খিদে পেলেই ‘পিক পিক’
আমার মামার বাড়ির উঠোনের পাশে বুড়ো শিউলি গাছটায় বুলবুলি পাখিতে বাসা বেঁধেছে। সেই বাসাতে ডিম ফুটে দুটো বাচ্চা হয়েছে। বাচ্চাগুলো খিদে পেলে মুখ ওপর দিকে করে ‘পিক পিক’ করে আওয়াজ করে। মা ও বাবা বুলবুলি মাঝে মাঝে এসে ওদের মুখের মধ্যে পোকামাকড় দিয়ে চলে যায়। ওদের মা ও বাবা সব সময় ওদের পাহারা দেয়। যখন কাঠবিড়ালীটা শিউলি গাছের গুঁড়িতে উইপোকা খেতে আসে, তখন ওদের মা-বাবার রাগ দেখে কে, রাগে গায়ের লোম ফুলিয়ে ছোট্ট বলের মতো চেহারা বানিয়ে দু’জনে মিলে পালা করে কাঠবিড়ালীকে ঠুকরে ঠুকরে বাগানছাড়া করে। ওদের ভয়ে এঁটোকাটা খেতে কোনও কাক আসতে পারে না। এলে তাদেরও ওরা দু’জন মিলে বাগান ছাড়া করে। কিন্তু বাড়ির কাউকে কিছু করে না। প্রতি শনিবার হলেই আমি ওদের দেখার জন্য মামার বাড়ি চলে আসি।
রৌশানী মুখোপাধ্যায়। দ্বিতীয় শ্রেণি, লরেটো ডে স্কুল, লেনিন সরণি
সুখের বিছানা
আমাদের বাড়ির দোতলার বারান্দায় শীতের সময় পুরনো জাজিমের মধ্যে একটি বিড়াল প্রতিদিন ঘুমোতে আসত। আর ওখানেই থাকে আমার সমস্ত খেলার জিনিস। তাই মা ভাবল বিড়ালের লোম যদি খেলনায় মিশে থাকে আর যদি ভুলবশত পেটে চলে যায় তবে বিপদ ঘটবে। তাই মা ওখান থেকে জাজিমটা সরিয়ে কাজের মাসিকে দিয়ে দিল। সে দিন রাতে যথারীতি বিড়ালটা ঘুমোতে এল। এসে দেখে কনকনে শীতের রাতে সুখের বিছানাটা নেই। অনেকক্ষণ ধরে মিঁউ মিঁউ করে ঘুরে বেড়ালো। তার পর এক সময় ক্লান্ত হয়ে চলে গেল। বেশ কিছু দিন তাকে দেখা গেল না। হঠাৎ এক দিন স্কুলে যাওয়ার সময় দেখি অনেকগুলো বাচ্চা নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছে। ঠিক যেমন করে আমার মা আমাকে ও দাদাকে সামলে নিয়ে যায়।
অভিক দাস। দ্বিতীয় শ্রেণি, আত্রয়ী ডি এ ভি পাবলিক স্কুল, বালুরঘাট
নজরদার
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা, অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ,
বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও,
চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের। খামের উপরে লেখো:
নজরদার, রবিবারের আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০০১
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy