Advertisement
E-Paper

স্বস্তি দিয়ে দাঁতাল ঝাড়খণ্ডে

বাঁকুড়া থেকে ঢুকে পড়া দাঁতালকে নজরে রাখতে গিয়ে রীতিমতো নাকাল হচ্ছিলেন বনকর্মীরা। সেই বনকর্মীদের স্বস্তি দিয়ে শনিবার রাতে দাঁতালটি ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলে ঢুকে গেল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৫ ০২:২৫

বাঁকুড়া থেকে ঢুকে পড়া দাঁতালকে নজরে রাখতে গিয়ে রীতিমতো নাকাল হচ্ছিলেন বনকর্মীরা। সেই বনকর্মীদের স্বস্তি দিয়ে শনিবার রাতে দাঁতালটি ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলে ঢুকে গেল। রবিবার তাই হাঁফ ছেড়েছেন বন দফতরের কর্মীরা। জেলা কর্তৃপক্ষকে স্থানীয় বনাধিকারিকরা তা জানিয়েও দিয়েছেন। যদিও অভিজ্ঞ বনকর্মীরা এতে খুব একটা স্বস্তি পাচ্ছেন না। তাঁরা জানাচ্ছেন, হাতিরা ঝাড়খণ্ডে গেল মানে যে আর ফিরবে না, এটা ভাব ভুল। কারণ হামেশাই অন্য জায়গায় গিয়ে হাতিরা কিছুদিনের মধ্যেই পুরনো জায়গায় ফিরে এসেছে। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থেকে মেদিনীপুরে হাতিরা তো যাওয়া-আসা করে। ঝালদাতেও হাতিদের ঝাড়খণ্ডে পাঠিয়ে দিয়ে বনাধিকারিকরা নিশ্চিন্ত হওয়ার আগেই হাতিরা ফিরে এসেছে।

কিছুদিন ধরে দলছুট এক দাঁতাল দক্ষিণ পুরুলিয়ার জঙ্গল ও গ্রাম লাগোয়া এলাকায় ঘুরছিল। তেমন ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ না মিললেও আশঙ্কায় ছিলেন বনকর্মীরা। কারণ কিছুদিন আগেই শালতোড়ায় একটি হাতি এক ব্যক্তিকে মারে। আর এই হাতিটি বৃহস্পতিবার রাতে বাঁকুড়ার জঙ্গল থেকে পুরুলিয়ার পুঞ্চা থানা এলাকার জঙ্গলে ঢোকে। ফলে বাঁকুড়ার সেই মারকুটে হাতিই পুঞ্চায় ঢুকেছে কি না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। বনকর্মীরা জানাচ্ছেন, এই দাঁতালটি অন্য হাতিদের তুলনায় একটু বেশি ছটপটে। কয়েকদিন ধরে লাগাতার স্থান পরিবর্তন করার ফলে এর নাগাল পাওয়া যাচ্ছিল না। গ্রামবাসীর থেকে খবর মেলার পরে সেই গ্রামে গিয়ে বনকর্মীরা দাঁতালের দেখা পাচ্ছিলেন না। হাতিটি তখন অন্য এলাকায় গিয়ে ঘাপটি মেরে ছিল। কখনও বা জমিতে নেমে ফসল তুলে মুখে ফেলছিল কিংবা চারা ধানের খেত পায়ে দলে নষ্ট করছিল। শুক্রবার এবং শনিবার দক্ষিণ পুরুলিয়ার পুঞ্চা, মানবাজার, বোরো এবং বান্দোয়ান থানা এলাকার বনকর্মীদের সাথে রীতিমতো লুকোচুরি খেলে দাঁতালটি। শনিবার রাতে সে রাজ্যের জঙ্গলের সীমানা ছাড়ায়।

বান্দোয়ানের রেঞ্জ অফিসার প্রাণগোপাল গোস্বামী বলেন, ‘‘শনিবার সারাদিন বোরো থানার ঘুসিকজোড়া গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে ঠাঁই নিয়েছিল হাতিটি। হাতি দেখতে অতি উৎসাহীদের ভিড় ঠেকাতে পুলিশ এবং বনকর্মীরা এলাকা ঘিরে রেখেছিলেন। সন্ধ্যের পর থেকে দাঁতালকে সেখান থেকে সরানোর কাজ শুরু হয়। শেষে বান্দোয়ানের চিলা, চিরুগোড়া, বুড়িগোড়া, শিরকা হয়ে হাতিটি ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলে ঢুকে পড়ে।’’ যাওয়ার পথে এক গুদামে হানা দিয়ে কিছু চাল খেয়ে যায় হাতিটি। বান্দোয়ান-বরাবাজার রাস্তা পার হওয়ার সময় পেট্রল পাম্পের কাছে বান্দোয়ানের ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ অগ্রবালের একটি চালের গুদাম রয়েছে। বিশ্বনাথবাবুর দাবি, ‘‘হাতি রাতে গুদামের শাটার ভেঙে কিছু চাল খেয়েছে, কিছু ছড়িয়েছে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy