Advertisement
E-Paper

ইসকুলে মুশকিলে

....

শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৪ ০০:০০

অতুল দাস। দশম শ্রেণি, নব বারাকপুর বয়েজ স্কুল

অতুল, অনেকেই টানা অনেকক্ষণ ধরে পড়তে পারে না। তারা মাঝে মাঝে ব্রেক নেয়, কিন্তু আবার পড়ায় মন বসায়। তোমাকেও তাই করতে হবে। তবে, তোমায় টিভি দেখা আর মোবাইল একেবারে বন্ধ করে দিতে হবে। প্রথম প্রথম খুব কষ্ট হবে, কিন্তু যদি পরীক্ষায় ভাল ফল করতে চাও আর বাবা-মাকে তোমার জন্য গর্ব বোধ করাতে চাও, তা হলে এটা করতে হবে।

আরও একটা কথা, দশম শ্রেণিতে ওঠার পরেই তোমার অমনোযোগ বেড়েছে। তুমি কি পড়ার বিষয়গুলি ঠিকমত বুঝতে পার? পড়তে কি তোমার ভাল লাগে? অনেক সময় পড়ার বিষয় বুঝতে পারে না বলে ছাত্রছাত্রীদের পড়ায় মন বসে না। সেটা একটু চিন্তা করে দেখো। আরও একটা কাজ করতে পারো। যখন তোমার পড়তে পড়তে উঠতে ইচ্ছে করবে, তখন মনে মনে ঠিক করবে আরও আধ ঘণ্টা পরে উঠবে। এই ভাবে প্রত্যেক বার তোমার পড়ার সময় আধ ঘণ্টা করে বেড়ে যাবে। চেষ্টা করে দেখো।

ইংরেজিতে কিছু লিখতে গেলেই ‘b’ অক্ষরটিকে ‘d’ এবং ‘d’ অক্ষরটিকে ‘b’ লিখে ফেলি। ‘p’ এবং ‘q’ অক্ষর দুটিকে নিয়েও একই বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। কী ভাবে ঠিক করব?

মেরিনা খাতুন। দ্বিতীয় বর্ষ, ইসলামিয়া হসপিটাল স্কুল অব নার্সিং, জি এন এম

মেরিনা, একটা ছড়া মুখস্থ করে নাও ‘বি’-এর মাথা ডান দিকেতে/ ‘ডি’-এর মাথা বাঁয়ে। ‘কিউ’ মশায়ের লেজ রয়েছে/ ‘পি’ তো ভোলাভালা। এই ছড়ার সঙ্গে লিখে ‘b’, ‘d’, ‘p’ এবং ‘q’ অভ্যাস করো। আশা করি ঠিক হয়ে যাবে। যেহেতু তুমি এদের তফাতটা বুঝতে পারছ, তাই তোমার dyslexia আছে বলে মনে হয় না।

আমরা চার বন্ধু রোজ টিফিন ভাগ করে খাই। কিন্তু আমাদের চার জনের মধ্যে এক জন টিফিন ভাগ করে না। আমরা ওকে টিফিন দিলেও ও আমাদের টিফিন দেয় না। কী করব?

স্বাগতা লাহিড়ী। ষষ্ঠ শ্রেণি, হোলি ফ্যামিলি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়

স্বাগতা, না হয় এক জন তার টিফিন ভাগ না করল। তোমরা তো বন্ধু, চার জনের মধ্যেই ভাগ করে নাও। ওর নিশ্চয়ই কিছু অসুবিধে আছে, তাই সে টিফিন ভাগ করে না। তোমাদের অবশ্য খিদে পাবে। সামান্য একটু বেশি টিফিন আনা যায় কি?

খামে ভরো মুশকিল

পড়াশোনা, শিক্ষক বা বন্ধুদের নিয়ে তোমার যা মুশকিল, জানাও আমাদের।
চিঠির উত্তর দেবেন সাইকো-অ্যানালিস্ট পুষ্পা মিশ্র, বেথুন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।

চিঠিতে তোমার নাম আর ক্লাস জানাতে ভুলো না। খামের উপরে লেখো:

ইসকুলে মুশকিল,

রবিবারের আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা,

৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,

কলকাতা ৭০০০০১

বিল্টুদা একটি ফ্যাক্টরিতে নাইট গার্ডের পদের জন্য আবেদন জমা দিল।

বস্‌: এই কাজে শক্তপোক্ত, কাউকে বিশ্বাস করে না, সব সময় মারমুখী লোক দরকার। আপনি তো তেমন নন।

বিল্টুদা: না স্যর, আমি আমার স্ত্রীর পক্ষ থেকে আবেদন করতে এসেছি মাত্র।

সন্তু ব্যাঙ্কে ফোন করে: আমার এটিএম কার্ড কাজ করছে না।

কর্মী: নিশ্চয়ই কার্ডটার ঠিকমত যত্ন নেননি।

সন্তু: কী বলছেন? নষ্ট হওয়ার ভয়ে আমি ওটাকে ল্যামিনেট করে রেখেছি।

anandamela iskule muskil jankalo-jokes
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy