Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

শাবক নিয়ে হাতির পাল ঢুকল রঞ্জনডির জঙ্গলে

এক রাতের মধ্যে সাঁতুড়ি থেকে কাশীপুর ব্লক এলাকায় ঢুকে পড়ল বাঁকুড়া থেকে আসা ১৭টি হাতির দল। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দলটি অবস্থান করে রাঙামাটি-রঞ্জনডি গ্রাম পঞ্চায়েতের লয়াবাদ গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে। পথে কিছু জমির ফসল নষ্ট করে হাতির পাল।

বাঁকুড়া থেকে পুরুলিয়ায় ঢুকে পড়েছে ১৭টি হাতি। —নিজস্ব চিত্র।

বাঁকুড়া থেকে পুরুলিয়ায় ঢুকে পড়েছে ১৭টি হাতি। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাশীপুর শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৪ ০২:৩৮
Share: Save:

এক রাতের মধ্যে সাঁতুড়ি থেকে কাশীপুর ব্লক এলাকায় ঢুকে পড়ল বাঁকুড়া থেকে আসা ১৭টি হাতির দল। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দলটি অবস্থান করে রাঙামাটি-রঞ্জনডি গ্রাম পঞ্চায়েতের লয়াবাদ গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে। পথে কিছু জমির ফসল নষ্ট করে হাতির পাল। কাশীপুরের দায়িত্বে থাকা রেঞ্জ অফিসার দেবাশি, ভঞ্জ বলেন, “এ দিন দিনভর বন দফতরের কর্মীরা হাতির দলটির উপরে নজর রেখেছে। সকালের দিকে স্থানীয় কিছু বাসিন্দা হাতিগুলিকে উত্ত্যক্ত করছিল। তবে পুলিশের সাহায্যে বনকর্মীরা তাদের নিরস্ত করেন। হাতিগুলিকে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চলছে।”

বুধবার রাতে বাঁকুড়া থেকে হাতির ওই দল ঢুকে পড়ে পুরুলিয়ার সাঁতুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। দলটিতে চারটি শিশু হাতি রয়েছে। বৃহস্পতিবার হাতিগুলি মালিবনা-দুবরাজপুর গ্রামের কাছে পাহাড়ে ছিল। দফতরের কর্মীরা হাতিগুলিকে তাড়ানোর চেষ্টা চালালেও বিশেষ লাভ হয়নি। সন্ধ্যার দিকে বিষ্ণুপুর থেকে প্রশিক্ষিত হুলা পার্টিকে নিয়ে ফের তাড়ানোর কাজ শুরু হয়। দু’জন রেঞ্জ অফিসার, দু’জন বিট অফিসার-সহ ২০ জনের হুলাপার্টি পটকা ফাটিয়ে মশাল জ্বালিয়ে হাতিগুলিকে তাড়ানোর কাজ শুরু করেছিল। বন দফতর সূত্রের খবর, হাতিগুলিকে বাঁকুড়ার দিকে তাড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু হাতিরা সেই দিকে না গিয়ে রঘুনাথপুরের দিকে ঘুরে যায়। রঘুনাথপুরের রেঞ্জ অফিসার সোমনাথ চৌধুরী জানান, রঘুনাথপুর ১ ব্লকের বেড়ো, বেলডাঙা হয়ে দলটি পাঁচমহুলা, কালীদহ পেরিয়ে রাতেই রঞ্জনডিতে ঢুকে পড়ে।

দিনের বেলা সাধারণত হাতি তাড়ানো হয় না। শুক্রবার লয়াবাদ গ্রামের কাছে জঙ্গলের মধ্যেই ছিল হাতির দলটি। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কাশীপুর থেকে হুড়া হয়ে হাতির দলটিকে ফের বাঁকুড়ার দিকের রাস্তা ধারিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তা না হলে হুড়া থেকে পুঞ্চা, মানবাজার হয়ে বান্দোয়ানের দিকে ঠেলে দিয়ে দলটিকে সরাসরি ঝাড়খণ্ডের দিকে পাঠানোর চেষ্টা চালানো হবে। বন দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, “আমরা চেষ্টা করছি বাঁকুড়া বা ঝাড়খণ্ডে পাঠানোর। বাকিটা গজরাজদের ইচ্ছা।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE