পুণম রাউতের লড়াকু ইনিংস কাজে লাগল না। ছবি: এএফপি।
এ যেন ২০০৫ এরই অ্যাকশন রিপ্লে দেখল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। একইভাবে প্রত্যাশার পারদ তুঙ্গে তুলে ফাইনালে পৌঁছেছিলেন ঝুলন, মিতালিরা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। যে ভাবে শুরুটা হয়েছিল সে ভাবে শেষ হল না। লিগ পর্বে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পর যে ভাবে সেমিফাইনালে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল তা থেকে যেন জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করে দিয়েছিল আপামর ভারতবাসী। কিন্তু শেষ বেলায় সব প্রত্যাশায় জল ঢেলে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে। ঝুলন, মিতালিদের হয়তো এটাই শেষ বিশ্বকাপ। কেরিয়ারের শো-কেসে বিশ্বকাপ রাখা হল না বিশ্ব মহিলা ক্রিকেটের সফলতম এক ব্যাটসম্যান ও বোলারের। একরাশ হতাশা নিয়েই থামতে হল তাঁদের।
আরও খবর: অধরাই রইল ইতিহাস, তীরে এসে ডুবল তরী
ফাইনালে টস জিতে ইংল্যান্ডের প্রথমে ব্যাটিং একটু চিন্তায় রাখলেও বোলাররা তাঁদের কাজ করে দিয়েছিল। ইংল্যান্ডকে আটকে দিয়েছিল ২২৮ রানে। বল হাতে দারুণভাবে সফল ঝুলন গোস্বামী। ১০ ওভারে মাত্র ২৩ রান দিয়ে নিলেন ৩ উইকেট। তার মধ্যে তিনটি মেডেন ওভার। কিন্তু দলের কঠিন সময়ে ব্যাট করতে এসে ছুড়ে দিয়ে এলেন উইকেট। এ দিন বল হাতে সফল পুণম যাদবও। নিলেন জোড়া উইকেট। ইংল্যান্ড ওপেনার উইনফিল্ড ও বেমাউন্টকে পর পর প্যাভেলিয়নে ফিরিয়ে দেন রাজেশ্বরী গায়কোয়াড় ও পুণম যাদব। এর পর বোলিংয়ের হাল ধরেন ঝুলন গোস্বামী। পর পর উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সামনেও পৌঁছে যান তিনি। যদিও তা হয়নি। ইংল্যান্ডের হয়ে সিভার এক মাত্র হাফ সেঞ্চুরিটি করেন।
ইংল্যান্ড শিবিরে উচ্ছ্বাস। ছবি: রয়টার্স।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮ বল বাকি থাকতেই ২১৯ রানে শেষ হয়ে যায় ভারতের ইনিংস। ওপেনার পুণম রাউত দীর্ঘক্ষণ লড়াই চালিয়ে যান। হরপ্রীত কৌরকে সঙ্গে নিয়ে শক্ত ভীতও তৈর্ করে দেন তিনি। এর পর কৃষ্ণমূর্তির ৩৫ ছাড়া আর কেউই রান করতে পারেননি। আর এর ওপেনার মন্দনা কোনও রান না করেই ফেরেন প্যাভেলিয়নে। সেই তালিকায় নাম লেখান সুষ্মা ভর্মা, ঝুলন গোস্বামীও। ক্যাপ্টেন রাজও ১৭ রান করে রান আউট হন। শেষ বেলায় আর উত্তেজনা ধরে রাখতে পারেনি ভারতের মেয়েরা। কিছুটা টেনশনেই উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেন তাঁরা। যার ফল হার। আবারও খালি হাতে বিশ্বকাপের আসর থেকে ফেরা। এত ভাল ক্রিকেট খেলার পরও। এই আফসোস হয়তো কখনওই যাবে না ভারতীয় ক্রিকেটের। ঠিক যে ভাবে ২০০৩ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে শেষ হয়েছিল সৌরভের বিশ্বকাপ স্বপ্ন। মিতালির ভাগ্যটাও আলাদা নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy