Advertisement
E-Paper

সেই মাহেন্দ্রক্ষণ আসন্ন, চাঁদে বিক্রম, প্রজ্ঞানের ‘ঘুম’ ভাঙার সম্ভাবনা কতটা? তার পর কী করবে ইসরো?

চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সূর্য উঠে গিয়েছে। এখনও সেখানে ভোর। সূর্যের মৃদু আলো পড়েছে বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের গায়ে। তার মাধ্যমে যন্ত্রপাতির ব্যাটারি চার্জ হচ্ছে কি না, স্পষ্ট নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:২৪
ISRO will try to reestablish communication with Chandrayaan-3 lander rover.

চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম। ছবি: ইসরো।

চাঁদে চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করবে ইসরো। শুক্রবারই সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। তবে এ বার সাফল্য আসবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ, চন্দ্রযান-৩-এর যন্ত্রপাতিকে আবার সক্রিয় করে তোলার সম্ভাবনা অতি ক্ষীণ।

ইসরো জানিয়েছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সূর্য উঠে গিয়েছে। এখনও সেখানে ভোর। সূর্যের মৃদু আলো পড়েছে বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের গায়ে। তবে তার মাধ্যমে যন্ত্রপাতির ব্যাটারি চার্জ হচ্ছে কি না, স্পষ্ট নয়। শুক্রবার বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের ঘুম ভাঙানোর চেষ্টা করা হবে। সূর্যের আলোয় সোলার প্যানেলগুলি সক্রিয় হয়ে উঠবে। চার্জ সম্পূর্ণ হলে বিক্রম বা প্রজ্ঞানের জেগে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।

যদিও, চন্দ্রযান-৩-কে দ্বিতীয় বার সক্রিয় করে তোলার বিষয়ে খুব একটা আশাবাদী নয় ইসরো। তারা জানিয়েছে, তারা কেবল চেষ্টা করে দেখছে। চন্দ্রযান-৩ যে উদ্দেশ্য নিয়ে চাঁদে গিয়েছিল, ইতিমধ্যে তা সফল হয়েছে। যদি দ্বিতীয় বার ল্যান্ডার এবং রোভারটিকে জাগিয়ে তোলা যায়, আরও তথ্য বিজ্ঞানীদের হাতে আসতে পারে। এ বিষয়ে মনোহর পার্রীকর ইনস্টিটিউট অফ ডিফেন্স স্টাডিজ় অ্যান্ড অ্যানালিসিসের মহাকাশ বিশেষজ্ঞ অজয় লেলে বলেন, ‘‘গত এক দিন ধরে সূর্যের আলোয় যে শক্তি ল্যান্ডার এবং রোভারে সঞ্চিত হয়েছে, তাতে প্রাথমিক ভাবে যন্ত্রপাতিগুলি চালু হওয়ার কথা। কিন্তু সূর্যের আলোয় সেগুলি কী আচরণ করে, সেটা দেখতে হবে।’’

ল্যান্ডার বিক্রমকে ‘স্লিপ মোডে’ পাঠানোর আগে তার রিসিভারটিকে চালু রেখেছিল ইসরো। চাঁদে রাত কাটলে আবার যাতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়, সেই রাস্তা খুলে রাখা হয়েছিল। কিন্তু চাঁদে রাতের তাপমাত্রা অনেকটা কমে যায়। কখনও কখনও পারদ নামতে পারে হিমাঙ্কের ২৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচেও। এই তীব্র ঠান্ডা চন্দ্রযান-৩ সহ্য করতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

যদি বিক্রম বা প্রজ্ঞানকে জাগানো না যায়, তবে চাঁদের মাটিতেই চিরতরে রয়ে যাবে তারা। আর তাদের পৃথিবীতে ফেরানো সম্ভব নয়। ল্যান্ডার এবং রোভারের মাধ্যমে ইসরো যে তথ্য সংগ্রহ করেছে, তা আগামী মহাকাশ এবং চন্দ্র অভিযানে কাজে লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Chandrayaan-3 Chandrayaan-3 Update ISRO Moon Mission Vikram Lander Pragyan Rover
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy