Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

দূষণ রোধে চুক্তি আমেরিকা-চিনের

উষ্ণায়ন রুখতে অবশেষে হাত মেলাল চিন ও আমেরিকা। গ্রিনহাউস গ্যাস নিয়ন্ত্রণে আজ ঐতিহাসিক এক চুক্তি সই হল দুই দেশের মধ্যে। দু’দশকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে দূষণ কমানোর সিদ্ধান্ত নিলেন দুই প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও শি চিনফিং। বেজিংয়ে এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনীতি বিষয়ক শীর্ষ বৈঠকে (অ্যাপেক) চিন-আমেরিকার এই চুক্তি ঘিরে আলোচনা শুরু হয়েছে সর্বত্র।

সংবাদ সংস্থা
বেজিং শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৪ ০২:০৩
Share: Save:

উষ্ণায়ন রুখতে অবশেষে হাত মেলাল চিন ও আমেরিকা। গ্রিনহাউস গ্যাস নিয়ন্ত্রণে আজ ঐতিহাসিক এক চুক্তি সই হল দুই দেশের মধ্যে। দু’দশকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে দূষণ কমানোর সিদ্ধান্ত নিলেন দুই প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও শি চিনফিং। বেজিংয়ে এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনীতি বিষয়ক শীর্ষ বৈঠকে (অ্যাপেক) চিন-আমেরিকার এই চুক্তি ঘিরে আলোচনা শুরু হয়েছে সর্বত্র।

দূষণের মাত্রা হ্রাস, বিকল্প শক্তির ব্যবহার ইত্যাদি বিষয় নিয়ে চিন ও আমেরিকার মধ্যে আলোচনা বিস্তর হলেও, এই ধরনের চুক্তি সই এ বারই প্রথম। ২০২৫-এর লক্ষ্যমাত্রা রাখলেন ওবামা। তার মধ্যেই কার্বন দূষণের মাত্রা ২০০৫-এর সাপেক্ষে ২৬ থেকে ২৮ শতাংশ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিলেন। একই রকম ইতিবাচক ইঙ্গিত রাখল চিন-ও। আমেরিকার থেকে অতিরিক্ত পাঁচ বছর সময় বেশি চেয়ে নিলেন শি চিনফিং। সঙ্গে এ-ও জানালেন, দেশের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার অন্তত ২০ শতাংশ মেটানো হবে অপ্রচলিত শক্তির উৎস থেকে।

অর্থনৈতিক ভাবে বিশ্বের প্রথম দুই শক্তিশালী দেশ তো বটেই, পৃথিবীর মোট দূষণের অর্ধেকের জন্যও দায়ী চিন ও আমেরিকা। সেই কারণেই এই চুক্তি ঘিরে বাড়ছে সন্দেহ। দেশে সদ্য অনুষ্ঠিত মধ্যবর্তী নির্বাচনে মার্কিন কংগ্রেসের দু’কক্ষই বিরোধী পক্ষ রিপাবলিকানদের দখলে গিয়েছে। তাই ওবামা চাইলেও আমেরিকার দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রস্তাবে কংগ্রেস আদৌ অনুমোদন দেবে কি না, দ্বিমত রয়েছে। প্রথম প্রতিক্রিয়াতেই মার্কিন সেনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকান নেতা ম্যাককনেল সরাসরি এই চুক্তি প্রস্তাবকে ‘অবাস্তব’ আখ্যা দিয়েছেন। হোয়াইট হাউস অবশ্য ওবামার ‘মিশন ২০৫০’ প্রকল্প নিয়ে আগাগোড়াই আশাবাদী। ওবামা চান এই সময়ের মধ্যে কার্বন দূষণের মাত্রা অন্তত ৮০ শতাংশ কমাতে। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের ২১তম সম্মেলন আগামী বছরের। তার আগেই চিন সফরের শেষ দিনে ওবামার এই পদক্ষেপ ঘিরে তাই বাড়তি আগ্রহ দেখাচ্ছেন আবহবিদরা।

সারা বিশ্বের মোট কার্বন দূষণের ৩০ শতাংশর জন্য দায়ী চিন। বহু দিন এ নিয়ে নিস্পৃহ থাকলেও সম্প্রতি হুঁশ ফিরেছে বেজিংয়ের। হোয়াইট হাউসের দাবি, বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে একই রকম উদ্বিগ্ন ওবামাও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE