Advertisement
০৪ মে ২০২৪

কলিকাতার অসুখ

অনেক কাল আগের ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট কলকাতাও ছিল অসুখের আখড়া। তখন কলেরা হলে পরানো হত ‘কলেরা বেল্ট’, সেরা জ্বরের নাম ছিল ‘পাকা জ্বর’।শুরুটা করা যাক আঠেরো শতকের কলকাতা শহরে আমাশা রোগের চিকিৎসা দিয়ে, সৌজন্যে জনৈক ডাক্তার গুডিভের একটি প্রবন্ধ, যার শিরোনাম বাংলায় লিখলে দাঁড়ায় ‘প্রাচ্য ভূখণ্ডে ইউরোপীয় চিকিৎসার প্রসার’, প্রবন্ধটি জানাচ্ছে ‘আমাশয় রোগীর শরীরের বল রক্ষা করা অবশ্য কর্তব্য— এই বিবেচনাময় মদ ও সসার মাংসময় খাদ্য অতীব উপযুক্ত পথ্যরূপে ব্যবহৃত হইত। এই সকল স্থলে রোগীকে ইচ্ছানুসারে পোলাও, কালিয়া, মুরগীর কাবাব ও গোলমরিচযুক্ত ‘চিকেনব্রথ’ (কুক্কুট শিশুর য়ুষ) এবং তাহার সহিত দুই এক গেলাস ঔষধ বা কিঞ্চিৎ ব্র্যান্ডি ও জল এবং প্রচুর পাকা ফল খাইতে বলা হইত।’

সুপ্রিয় বসাক
শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৪ ০১:২৮
Share: Save:

শুরুটা করা যাক আঠেরো শতকের কলকাতা শহরে আমাশা রোগের চিকিৎসা দিয়ে, সৌজন্যে জনৈক ডাক্তার গুডিভের একটি প্রবন্ধ, যার শিরোনাম বাংলায় লিখলে দাঁড়ায় ‘প্রাচ্য ভূখণ্ডে ইউরোপীয় চিকিৎসার প্রসার’, প্রবন্ধটি জানাচ্ছে ‘আমাশয় রোগীর শরীরের বল রক্ষা করা অবশ্য কর্তব্য— এই বিবেচনাময় মদ ও সসার মাংসময় খাদ্য অতীব উপযুক্ত পথ্যরূপে ব্যবহৃত হইত। এই সকল স্থলে রোগীকে ইচ্ছানুসারে পোলাও, কালিয়া, মুরগীর কাবাব ও গোলমরিচযুক্ত ‘চিকেনব্রথ’ (কুক্কুট শিশুর য়ুষ) এবং তাহার সহিত দুই এক গেলাস ঔষধ বা কিঞ্চিৎ ব্র্যান্ডি ও জল এবং প্রচুর পাকা ফল খাইতে বলা হইত।’

ইংরেজরা যে কোন অশুভ ক্ষণে যাচ্ছেতাই জায়গাটাকে ডেরা হিসেবে বেছে নিয়েছিল, চার্নকেরই মালুম। দুর্জ্ঞেয় সব রোগ, দুর্বোধ্য তার চিকিৎসা। অনেক সময় মৃত্যুর কারণ বোঝা যেত না। তাই, কারও কবরে লেখা হত মৃত্যু হয়েছে হুঁকোর নেশায়; কারও বা আনারসের মতো বিপজ্জনক ফল খেয়ে— জেমস অগাস্টাস হিকি তাঁর ‘বেঙ্গল গেজেট’-এ সতর্ক করে দিয়েছিলেন এই প্রাণঘাতী ফলটি সম্বন্ধে। অ্যাটকিনসন সাহেব একটা কবিতা লিখেছিলেন, যার মর্ম: ‘হে কলিকাতে! তখন তোমার অবস্থা কি ছিল?... তোমার অঙ্গ নিবিড় জঙ্গল ও অনিষ্টকর জলায় সমাচ্ছন্ন ছিল;... দিন প্রগাঢ় উত্তাপে জ্বলিতে থাকিত এবং তিমিরাচ্ছন্ন রজনী অতিরিক্ত আর্দ্রতা ও জ্বরসঙ্কুল শয্যা আনয়ন করিত, সায়ংকালে যে সকল পর্যটক সজীব ছিল, প্রভাতে তাহারা জীবনশূন্য হইত।’

জ্বর হলে, রোগীর শরীরের শিরা কেটে রক্ত বার করে দেওয়া হত। যত ক্ষণ না ডাক্তার মনে করতেন শরীর থেকে সমস্ত দূষিত রক্ত বেরিয়ে গেছে, তত ক্ষণ জারি থাকত এই আসুরিক চিকিৎসা। এ ভাবে দেহের সিংহভাগ রক্ত খুইয়ে রোগী যখন পঞ্চত্বপ্রাপ্তির দোরগোড়ায়, তখন তাকে বিভিন্ন পথ্য গেলাবার প্রাণপণ চেষ্টা হত, বেচারার বদরক্ত-বর্জিত শরীরে চটজলদি তাজা শোণিত উৎপাদন করতে। এক বার কল্পনা করুন সে দৃশ্য: অন্তিম লগ্ন আগতপ্রায়, রোগীর হেঁচকি উঠছে, আর আত্মীয়স্বজন আকুল হয়ে তার মুখে জোর করে ঠেসে দিচ্ছে রকমারি সুখাদ্য। যমে-মানুষে টানাটানির পর রাতটা কোনও মতে পোহালে, সকালে তাকে গেলানো হত ক্যাস্টর অয়েল!

ন্যাবা (রক্তাল্পতা) রোগের চিকিৎসাও হত একই পদ্ধতিতে। একটা ইংরিজি খবরকাগজে একটা সরস ব্যঙ্গকবিতা বেরিয়েছিল, তার মর্মার্থ এই গোছের: ডাক্তার নাকি পাঠকের স্ত্রীর মাথাব্যথা হলেও ‘শূকর-ঘাতক কসাইয়ের মত অবিলম্বে রোগিণীর শরীরে ল্যান্সেট বসাইয়া দিবে।’ পরের অংশে সেই কবিতা এও বলছে: ‘আজ যদি গ্রীকদার্শনিক প্লেটো বাঁচিয়া থাকিতেন, তাহা হইলে ভারতবর্ষের কোন কোন ডাক্তারকে দেখিয়া হাসিতে হাসিতে তাঁহার পেটের নাড়ী ছিঁড়িয়া যাইত; যদি তোমার মাথার খুলি ভাঙ্গিয়া গিয়া থাকে, তাহা হইলে উহারা বলিয়া বসিবে, ওটা পিত্তের দোষ এবং খুব গম্ভীরভাবে ভয়ঙ্কর মুখভঙ্গি করিয়া এবং অতি সুতীক্ষ্ন দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া ঘোড়ার উপযুক্ত একতাল জোলাপ এবং ক্ষারময় বটিকা দিবে।’

ইংরেজ ক্যাপ্টেন হ্যামিলটন জানিয়েছেন, ১৭০০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় ১২০০ ইংরেজ ছিল। কিন্তু, পরবর্তী জানুয়ারির মধ্যে ৪৬০ জনের ভবলীলা সাঙ্গ হয়। এই সাহেবই হাসপাতাল প্রসঙ্গে বলেছিলেন, অনেক রোগীই সেখানে প্রবেশ করে বটে, কিন্তু অতি অল্পই জীবিত অবস্থায় বেরিয়ে আসে। রাশিবিজ্ঞান জানান দিচ্ছে, অবস্থা আজ ৩০০ বছর পরেও বদলায়নি!

শোনা যায়, ওলন্দাজরা (যারা সযতনে এ জায়গাটাকে এড়িয়ে কুঠি ফেঁদেছিল চুঁচুড়ায়) কেউ কেউ নাকি কলকাতাকে ডাকত ‘গলগথা’ নামে, যার মানে মড়ার খুলি, বা খুলিভর্তি জায়গা। মনে রাখতে হবে, যিশুকে যেখানে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল, সেই পাহাড়ের নাম ছিল গলগথা। সেই থেকে, মহা দুর্দশার জায়গা বোঝাতে এই কথাটা ব্যবহার হয়। শুধু ওলন্দাজদের দোষ দিয়ে অবশ্য লাভ নেই। কারণ, ‘...বঙ্গদেশ মোগল ও অন্যান্য বৈদেশিকগণের স্বাস্থ্যের প্রতিকূলরূপে বিবেচিত হইত; সেই জন্য যে সকল কর্মচারী রাজার বিরাগভাজন হইত, তাহারাই বঙ্গদেশে প্রেরিত হইত। সুতরাং এই উর্বর ভূখণ্ডে চিরবসন্ত বিরাজমান থাকিলেও, ইহা অন্ধকারময় কারাগার, প্রেতভূমি, ব্যাধিনিকেতন ও যমালয় স্বরূপে পরিগণিত হইত।’

ওলাওঠা বা ম্যালেরিয়ার মতো রোগ— যেগুলোতে আকছারই মানুষ মরত— কেন হত, তার কারণ জানা ছিল না। কলেরা হলে রোগীকে এক ধরনের বেল্ট পরানো হত, নাম ছিল ‘কলেরা বেল্ট’। গরিব মানুষ চিকিৎসার খরচ কুলিয়ে উঠতে পারত না; তারা নিরুপায় হয়ে হত্যে দিত দেবদেবীর থানে। ঝাড়ফুঁক, তাবিজ, কবচ, বাঘের গোঁফ, ভালুকের লোম, যে যে-ভাবে পারত চিকিৎসা শুরু করে দিত।

গাদা গাদা রোগ তো ছিলই, জ্বরেরই ছিল কত রকমফের: কালাজ্বর, পিত্তজ্বর, ম্যালেরিয়া, বর্ধমান ফিভার, আরাকান ফিভার, সান্নিপাতিক, আর ছিল ‘পাকা জ্বর’। বস্তুটি ঠিক কী সেটা জানা না গেলেও ‘এই জ্বর রোগে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রোগীরা শমনভবনে গমন করিত।’ কুষ্ঠ ও অন্যান্য দুরারোগ্য ব্যাধিকে বলা হত ‘ফিরিঙ্গি রোগ’; ছিল গোরাসাহেবদের আনা যৌন রোগও, সঙ্গে রোগমুক্তির হরেক নিদান। গুপ্তরোগের চিকিৎসায় সে-কালে এ-কালে তফাত এটাই, আগে তা ছিল চুপিচুপি, ফিসফাস; এখন সেখানে হ্যান্ডবিলে হ্যান্ডবিলে হাতুড়েদের হাস্যমুখ ছয়লাপ।

লোকে অবশ্য শুধু মহামারী-মড়কে মরত তা নয়, ভূমিকম্প, ঝড়ের তাণ্ডব, লড়াই, নৌকাডুবি, সাপে কাটা, বাঘে খাওয়া, কিছুরই খামতি ছিল না। ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে ঘোড়ার গাড়ির তলায়ও যেত দু-চারটে উটকো লোক। অনাহারে, অর্ধাহারে মৃত্যু তো চিরন্তন ফেভারিট। আর এ শহরের জলবায়ু তো জন্ম-ইস্তক জীবাণু-বান্ধব। গ্রীষ্মে ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস; ঘামাচির জ্বালায় অতিষ্ঠ ইউরোপীয়রা তার নাম দিয়েছিল ‘রেড ডগ’, আবার ‘ফায়ারি পিম্পল’-ও বলত অনেকে। বর্ষাকালের অবস্থাও বিতিকিচ্ছিরি, চারিদিক স্যাঁতসেঁতে, মেঠো রাস্তা থকথকে কাদার নদী, কোনটা ডাঙা আর কোনটা পানাপুকুর বোঝাই দুষ্কর।

নেটিভ টাউন কেবল নামেই। পাকা রাস্তা বলে কিছু নেই। পাকা নর্দমা নেই, সর্বত্র দুর্গন্ধ। যানবাহন বলতে গরুর গাড়ি ছাড়াও ছিল হাতি, উট, ঘোড়া। তাদের বিষ্ঠা ও পচা শবের দুর্গন্ধে টেকাই দায়। মশা ছিল মারাত্মক, তাদের বয়ে নিয়ে আসা হাবিজাবি রোগও অসংখ্য। তবে, সন্ধেবেলা যখন উনুনের ধোঁয়ায় ধোঁয়ায় নেটিভপাড়া একাক্কার, তখন নচ্ছারগুলোর দৌরাত্ম্য থেকে সাময়িক রেহাই মিলত। এতে মশককুলের অবশ্য কাঁচকলা, তারা পালিয়ে ভিড় জমাত সাহেবপাড়ায়। পৃথিবী জয় করে আসা ফিরিঙ্গিরা খুদে পোকামাকড়ের কাছে কুপোকাত।

সে কালে ভাল ডাক্তার-বদ্যি তেমন মিলত না। পাদ্রি জেম্স লং-এর আমলে শহরে দুজন ভাল ডাক্তার ছিলেন। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি— ‘জন কোম্পানি’ও বলত লোকে— তাঁদের বছরে আড়াইশো পাউন্ড মাইনে দিয়ে পুষত, যাতে কোম্পানির সেবা করতে এ দেশে আসা সাহেবসুবো অকালে মরার আগে ন্যূনতম চিকিৎসাটুকু পায়। সঙ্গে ছিল উপরি, সাবেক জবানিতে বলা হত দস্তুর, দস্তুরমত নজরানা নিতেন ডাক্তারেরা। আর্থিক সামর্থ্যে কুলোলে নেটিভদেরও পছন্দ ছিল গোরা ডাক্তার; তবে কিনা, তাঁদের অধিকাংশই ডাক্তার ছিলেন না, ডাক্তারি না জেনেও অনেক সাহেব এ শহরে চেম্বার খুলে বসে পড়তেন। প্র্যাকটিস দিব্যি জমে উঠত, বোধহয় তাঁদের গায়ের রঙের মাহাত্ম্যেই নেটিভদের আদ্ধেক রোগ পালাত!

অষ্টাদশ শতকের শেষ দশকে এক ডাক্তার বিলেত থেকে কলকাতায় নেমেই বিজ্ঞাপন দিলেন: ন্যাচারাল ফিলজফি ও কেমিস্ট্রি সম্বন্ধে তিনি গোটা পঁচিশেক বক্তিমে প্রদান করিবেন, দক্ষিণা মাত্র দশ মোহর। অনেকে গ্যাঁটের কড়ি খরচা করে সে-সব সেমিনার অ্যাটেন্ড করলেন, ব্যস, তাপ্পরে আদাজল খেয়ে লেগে পড়লেন প্র্যাকটিসে। গুটিকয় ভাষণ শুনেই তাঁরা ডাক্তারিশাস্ত্রে সবিশেষ পারদর্শী হয়ে উঠেছেন!

ডাক্তাররা পালকি চড়ে রোগীর বাড়ি যেতেন, বেহারাদের ভাড়া মেটাতে হত রোগীর বাড়ির লোককেই। সাধারণ রোগের দক্ষিণা ছিল চৌষট্টি সিক্কা টাকা, শুনেই রোগীদের হিক্কা; তবে চমকাবেন না, এ তো গেল সবে ডাক্তারবাবুটির রোগীগৃহে পদধূলির দক্ষিণা, এর পরে রোগের গুরুত্ব বুঝে চিকিৎসা হত কন্ট্রাক্ট বেসিসে। ওষুধের দাম ছিল আকাশছোঁয়া। জন কোম্পানি পুরনো কেল্লায় (জেনারেল পোস্ট অফিসের জায়গায় থাকা যে কেল্লা কলকাতা আক্রমণের সময় ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন নবাব সিরাজদৌল্লা) একটা ওষুধের দোকান খুলেছিল। সেখানে ম্যালেরিয়ার ওষুধ বার্ক-এর দাম ছিল আউন্স প্রতি তিন টাকা, একটা বেলেস্তারা দু’টাকা। খেয়াল রাখবেন, যে সময়ের কথা বলছি, তখন মাত্র পঁচিশ টাকা দামের ঘড়ি চুরির জন্যে ব্রজমোহন নামে এক জনের ফাঁসি হয়েছিল।

সে কালে অনেক ডাক্তার বিশ্বাস করতেন বঙ্গদেশের ম্যালেরিয়ায় জোয়ার-ভাটার প্রভাব অনস্বীকার্য। এক সবজান্তা ডাক্তারবাবু দাবিও করেছিলেন, ভাটার সময় হিসেব করে কোন রোগী কবে ইহলোকের মায়া ত্যাগ করবে তা বলে দিতে পারেন! কলেরাতে বেল্ট ছাড়াও দেওয়া হত ‘বমনকারক ঔষধ, অহিফেনঘটিত নিদ্রাকারক ঔষধ, অ্যামোনিয়া দ্রব্য ও জল।’ আর একটা চিকিৎসাও বেশ ফলপ্রদ ছিল। বিশেষ কিছু নয়, তপ্ত লোহা দিয়ে গোড়ালিতে সামান্য ছ্যাঁকা ও গোলমরিচের সঙ্গে কাঁজি— পান্তাভাতের টোকো জল— খাওয়ানো। এ ছাড়া, রোগীকে গরম জলে আকণ্ঠ ডুবিয়ে তার বাহু থেকে রক্তমোক্ষণ করানো হত।

ইংরেজদের মধ্যে ‘টু মনসুন্স’ কথাটা প্রচলিত ছিল। মানে, নতুন সাহেব-মেম জাহাজ থেকে নেমে চন্দ্রপাল (চাঁদপাল) ঘাটে পা রাখার পরে তাঁদের আয়ুর সীমাকাল মাত্র দুটি বর্ষা। এর মধ্যেই কবরের মাটি নিত অধিকাংশ শ্বেতাঙ্গ। সাত সাগর পাড়ি দিয়ে ছেলেছোকরারা আসত চটজলদি টাকা কামানোর ধান্দায়; যুবতী মেয়েরা আসত বড়লোক স্বামীর খোঁজে। তারা অনেকেই গিয়ে মিলত গোরস্থানে।

শুধু সাহেবরা নয়, যে সব পশ্চিমি সেপাই কোম্পানির বাহিনীতে চাকরি নিয়ে কলকাতায় আসত, আক্ষেপ করত তারাও—দাদ হোয়, খাজ হোয়,/ আর হয় হৌহা/ কলকাত্তা নাই যাও/ খাও মৌহা। তা সত্ত্বেও, তখন এ ছিল দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর, কালক্রমে রাজধানী। ফলে, মৌহা না খেয়ে তারা বরং কলকাতাতেই আসত। বিরাম ছিল না লোক আসার। বিরাম ছিল না রোগের, মৃত্যুরও। আর বিরাম ছিল না তার প্রতি উদাসীন থেকে দিব্যি ফুরফুরে মেজাজে নিজের আখের গুছিয়ে নেওয়ার। কলিকাতা আছে কলিকাতাতেই।

esbee13@yahoo.com

নিবন্ধের সব উদ্ধৃতি নেওয়া হয়েছে এই বই থেকে: রাজা বিনয়কৃষ্ণ দেববাহাদুর লিখিত ‘দ্য আর্লি হিস্ট্রি অ্যান্ড গ্রোথ অব ক্যালকাটা’ অবলম্বনে সুবল চন্দ্র মিত্র সংকলিত ‘কলিকাতার ইতিহাস’। প্রকাশক জে এন চক্রবর্তী অ্যান্ড কোং

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

supriyo basak rabibasariya
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE