আতাপাত্তু। হারের দায় স্বীকার?
ভারতের কাছে সিরিজ হারের পর আরও একটা ধাক্কা খেল শ্রীলঙ্কা। সিরিজ হারের দু’দিনের মধ্যে কোচ মার্ভান আতাপাত্তু ইস্তফা দিয়ে দিলেন। তবে শুধু ভারতই নয়, এর আগে পাকিস্তানের কাছেও টেস্ট সিরিজ হেরেছিল শ্রীলঙ্কা।
এক দিকে যখন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে ডামাডোল চলছে, ভারতীয় ক্রিকেটে তখন আলোচনার কেন্দ্রে ইশান্ত শর্মার আগ্রাসী মেজাজ। ইশান্তের কোচ মনে করেন, অধিনায়ক বিরাট কোহলির মধ্যে যে আক্রমণাত্মক মেজাজটা ইদানীং দেখা যাচ্ছে, তারই প্রতিফলন হচ্ছে ইশান্তের শরীরী ভাষায়।
ইশান্তের বোলিং কোচ শ্রবণ কুমার বলেছেন, ‘‘ইশান্ত যথেষ্ট ভাল বল করেছে, কিন্তু মাঝে মাঝে ও অতিরিক্ত আগ্রাসী হয়ে পড়ছিল। এটা ও না করলেই পারত। আগ্রাসী মেজাজ ভাল, কিন্তু তার মানে এই নয় যে ধাক্কাধাক্কি বা গালাগালি করতে হবে কাউকে। ধাক্কাধাক্কি করলে তো তার শাস্তি পেতেই হবে।’’
তবে কোচ মনে করেন এ রকম আগ্রাসী ইশান্তকে তিনি এর আগে দেখেননি। হঠাৎ এই পরিবর্তন কেন? দিল্লি ফাস্ট বোলারের কোচ বলছেন, ‘‘আমার মনে হয় কোহলির আগ্রাসী মেজাজের ছাপটাই ইশান্তের উপর পড়েছে। কোহলি ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে, কিছুর পরোয়া করে না। ড্রেসিংরুমের এই মেজাজটাই ইশান্তের উপর ছাপ ফেলেছে। তবে আমি বলব, ভয়ডরহীন ক্রিকেট মানে এই নয় যে আপনাকে খারাপ আচরণ করতে হবে।’’
কোচ জানাচ্ছেন, ইশান্ত ফিরে এলেও তাঁর সঙ্গে কথা হয়নি। তবে এটা জানাতে ভুলছেন না, দেখা হলে নিজের মনোভাবটা পরিষ্কার করে দেবেন ইশান্তের কাছে। ‘‘আমি তো ওকে বলব, ব্যাটসম্যানকে আউট করার সময় আগ্রাসনটা ঠিক আছে। কিন্তু বাকি সময়টা এ রকম আগ্রাসন দেখানোর কোনও মানেই হয় না,’’ বলছেন শ্রবণ।
ইশান্তের এক সময়কার কোচ যখন এ কথা বলছেন, তখন শ্রীলঙ্কার জাতীয় কোচ ইস্তফা দেওয়ার পর মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন। গত সেপ্টেম্বর থেকে সরকারি ভাবে এই পদে রয়েছেন আতাপাত্তু। গত দশ মাসে তিনি যে ভাবে কোচিং করিয়েছেন, তাতে আতাপাত্তুকে নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছিল। বলা হচ্ছিল, টেকনিক্যাল ব্যাপারে আতাপাত্তুর কোচিং দক্ষতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন ছিল না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছিস তাঁর ম্যান ম্যানেজমেন্টের ক্ষমতা নিয়ে। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট এখন পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে চলছে। এই অবস্থায় এক জন কোচের ম্যান ম্যানেজমেন্ট দক্ষতার খুব বেশি করে প্রয়োজন হচ্ছিল। আর সেখানেই ব্যর্থ আতাপাত্তু। যার ফলেই এই ইস্তফা বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy