সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলিতে কর্মরত মহিলাদের সবেতন মাতৃত্বকালীন ছুটির মেয়াদ ১২ সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে ২৬ সপ্তাহ করার কথা আগেই জানিয়েছিল নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রক। শ্রম মন্ত্রক সেই সংশোধনী আইনের প্রাথমিক খসড়ার কাজ প্রায় শেষ করে এনেছে বলে মঙ্গলবার জানাল কেন্দ্রীয় সরকার।
১৯৬১-এর মাতৃত্বকালীন সুবিধে আইনে বলছে, কর্মরত মহিলারা ১২ সপ্তাহ মাতৃত্বকালীন ছুটি নিতে পারবেন, যার ছ’সপ্তাহ নেওয়া যাবে প্রসবের আগে। কর্মরত মায়েদের সুবিধে বাড়াতে সেপ্টেম্বরে নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী মেনকা গাঁধী আইনটি সংশোধনের প্রসঙ্গ তোলেন। সেই খসড়া তৈরি প্রায় শেষ। এ বার আলোচনার জন্য বিভিন্ন মন্ত্রক ঘুরে আইন মন্ত্রক হয়ে তা অনুমোদনের জন্য ক্যাবিনেটে পেশ করা হবে।
গত কয়েক মাস ধরে এই নিয়ে একাধিক বৈঠক করেছে শ্রম মন্ত্রক। বিভিন্ন সংস্থা, কর্মীসংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে শ্রম মন্ত্রক জানিয়েছে, মহিলাদের কমপক্ষে ৮ মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া উচিত। শ্রম মন্ত্রক ইতিমধ্যেই ক্যাবিনেট সচিবালয়ে এই সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়েছে। ২৩ ডিসেম্বর শ্রমমন্ত্রী বন্দারু দত্তাত্রেয় সংসদে বলেন, ‘‘মাতৃত্বকালীন ছুটির মেয়াদ ১২ সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে ২৬ সপ্তাহ করা উচিত। এতে কর্মরত মায়েদের সুবিধে হবে।’’ সরকারি সূত্রের খবর, সংশোধিত আইনে জন্মদাত্রী মা-দের পাশাপাশি সুবিধে পাবেন সেই সব মহিলাও যাঁরা সন্তান দত্তক নেবেন। মন্ত্রী জানান, তিন বছর বয়স পর্যন্ত সন্তান দত্তক নিলে, মায়েরা ছুটি পাবেন ১৬ সপ্তাহ। ‘সারোগেট’ মা-দের মাধ্যমেও যাঁরা সন্তান নেবেন, ছুটির আওতায় পড়বেন তাঁরাও।
বিশ্বে প্রতি বছর যে ৩০ লক্ষ শিশুর মৃত্যু হয়, তার অধিকাংশই হয় অপুষ্টির জন্য। ভারতেও সেই সংখ্যা নেহাৎ কম নয়। চিকিৎসকেরাও বার বার বলছেন, প্রসবের পর ছ’মাস শিশুদের খালি মায়ের দুধই খাওয়ানো উচিত। ফলে, বহু ক্ষেত্রেই প্রসবের পর চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন মহিলারা। তাঁরা যাতে নিজেদের কাজের সঙ্গে সন্তানদেরও দেখাশোনা করতে পারেন, সেই কারণেই এই আইনে সংশোধন আনার সিদ্ধান্ত
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy