Advertisement
০২ মে ২০২৪

নিউ টাউনের পথে চলবে দূষণহীন ই-রিকশা

নিউ টাউনে চালু হতে চলেছে দূষণহীন ই-রিকশা। হিডকো চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন জানিয়েছেন, অনেকটা অটোর মতোই দেখতে ব্যাটারি চালিত এই ই-রিকশা কোনও রকম দূষণ ছাড়াই নিউ টাউনের রাস্তা দিয়ে মাস খানেকের মধ্যে চলতে দেখা যাবে। এই ই-রিকশার রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কোনও সমস্যা নেই জানিয়ে দিয়েছে পরিবহণ দফতরও।

আর্যভট্ট খান
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৪ ০১:৪৫
Share: Save:

নিউ টাউনে চালু হতে চলেছে দূষণহীন ই-রিকশা। হিডকো চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন জানিয়েছেন, অনেকটা অটোর মতোই দেখতে ব্যাটারি চালিত এই ই-রিকশা কোনও রকম দূষণ ছাড়াই নিউ টাউনের রাস্তা দিয়ে মাস খানেকের মধ্যে চলতে দেখা যাবে। এই ই-রিকশার রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কোনও সমস্যা নেই জানিয়ে দিয়েছে পরিবহণ দফতরও। নিউ টাউনের রাস্তায় ছোট ছোট রুটে এই ই-রিকশা বাসিন্দাদের পরিবহণ সমস্যা থেকে অনেকটা মুক্তি দেবে বলে দাবি হিডকো-র। হিডকোর আরও দাবি, চলার সময়ে কোনও দূষণ ছড়াবে না বলে পরিবেশবান্ধব যান হিসেবে সাধারণের কাছে যথেষ্ট জনপ্রিয়তাও পাবে ই-রিকশা।

আগের তুলনায় বাসের সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও এখনও পরিবহণ সমস্যা থেকে মুক্তি পায়নি নিউ টাউন। অফিসের ব্যস্ত সময়ে রীতিমতো ভিড় হয় বাসে। এমনকী, ঝুলতে ঝুলতেও যেতে হয় অনেককে। অভিযোগ, নিউ টাউনে আবাসনের সংখ্যা অনেক হলেও অধিকাংশ বাসিন্দাই নিয়মিত থাকেন না। আবাসিকদের এক অংশের অভিযোগ, পরিবহণ সমস্যার জন্য নিউ টাউনে ফ্ল্যাট কিনেও তাঁরা সেখানে বসবাস করতে পারছেন না। এলাকার তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মীরাও জানাচ্ছেন, অফিস টাইমে গাড়ির সংখ্যা থাকে খুবই কম। নিতাযাত্রীদের বক্তব্য, অ্যাকশন এরিয়া টু-এ তথ্যপ্রযুক্তির অফিসে যাওয়ার জন্য সকালে নিউ টাউনে নারকেলবাগান মোড়ে অটোর জন্য যে লাইন পড়ে তা শহরের যে কোনও ব্যস্ত রুটকে হার মানাবে। অফিস যাত্রীদের তুলনায় অটোর সংখ্যা খুবই কম। রাতে বাড়ি ফেরার সময়ে এই সমস্যা আরও তীব্র হয়। সেখানকার একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী রানা দাশগুপ্ত বলেন, “নিউ টাউনে মেট্রো চালু হতে তো এখনও বেশ কয়েক বছর লাগবে বলে মনে হয়। তার আগে ই-রিকশা চললে অন্তত কিছুটা সমস্যা মিটবে।”

দেবাশিসবাবু বলেন, “নিউ টাউনে এই যান-সমস্যার কথা মাথায় রেখে আমরা দ্রুত ই-রিকশা চালুর পরিকল্পনা নিয়েছি। একটি ই-রিকশায় অটোর মতোই চার জন বসতে পারবেন। রিকশার গতিও অটোর মতোই। এই ই-রিকশা এক দিকে অফিসযাত্রীদের যেমন কাজে লাগবে, তেমনই স্থানীয় বাসিন্দাদের যান-সঙ্কটও দূর করবে।” হিডকোর অফিসারদের দাবি, এক দিকে যেমন বড় বড় শপিং মল বা মোড়ে ই-রিকশার স্ট্যান্ড থাকবে, তেমন কিছু আবাসনের সামনে থেকেও ছাড়বে ই-রিকশা। ফলে আবাসন থেকে বাসস্ট্যান্ড যেতে অসুবিধা হবে না।

হিডকো সূত্রে খবর, ই-রিকশা চালানোর জন্য নিউ টাউন কলকাতা ডেভলপমেন্ট অথরিটি (এন কে ডি এ) থেকে ট্রেড লাইসেন্স পাওয়া যাবে। তবে নিউ টাউনে যে সব ই-রিকশা চলবে, তার রং হবে নীল-সাদা। অর্থাৎ সাদা রঙের উপরে নীল বর্ডার। এই ই-রিকশায় এক বার পুরো চার্জ দিলে ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার চলবে বলে দাবি করেছে হিডকো।

শীত পড়তেই শুরু হবে নিউ টাউন মেলা। সেই মেলায় ই-রিকশার প্রস্তুতকারকদের স্টল থাকবে বলে জানিয়েছে হিডকো। এই স্টলেই জানা যাবে এই ই-রিকশা কেমন দেখতে এবং কী তার সুযোগ-সুবিধে। তবে শুধু ই-রিকশাই নয়, ই-রিকশার পাশাপাশি অটোও চলানো হবে বলে জানিয়েছেন হিডকো আধিকারিকেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

aryabhatta khan new town e rickshaw
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE