Advertisement
E-Paper

টুকরো খবর

বাগানে আতঙ্ক ছড়িয়ে অবশেষে ধরা দিল সে। নাগরাকাটার কাঠালধুরা বাগানে দিন কয়েক আগে খাঁচা পেতে চিতাবাঘটিকে ধরেছিলের বনকর্মীরা। বৃহস্পতিবার তাকে ছেড়ে দেওয়া হল গরুমারা জাতীয় উদ্যানে। এ দিন চাপরামারিতে ছিলেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। গ্রীষ্মাবকাশে জঙ্গলে অন্য পশুর দেখা মিললেও কোনও শ্বাপদের সাক্ষাৎ পাননি রাজ্যপাল। বন কর্তারা তাই খাঁচাবন্দি চিতাবাঘটি রাজ্যপালের সামনে মুক্তি দিয়েছেন।

শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৪ ০১:৩২

রাজ্যপালের হাতে মুক্তি চিতাবাঘের
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার

রামসাইয়ে রাজ্যপাল। ডাব হাতে এম কে নারায়ণন।
কালীপুর ইকো ভিলেজে দীপঙ্কর ঘটকের তোলা ছবি।

বাগানে আতঙ্ক ছড়িয়ে অবশেষে ধরা দিল সে। নাগরাকাটার কাঠালধুরা বাগানে দিন কয়েক আগে খাঁচা পেতে চিতাবাঘটিকে ধরেছিলের বনকর্মীরা। বৃহস্পতিবার তাকে ছেড়ে দেওয়া হল গরুমারা জাতীয় উদ্যানে। এ দিন চাপরামারিতে ছিলেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। গ্রীষ্মাবকাশে জঙ্গলে অন্য পশুর দেখা মিললেও কোনও শ্বাপদের সাক্ষাৎ পাননি রাজ্যপাল। বন কর্তারা তাই খাঁচাবন্দি চিতাবাঘটি রাজ্যপালের সামনে মুক্তি দিয়েছেন। এ দিন সকাল সওয়া আটটা নাগাদ চাপরামারির বনবাংলো থেকে গরুমারায় যান রাজ্যপাল। বন কর্তারা তাঁকে অনুরোধ করেন খাঁচাটি খুলে দেওয়ার জন্য। রাজ্যপালের হাতে মুক্তি পেয়েই নিমেষেই সে উধাও হয়ে যায় গভীর জঙ্গলে। স্পষ্টই খুশি রাজ্যপাল বলেন, “আজ, নিজেই আস্ত চিতাবাঘকে জঙ্গলে ছেড়েছি, এটা কম আনন্দের কথা!” ডুয়ার্সের নাগরাকাটার কাঠালধূরা চা বাগানের ১৭ নম্বর সেকশনে গত বুধবার গভীর রাতে খাঁচাবন্দি করা হয় চিতাবাঘটি। দিন দশেক ধরেই বাগানে চিতাবাঘের আতঙ্কে ঘুম ছুটেছিল বাগান শ্রমিকদের। প্রায়ই তাঁদের বাড়ি থেকে খোয়া যাচ্ছিল হাঁস, মুরগি, ছাগল। শুল্কাপাড়া পঞ্চায়েতের সদস্য শর্মিলা ওঁরাও জানান, ছাগলের টোপ দিয়ে দিন কয়েক আগে ফাঁদ পেতেছিলেন খুনিয়া রেঞ্জের বনকর্মীরা। স্থানীয় ঘাসমাড়ি প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক সুশেন নার্জিনারির বাড়ির থেকে মাত্র ১০০ মিটারের দূরত্বেই ফাঁদটি বসানো হয়েছিল। বুধবার গভীর রাতে খাঁচায় বাঘ পড়তেই টের পান তিনি। সুশেনবাবু বলেন, “সে কী গর্জন!” এই নিয়ে চলতি মাসে মালবাজার থেকে ধরা হল তিনটি চিতাবাঘ। এ দিন গরুমারার যাত্রাপ্রসাদ, মেদলা, চুকচুকি, কালীপুর, রামসাই এলাকায় ঘোরেন রাজ্যপাল। কালীপুর ইকো ভিলেজে গিয়ে অশোক ও রুদ্রাক্ষ গাছের দুটি চারাও লাগান রাজ্যপাল। গরমে সেখানে তাঁকে ডাব খেতেও দেখা যায়। আদিবাসী নৃত্যও দেখেন। বনকর্মীদের সঙ্গে কথাও বলেন।

হদিস আহত হস্তিশাবকের
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার

আহত হস্তি শাবকের খোঁজ মিলল বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে। দিন সাতেক আগে জঙ্গলে টহল দেওয়ার সময় বছর খানেকের ওই মেয়ে হস্তি শাবকটিকে দেখতে পান বনকর্মীরা। বন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, দলছুট হস্তি শাবকটির সামনের পায়ে এবং পেটে ক্ষত রয়েছে। তাই ধীরে ধীরে সেটি হাটাচলা করছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডিএফডি অপূর্ব সেন বলেন, “শাবকটির উপর নজর রাখা হচ্ছে। আমরা দেখছি হস্তি শাবকটি নিজে থেকেই সেরে ওঠে কি না। তা না হলে চিকিৎসা শুরু করব। দলছুট শাবকটি ২৫ মাইল এলাকায় জঙ্গলে ঘুরে লতাপাতা আর জল খাচ্ছে।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy