোর ট্রেনিং দেয়? তোমায় সে রকম কিছু করতে হয়নি?

‘না। ওই তাঁবুতে ছিলাম আমাদের বয়সি চার জন মেয়ে। আর ছ’জন ছেলে। ছেলেদের বন্দুক চালানো শেখানোর জন্য নিয়ে যেত ক্যাম্প থেকে অনেক দূরে। মেয়েরা রান্না করত। আমি সব থেকে ছোট ছিলাম বলে আমাকে রান্না করতে হত না। শুধু সকালে মাঝেমধ্যে চা করতাম। অন্য মেয়েরা দুপুর আর রাতের রান্না করত। আমি শুধু বাসন মাজতাম। ওদের দলের একটা লম্বা মতো বিনুনি-বাঁধা মেয়ে আমাদের দেখভাল করত। সে খুব ভাল বন্দুক চালাতেও পারত। সে শুধু বলত, আমাদের মধ্যে থাকতে থাকতে দেখবি আমাদের মতোই হয়ে যাবি। এখানে খেতে-পরতে পারছিস। তোরা একটু বড় হলে তোদেরও বন্দুক চালানো শিখিয়ে দেব।

‘ওরা রাতদিন কেন জঙ্গলে বসে রয়েছে বুঝতে পারতাম না। বেশির ভাগ সময়ই কোনও কাজ নেই। শুধু মিটিং করে। অনেকগুলো তাঁবুর মধ্যে, মাঝের একটা তাঁবুকে ওরা বলত হেডকোর্য়াটার। সেখানে বসেই বেশির ভাগ মিটিং হত। তবে একটা জায়গায় বেশি দিন থাকত না। কিছু দিন পরে পরেই বলত, এখান থেকে এবার তাঁবু গোটাতে হবে। আর অন্য জায়গায় যাওয়া মানেই ভারি ভারি চাল, ডালের বস্তা থেকে শুরু করে বড় বড় দোনলা বন্দুক কাঁধে করে নিয়ে মাইলের পর মাইল জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া। হাতে পিঠে ব্যথা করলেও উপায় নেই। ব্যাগ বইতেই হবে।’

শুনে ভাবলাম, তা হলে জঙ্গলে চার মাস খুব একটা খারাপ কেটেছে কি ওর? দশ জন কিশোর-কিশোরী তাঁবুর মধ্যে হইহই, গল্পগুজব। কেউ বন্দুক চালানো শিখছে। কেউ শিখছে রান্না। কেউ শুধু বাসন মাজছে। পঞ্চপাণ্ডব পাহাড়ের কোলে যে হতদরিদ্র গ্রামগুলো রয়েছে, সেখানকার ছেলেমেয়েরা কি এর থেকে ভাল জীবনের স্বাদ পেয়েছে? বললাম, ‘খুব একটা খারাপ তো ছিলে না ওখানে। তবু কেন পালিয়ে এলে?’

এ বার প্রথম হাসির রেখা দেখা দিল মেয়েটির মুখে। বলল, ‘খারাপ ছিলাম না। একটু একটু করে মনও বসে যাচ্ছিল ওদের সঙ্গে। আমাদের মধ্যে যারা পড়তে জানত তাদের কী সব বইও ওরা পড়তে দিত। আর আমরা চার জন ছিলাম, যারা লেখাপড়া জানি না। ওই দিদিটা বলেছিল, আমাদেরও লেখাপড়া শিখিয়ে দেবে।’

দিদিমণি বললেন, ‘তুই এই দাদারে সব কথা খুলে বল। ভয় নেই। ওরা তোদের যে খুব মারধর করত সেগুলো বলছিস না কেন?’

মেয়েটি বলল, ‘মার হয়তো খেত কেউ কেউ। তবে আমার কপালে কখনও মার জোটেনি। খুব বাধ্য ছিলাম তো। খুব মন দিয়ে বাসন মাজতাম। একদম ঝকঝকে তকতকে হয়ে যেত বাসনগুলো। ওরা আমাকে ভালই বাসত। কিন্তু যখনই ভাবতাম মা’কে আর কোনও দিন দেখতে পাব না, খুব কান্না পেত। বিশেষ করে রাতে। মনে হত জঙ্গল থেকে পালিয়ে যাই মায়ের কাছে। ওই ক্যাম্পে আমাদের পাশের কুমারি গ্রামের একটা ছেলের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। ওকে বন্দুক চালানো শেখানোর জন্য মাঝেমধ্যে জঙ্গলে নিয়ে যেত। ও-ও খুব বাড়ি যেতে চাইত। দুজনে মিলেই ক্যাম্প থেকে পালানোর প্ল্যান করেছিলাম। ভোরবেলা উঠে একসঙ্গে বাথরুম যাওয়ার নাম করে বেরিয়েছিলাম দুজনে। আমি পালাতে পারলাম। কিন্তু ও ধরা পড়ে গেল।’

কেন? ও পারল না কেন?

‘কারণ ও গাছে চড়তে পারে না। তাঁবু ঘিরে সব সময় ওদের লোক পাহারা দিত। আমরা যখন দৌড়তে শুরু করেছি, দেখি ওদের দুজন আমাদের পেছন পেছন দৌড়চ্ছে। জঙ্গলের মধ্যে আকাবাঁকা পথে ছুটতে ছুটতে যেই একটু ওদের চোখের আড়াল হয়েছি, অমনি আমি একটা মহুয়া গাছে উঠে পড়লাম। ওকে গাছে উঠতে বলেছিলাম। কিন্তু ও পারে না। তাই ধরা পড়ে গেল। গাছের প্রায় মগডালে পৌঁছে নিশ্বাস বন্ধ করে বসেছিলাম অনেক ক্ষণ। নীচের দিকে তাকিয়ে দেখছি, ওরা আমাকে খুঁজছে। কিন্তু ওরা ভাবতে পারেনি, আমি গাছে চড়ে বসে আছি। দু’ঘণ্টা পরে যখন নেমে এলাম, ওরা চলে গেছে। তার পর অনেক ক্ষণ হাঁটলাম। কয়েক ঘণ্টা পরে, একটা গ্রাম পড়ল। দেখি কুমারি গ্রামে পৌঁছে গিয়েছি।’

এত সহজে মুক্তি? কোথায় ভেবেছিলাম সাংঘাতিক একটা থ্রিলারের মতো হবে! যাকগে, সত্যি কথা তো আর উপন্যাসের তোয়াক্কা করে না! আর আমার গল্প-ক্যাংলা মন যা-ই চেয়ে থাক না কেন, মেয়েটার জীবনে এ তো এক বিরাট অ্যাডভেঞ্চার!

ফিরতে ফিরতে ভাবছিলাম, মায়ের জন্য মনখারাপ না হলে অনিতার জীবনটা হয়তো অন্য রকম হত। কে জানে ভাল হত না খারাপ?

aryabhatta.khan@gmail.com

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Maoist
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE