দু’বছরে পাল্টে গিয়েছে চিত্রটা।
২০১৪-এ শ্রীলঙ্কা শেষ যখন বাংলাদেশে আসে, তাদের হারানো সহজ ছিল না। কুমার সঙ্গকারা প্রচুর রান করছেন। বোলারদের দিকে ধারাবাহিক ভাবে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন। সঙ্গে নুয়ান কুলশেখরার ইনসুইং আর লাসিথ মালিঙ্গার ইয়র্কার ব্যাটসম্যানদের কাঁপুনি ধরিয়ে দিচ্ছে। ২০১৬-তে ঘরের মাঠে এ বার শ্রীলঙ্কার সেই দাপটকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে বাংলাদেশ।
রবিবার মীরপুরে এশিয়া কাপের লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কার সামনে তাই বাংলাদেশকে রোখার বড় পরীক্ষা। আমিরশাহির বিরুদ্ধেই আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং দলকে প্রায় ডুবিয়ে ছেড়েছিল। পুরো ফিট না হয়েও মালিঙ্গা দুরন্ত বোলিংয়ে দলকে বাঁচান। বাংলাদেশের তাদের বিরুদ্ধে ব্যাটসম্যানরা একই ভুল করলে এ বার সামলানো যাবে তো? বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরফি মর্তুজার নেতৃত্বে মুস্তাফিজুর, সৌম্য সরকাররা তেতে আছেন। গত ম্যাচে আমিরশাহিকে হারানোর পর শ্রীলঙ্কার চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে রয়েছেন তাঁরা। এই ম্যাচেও তাই দলে কোনও পরিবর্তন তাই না হওয়ারই সম্ভাবনা। তা ছাড়া বোলিং আক্রমণের মতো ব্যাটিং লাইনআপেও ধারাবাহিকতা আনতে বাংলাদেশ তাই হয়তো দলে পরিবর্তনের রাস্তায় হাঁটবে না।
শ্রীলঙ্কারও অবস্থা প্রায় এক। চণ্ডীমল, দিলশান, সিরিওয়ার্দানার টপ অর্ডারকে থিতু হতে আরও সময় দেওয়ার পক্ষে তাদের টিম ম্যানেজমেন্ট। তাই ভরসা মালিঙ্গা, কুলশেখরা, ম্যাথেউজ, হেরাথদের অভিজ্ঞ বোলিং আক্রমণেই। তবে চিন্তাও থাকছে। সেটা মালিঙ্গার হাঁটু নিয়ে। গত দিনই আমিরশাহিকে হারিয়ে উঠে মালিঙ্গা বলেছিলেন তিনি পুরো ফিট নন। বাংলাদেশ ম্যাচের আগেও তাঁর হাঁটুর চোট কী অবস্থায় রয়েছে সেটা পরিষ্কার নয়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দীর্ঘদিন পর ফিরলেও তাই শ্রীলঙ্কার আশঙ্কা যাচ্ছে না। ম্যাচের আগেই পরিষ্কার হবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তিনি মাঠে নামছেন কি না। তার আগে মালিঙ্গাকে নিয়ে কিছুই বলতে নারাজ শ্রীলঙ্কা শিবির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy