Advertisement
০২ মে ২০২৪

মা, চাউ খাব না, ঘুষ খাব!

বাচ্চা অবধি ঘুষ খেতে চাইছে, চাদ্দিকে সব আংকল-আন্টিই খেলে সে পিছিয়ে থাকবে কেন? আপনিও নিয্যস চাইছেন। ঘুষের অব্যর্থ টিপ্স।ছিঁচকে ঘুষ নিয়ে হাত গন্ধ করে লাভ কী? গুচ্ছের ডিও কিনতে হবে। এমন মক্কেল পাকড়ান, যেই না আপনি সন্ধেবেলায় বোর হয়ে বাদাম চিবোতে চিবোতে ফোন করবেন, ‘অ্যাই, লাখবিশেক ছাড় তো!’ অমনি সে ‘আসুন স্যর, বসুন স্যর, খাট পেতে দিই, ঘুষ বেড়ে দিই, খাবেন স্যর!’ বলে টাকার মেগা-বস্তা নিয়ে আপনার পায়ে সাষ্টাঙ্গে উপুড়। এমন একখান গোমুখ্যু ‘অ্যান্টি-রবিনহুড’ তো সহজে মিলবে না (যে গরিবের পয়সা কেড়ে বড়লোকদের বিলোবে আর নিজে ফতুর হয়ে দাড়ি চুলকোবে)!

ছবি: সুমন চৌধুরী

ছবি: সুমন চৌধুরী

অনেকে মিলে
শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:০৫
Share: Save:

গোমুখ্যু মক্কেল বাছুন

ছিঁচকে ঘুষ নিয়ে হাত গন্ধ করে লাভ কী? গুচ্ছের ডিও কিনতে হবে। এমন মক্কেল পাকড়ান, যেই না আপনি সন্ধেবেলায় বোর হয়ে বাদাম চিবোতে চিবোতে ফোন করবেন, ‘অ্যাই, লাখবিশেক ছাড় তো!’ অমনি সে ‘আসুন স্যর, বসুন স্যর, খাট পেতে দিই, ঘুষ বেড়ে দিই, খাবেন স্যর!’ বলে টাকার মেগা-বস্তা নিয়ে আপনার পায়ে সাষ্টাঙ্গে উপুড়। এমন একখান গোমুখ্যু ‘অ্যান্টি-রবিনহুড’ তো সহজে মিলবে না (যে গরিবের পয়সা কেড়ে বড়লোকদের বিলোবে আর নিজে ফতুর হয়ে দাড়ি চুলকোবে)! কাগজে অ্যাড দিন, ‘উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ চিটফান্ডের মালিক পাত্র চাই।’ আলাপ হয়ে গেলে বলুন, অ্যাডটা রসিকতা, আসলে আমি টাকা চাই, বদলে বন্দোবস্ত করছি: টিভি চ্যানেলে তোমার বাইট হপ্তায় ষোলো বার, আট বার পক্ষে, আট বার বিপক্ষে। মিডিয়া শুনলেই এদের লাল পড়ে, ওয়াল-ম্যাগে ছড়া বের করে দিলেও সোনার লকেট প্রণামীর থালায় ঠং। আপনার বাবাকে উইগ পরিয়ে এক দিন নিয়ে যান, আলাপ করিয়ে দিন ওবামা-র কাকা হিসেবে (উনি যেন মাঝেই মাঝেই ‘শিট!’ বলে চেঁচিয়ে ওঠেন, বাঙালির কাছে ওটাই সাহেবিয়ানার ইনডেক্স), আর বলুন, ‘হোয়াইট হাউসের খবরকাগজটা আপনার নামে করে দিচ্ছেন ইনি, কিন্তু ডলারে পেমেন্ট চাই।’ অন্য দিনের চেয়ে ষাট বস্তা বেশি টাকা নিয়ে বেরিয়ে আসুন (ডলার এখন প্রায় ষাট যাচ্ছে)!

পাবলিক প্লেসে ঘুষ খান

বলি-টলির ছবির কুশিক্ষা: ঘুষ খাওয়ার ভেনু মানেই শুনশান কনফারেন্স রুমের আলিশান সেক্রেটারিয়েট টেবিল বা মাইলকে মাইল গাড়ি চালিয়ে অ্যাট লং লাস্ট পৌঁছনো বাঁশবন। কিন্তু দাদা, বোর্ড রুমের দেওয়ালেরও কান আছে, আর বাঁশবনেও টিকটিকি। চুপি চুপি নির্জন পাহাড়ি বাংলোতে সেঁধিয়ে বা সাবমেরিন চেপে সমুদ্দুরের খোঁদলে ঘুষ খাবেন না, ওটা বোকার কাজ, নিরিবিলিতে ঘনঘটা সব্বার নজরে পড়ে। ঘুষ খান প্রকাশ্য দিবালোকে এবং পাবলিক প্লেসে। ঘুষদাতাকে ডেকে নিন শ্যামবাজার বা পার্ক সার্কাসে। ২৪x৭ জনতা কিলবিল, বাস-অটো-ট্যাক্সি তেড়ে হর্নাচ্ছে, সাত আর পাঁচমাথার কোন মুড়োটা ওয়ান-ওয়ে আর কোনটাতেই বা সিগনাল গ্রিন সেই নিয়ে হকার-লস্যিওয়ালা-গোলাপি চুড়িদার-ট্রাফিক পুলিশ কাঁইমাই, আর এত সবের মধ্যে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকে করুণ কণিকা। এই জম্পেশ জগাখিচুড়ির তরঙ্গে আপনার কোরাপশন বুদ্বুদের মতো মিলিয়ে যাবে। সিবিআই যদি ধরেও, সাক্ষী হিসেবে দু’বছর আগে বারো তারিখ সন্ধেয় রাস্তা-পেরোনো চকিত চারফুটিয়াকে খুঁজবে কেমনে?

ভায়া মিডিয়া খাবেন না

কারণ ভায়ারা সন্দেহজনক। উৎকোচশাস্ত্রের কোচ বার বার বলেছেন, কাউকে কভু লাই দিতে নেই, করিসনেকো বিশ্বেস। মানছি আপনার নফর-শোফার অঢেল, কিন্তু তাই বলে আপনি ল্যাদ খেয়ে লেপ টেনে নিদ্রা গেলেন আর ড্রাইভারের ওপর হুকুমের চাবুক আছড়ালেন, ‘অয়, অন্ধকার ঘনালেই সেনবাবুর আপিস থেকে টাকাভর্তি লাড্ডুর বাস্কোগুলো এনে ভাঁড়ারে তুলে রাক্বি’— ওইখানেই কবি ভ্যাঁ করে কেঁদে ফেললেন। আরে, আপনার অধস্তনরা তো প্রভুভক্ত হনুমান নয়, রক্তমাংসের হিউম্যান। পেছনে ছুরি মারবে বলে মুখিয়ে আছে। সময় থাকতে সন্দেহ শিখুন। প্রো-অ্যাক্টিভ হোন, এগিয়ে যান, পার্সোনালি ঘুষ খান। ঘুষ, প্রাতঃকৃত্য, পরকীয়া, এ সব নিজে করতে হয়, অ্যাসিস্ট্যান্ট দিয়ে হয় না। সিবিআইয়ের সামনে আপনার মোসাহেবরা ‘ওরাল ডায়েরিয়া’-র তোড়ে আপনার নামে সব গপ্পো গড়গড়িয়ে উগরে, সাজানো বাগান শুকিয়ে, ব্যাঁকা স্মাইল আর টুইটারে স্মাইলি দিয়ে বেরিয়ে যাবে।

শীতকালে ঘুষ খান

কিন্তু, একা একা সব টাকা ক্যারি করার একটা গাবদা মাইনাস পয়েন্ট আছে। কে ব্যাটা কোথায় মোবাইলে ক্যামেরা টিপে আপনার দিকে তাক করে বসে আছে, আপনি বালতি বাক্স সুটকেস ট্রাংক নিয়ে টাকা কালেকশন করছেন দেখে একেবারে নচিকেতার স্টাইলে চোর চোর চোওর চোওওর বলে সমস্বরে চিৎকার করতে থাকবে। উপায় হল শীতকাল। তেড়ে জামাকাপড় টুপি মাফলার গামবুট পরে ইংরেজ হোন। বা চাদর জড়িয়ে জমিদার সাজুন। টাকাগুলো কোট-জ্যাকেট-শালের অন্দরে, মাথার হনুমান টুপির ভিতরে, পায়ের মোজার মধ্যিখানে গঁদ দিয়ে আটকে নিন বা ছুঁচ সুতো দিয়ে সেলাই করে ফেলুন (ভাল করে আটকালে, যেখানে সেখানে ওয়ার্ডরোব ম্যালফাংশন হয়ে অর্থ অনর্থ করে দেবে না)। এ বার ওই টাকার গরম জামা পরে, দিব্যি ফুলে-ফেঁপে রসগোল্লাটির মতো বেরিয়ে আসুন। লোকে আপনার হঠাৎ হাতি হয়ে যাওয়া নিয়েই পিএনপিসি করতে থাকবে, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ফোকাসটা সরে যাবে।

সিঙ্গাপুর নয়, বারুইপুর যান

ঘুষ খেয়ে বড়লোক হয়ে যাওয়ার পরের মোমেন্ট থেকে মন নিশপিশ: ভায়রাভাই ও পড়শির ফানুসে পিন ফোটাব! এ চুলকুনি থামান। বাথরুমে নয়া টাইল লাগান, কিন্তু কমোডে টুনিলাইট ঝোলাবেন না। বারান্দায় হিরের জাঙিয়া শুকোতে দেওয়ারও দরকার নেই। সবচেয়ে জরুরি অবশ্য, পাড়ার পুজোয় কেষ্টবিষ্টু না সেজে বসা। যা চাঁদা দিতেন, তা-ই দিন, বরং একটু গাঁইগুঁই করুন, সোমবার ফের আসতে বলুন। কিন্তু যদি ইগো ফসকে প্যান্ডেলের সতেরোশো ঝাড়বাতি আর অষ্টমীর হোলনাইট জলসার মুম্বইশিল্পীর কড়কড়ে রোকড়া আপনার ট্যাঁক থেকে খসিয়ে পাড়াশ্রী খেতাব চান, তা হলে সিবিআই যখন আপনার বাড়ির ইমপোর্টেড কলিংবেলটি ঘন ঘন টিপবে, আমাদের দোষ দেবেন না। বুঝতে শিখুন, কোথায় টাটা সাজবেন, কোথায় বাই বলবেন। অডি-পোর্শে এখন থাক, কাজের লোককেও ন্যানো কিনে দেওয়ার দরকার নেই। ও এমনিই বাজার যাক। আপনি বরং একটা অটো কিনে ফেলুন। খরচাও কম, সব গলিতে ঢুকতেও পারবে। শান্তিনিকেতনে অবশ্যই পাঁচতলা বাগানবাড়ি হাঁকান, সেক্সি বাইজিও আনবেন খুঁজেপেতে, কিন্তু কলকাতা থেকে রিকশা চড়ে যান। রিকশাওয়ালা হাঁ করে তাকালে বলুন, ‘চল না বাবা, খুশি করে দেব। তা ছাড়া, শক্তিগড়ে ল্যাংচা হল্ট তো দেবই, পেট ভরে খাস’খন!’

ক্লাবকে ভেট দিন

ঘুষের ঢিপি থেকে লাখ কয়েক সরিয়ে রাখুন পাড়ার ক্লাবের জন্য। বচ্ছর বচ্ছর শাঁসালো নগদ হাতে ধরিয়ে দিন, 4K টিভি গিফ্ট দিন, ‘ছি, এই ডিম আলোয় তোমরা ক্যারম খেলছ? দামাল ছেলেদের চালশে গজাবে যে!’ বলে ফ্লাডলাইটের ব্যবস্থা করে দিন। সারা দিন পাড়ার লোকের টাক সার্ভে করে হাই চাপবে কেন, মাঝে মাঝে তো যুবসমাজের দিঘা বা মন্দারমণির বালুকাবেলা মাপতেও ইচ্ছে করে, আপনিই বকেঝকে পাঠান। পুরো ট্রিপ স্পনসর করুন। ওরা আপনাকে পাইকারি পেন্নাম বিলোবে, রাস্তায় কাদা জমলে আপনাকে পাঁজাকোলা করে পার করে দেবে, আপনার অ্যালসেশিয়ানের এঁটুলি বেছে দেবে। কিন্তু আপনার ইনভেস্টমেন্টটা অন্য কারণে। সিবিআই যদি আসে, তাদের প্রাথমিক একটা থ্রেট বা পেটানি তো দিতে হবে। যদি তাতেও চিঁড়ে না ভেজে, আপনাকে ওই শয়তানদের দফতরে হাজিরা দিতেই হয়, তখন ‘আমাগো দাদা হেভি সৎ, এই আমাদের বাঁধা গৎ’ স্লোগানিয়ে মুঠো ছুড়বে কে? সিবিআই-এর গাড়ি অবরোধ করে সারা শহর জ্যামিয়ে হুজ্জুত করবে কে? কোর্টে আপনাকে নামানো মাত্র দাঙ্গা বাধিয়ে উকিলকে খিস্তি মেরে আপনার কেসটা মহান গণতন্ত্রে ও জঙ্গি বিপ্লবে বর্ডার দেবে কারা? ক্লাব। ইংরিজিতে ক্লাব মানে গদা, জানেন তো?

টুইটারে লিখুন, Ate ঘুষ, happy.

‘কেউ যেন ঘুণাক্ষরেও টের না পায় যে ঘুষ খেয়েছ’, এ ধারণা এখন বোরিং পাস্ট। সোশাল নেটওয়ার্কে সবাইকে সদর্পে জানিয়ে ঘুষ খান। ঘুষ-বান্ডিল হাতে নেওয়ার মুহূর্তের সেল্ফি তুলে পোস্ট করুন ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে, ‘দ্যাট মিলিয়ন ডলার মোমেন্ট...’ হেডিং দিয়ে। টুইটারে সপাটে লিখুন, ‘টুক ব্রাইব টুডে। হ্যাপি!’ তেত্রিশ হাজার লাইক আর রি-টুইট পেলে আপনাকে ঠেকায় কোন সিবিআই! জেরার জন্য ডাকলে স্মার্টফোন খুলে স্মার্টলি দেখিয়ে দেবেন, এই বিপুল ভার্চুয়াল জনগণ আপনার কাজকে ‘লাইক’, থুড়ি স্যাংশন করেছে! এমনিতেই এখন সোশাল নেটওয়ার্কে কনফেস করাটা লোকে হেব্বি খাচ্ছে। তা ছাড়া ভার্চুয়াল জগতই বিপ্লব পাকাচ্ছে, মিশরে বা যাদবপুরে। এখানে বেদি পুঁতলে, রাজাকে খানখান করে কোন ড্যাকরা?

মিছিল করুন ‘আমরা ঘুষখোর’

ভার্চুয়াল জগতে আইকন বনেও বাস্তবে পোষাচ্ছে না? সিঁধেল চোরও আপনাকে চোর বলে টিটকিরি মেরে যাচ্ছে? কুছ পরোয়া নেই। পোস্টার-প্ল্যাকার্ড-ব্যানার লিখে বালবাচ্চা সপরিবারে রাস্তায় নামুন। দু’রকম বয়ান লিখবেন। ‘আমি ঘুষখোর?’ ‘আমার বউ ঘুষখোর?’ ‘বাবাই ঘুষখোর?’ ‘বেঁটে বগেশ খুষখোর?’-জাতীয় অবিশ্বাস্য প্রশ্নবোধক খানকতক, আর ‘আমরা সবাই ঘুষখোর’, ‘অন্যে চোষে লবেঞ্চুস, আমরা সবাই খাই ঘুষ’, ‘আমরা ঘুষ খেয়েছি, প্লিজ গ্রেফতার করুন’-জাতীয় অভিমানী ঠোঁটফুলুয়া টাইপ বাকিগুলো। অফিস-টাইম অবধি চালিয়ে দিতে পারলে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখবেন, আপনার ফ্যামিলি-মিছিলে ব্রিগেডের ভিড়, মিনিটে মিনিটে লোক বাড়ছে, আর ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের বড়বাবুরা ব্যতিব্যস্ত, আজ এত বড় মিছিল আছে, জানতুম না তো! রাশ-আওয়ারে জনজীবন বিপর্যস্ত করার অপরাধে ফাইন হতে পারে, কিন্তু ঘুষ খাওয়ার জন্য? ছোঃ!

ধরা পড়ে গেলে

যখন বুঝছেন একেবারে ফেঁসেছেন, ফস করে বলুন, ‘আমার জন্ম বামফ্রন্ট আমলে।’ সিবিআই হেঁচকি তুলে থেমে গেলে বোঝান, যেহেতু আপনি বামফ্রন্ট আমলে জন্মেছেন, তাই আপনার টাকা খাওয়ার কোনও দায়ই এখনকার-আপনার ঘাড়ে বর্তায় না। ফ্ল্যাশব্যাক মোডে গিয়ে, ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট আপনি-কে যদি ওরা অ্যারেস্ট করতে পারে, করুক। সব কথার উত্তরে বলুন, সেই আদি-আমি’ই ভিলেন-আমি, এখন যে-আমিটাকে দেখছেন, ওরই কর্মফলের ভার বইছে মাত্র। সেই বারো বছরের ছেলেটাই স্কুল পালিয়ে বিড়ি খেয়েছিল, সে-ই লুকিয়ে পাড়ার বউদির চান দেখে নিয়েছিল। আপনি একটা হতভাগ্য গেলাস— যার তলানির সেই সায়ানাইড— পরে ঢালা শতেক গ্যালন ডাব্ল-টোন্ড দুধকেও বিষিয়ে দিয়েছে। আসলে কিন্তু এখনকার-আপনি সুপ্রিম সাত্ত্বিক, গরিবের দরদে ডেলি বাথরুমে ফোঁপান, মানুষ সাহায্য চাইলে আংটি খুলে দেন, কিন্তু ওই বখে যাওয়া অতীত-ছোঁড়া স্পাইডারম্যানের মতো দড়ি ছুড়ে আপনার নাক পাকড়ে রেখেছে, তাই ভেতরের ঘেন্না প্রাণপণ চেপে আপনাকে কোটি কোটি টাকা তছরুপ করতে হয়। সব দোষ বামফ্রন্টের, ওরা আপনাকে মানুষ করতে পারেনি কেন? ছি! টাকাগুলো আপনাকে ফেরত দিয়ে, বামফ্রন্টকে অ্যারেস্ট করা হোক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

bribe rabibasariya anandabazar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE