এ বি ডিভিলিয়ার্স।ফাইল চিত্র।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে হঠাৎ অবসর নিয়ে ভক্তদের হতাশ করেছিলেন এ বি ডিভিলিয়ার্স। এত দিন অবসরের কারণ জানতে চাইলে এরিয়ে যেতে চাইতেন। অবশেষে বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার একটি সংবাদপত্রকে তাঁর অবসরের কারণ বিশদে জানালেন ‘মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি’। এবি জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অতিরিক্ত চাপ থেকে মুক্তি পেতেই অবসর নেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি বলেছেন, ‘‘সব সময় চাপের মধ্যে থাকতাম। সব সময় ভাবতাম, আমার উপর সবাই নির্ভর করে রয়েছে। এই ম্যাচে রান করতেই হবে। কখনও, কখনও অসহ্যকর পরিস্থিতি তৈরি হত। কোচ, সমর্থক, সবার চাহিদা মেটাতে আর ইচ্ছে করছিল না।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘এটা মানছি যে, বড় ম্যাচে সেঞ্চুরি করার অনুভূতির মতো আর কিছুই হয় না। সবাই তোমাকে নিয়ে হইচই করবে। মাথায় তুলে রাখবে। কিন্তু সত্যি কথা বলতে, এগুলোর অভাব আমি আর অনুভব করি না। অবসর জীবন খুব সুখে কাটাচ্ছি। এ রকমই থাকতে চাই।’’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে তাঁকে খেলতে দেখা যাবে। তার আগে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চান এবি। বলছেন, ‘‘ক্রিকেট ছাড়ার পরে অনেক শান্তিতে রয়েছি। জানি এটা বললে ঠিক হতো ‘আমি ক্রিকেটের অভাব টের পাচ্ছি।’ কিন্তু আপনাদের বলতে চাই, যে ক’জন ক্রিকেটার রয়েছেন, প্রত্যেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাড়তি চাপ অনুভব করে। যারা বলছে করি না, তারা প্রত্যেকে সমর্থকদের বোকা বানাচ্ছে, সঙ্গে নিজেকেও।’’
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালে টেস্টে অভিষেক হয়েছিল এবির। ১১৪ টেস্টে ৮৭৬৫ রান রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। সেঞ্চুরি করেছেন ২২টি। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলার সময়ে কখনও তিনি ছিলেন সেরা উইকেটকিপার, কখনও সেরা ফিল্ডার, আবার কখনও সেরা ব্যাটসম্যান ও অধিনায়ক। যার কিছুই আর মনে ধরে না এবির। তাঁর কথায়, ‘‘আমি একটু লাজুক প্রকৃতির মানুষ। কখনওই অপ্রয়োজনীয় জনপ্রিয়তা পছন্দ করতাম না। এখনও করি না।’’
এবি জানিয়েছেন, এখনও বেশ কয়েক বছর বিভিন্ন দেশের টি-টোয়েন্টি লিগে তিনি খেলবেন। ‘‘এ ধরনের টি-টোয়েন্টি লিগে নতুন প্রতিভার খোঁজ পাওয়া যায়। যেমন রশিদ খানকেই দেখুন। এদের সঙ্গে খেলার মজা প্রচণ্ড উপভোগ করি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy