Advertisement
E-Paper

অ্যান্টার্কটিকায় সবুজ উদ্ভিদ আবিষ্কার ভারতীয়দের, বিশ্বে প্রথম

ভারতীয় আবিষ্কারের দলিলস্বরূপ সেই উদ্ভিদের বৈজ্ঞানিক নাম দেওয়া হয়েছে বাগদেবী সরস্বতীর আর একটি নাম ও অ্যান্টার্কটিকায় ভারতের ক্যাম্পের নামে। ‘ব্রায়াম ভারতিয়েনসিস’।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২১ ১৭:২৭
ইনসেটে, সেই  মসজাতীয় উদ্ভিদ। সঙ্গে উদ্ভিদবিজ্ঞানী ফেলিক্স বাস্ট। ছবি- গবেষকদের সৌজন্যে।

ইনসেটে, সেই মসজাতীয় উদ্ভিদ। সঙ্গে উদ্ভিদবিজ্ঞানী ফেলিক্স বাস্ট। ছবি- গবেষকদের সৌজন্যে।

অ্যান্টার্কটিকায় উদ্ভিদের সম্পূর্ণ নতুন একটি প্রজাতির হদিশ পেলেন এক ভারতীয় উদ্ভিদবিজ্ঞানী। মস (এক ধরনের শৈবাল) জাতীয় সেই উদ্ভিদের হদিশ মিলেছে অ্যান্টার্কটিকায় অত্যন্ত পুরু বিশাল বরফের চাঙরের উপর। ভারতীয় আবিষ্কারের দলিলস্বরূপ সেই উদ্ভিদের বৈজ্ঞানিক নাম দেওয়া হয়েছে বাগদেবী সরস্বতীর আর একটি নাম ও অ্যান্টার্কটিকায় ভারতের ক্যাম্পের নামে। ‘ব্রায়াম ভারতিয়েনসিস’। অ্যান্টার্কটিকায় গবেষণার জন্য ভারতীয় ক্যাম্পটির নাম ‘ভারতী’। রিভিউ পর্যায় পেরিয়ে গবেষণাপত্রটি প্রকাশের জন্য গৃহীত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘এশিয়া-প্যাসিফিক বায়োডাইভার্সিটি’-তে।

আবিষ্কারক পঞ্জাবের সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ফেলিক্স বাস্ট ২০১৬-’১৭ য় ভারতের অ্যান্টার্কটিকা মিশনের সদস্য হিসাবে গিয়েছিলেন দক্ষিণ মেরুতে। পূর্ব অ্যান্টার্কটিকার লার্সেম্যান হিলসে যেখানে রয়েছে ভারতের ক্যাম্প ভারতী, তার আশপাশেই পুরু বরফ আর পাথরের উপর তিনি ও তাঁর এক ছাত্র প্রথম হদিশ পান সবুজ এই উদ্ভিদের। পরে ডিএনএ পরীক্ষা-সহ আরও সবিস্তার গবেষণায় জানা যায়, এই উদ্ভিদের প্রজাতির হদিশ পৃথিবীতে আগে মেলেনি।

আরও পড়ুন

রাজ্যে নতুন আক্রান্ত এক ধাক্কায় ন’শোর নীচে, মৃত্যু ১৮, সক্রিয় রোগী ১৮ হাজারের কম

আরও পড়ুন

মহারাষ্ট্রে মহারাজনীতি, শিবসেনার চালে কি আপাতত ‘নিরাপদ’ উদ্ধব সরকার

ফেলিক্স ‘আনন্দবাজার অনলাইন’-কে জানিয়েছেন, শীতে যখন অ্যান্টার্কটিকার পারদ নেমে যায় শূন্যের ৭৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে, তখন এই প্রজাতির মসজাতীয় উদ্ভিদ কার্যত ঘুমিয়ে পড়ে। শুকিয়ে যায়। তখন আর সেগুলি সবুজ রংয়ের হয় না। কিন্তু গ্রীষ্মকাল এলেই বরফ গলা জল শুষে নিয়ে এরা আবার প্রাণ ফিরে পায়। হয়ে ওঠে সবুজ। এরা অন্য শৈবালদেরও বেঁচে থাকতে সাহায্য করে।

পঞ্জাবের সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক রাঘবেন্দ্র পি তিওয়ারি ‘আনন্দবাজার অনলাইন’-কে বলেছেন, “এই আবিষ্কার আমাদের গৌরবান্বিত করেছে। উদ্ভিদবিজ্ঞানে ভারতের নামও জুড়ে দিতে পেরেছে।”

Antarctica
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy