কোটলায় মনোজ। শুক্রবার বাংলার প্র্যাকটিসে। -প্রেম সিংহ
পাহাড়ের মনোরম পরিবেশ থেকে এ বার দূষণে ভরা রাজধানীতে মনোজ তিওয়ারিরা। যেখানে দিনের অর্ধেক সময়ই আকাশ ঢেকে থাকে দূষিত ধোঁয়াশায়। দিল্লিবাসীরা যাকে বলছেন ‘স্মগ’। সকালে একপ্রস্থ আর দুপুরে তিনটের পর থেকেই এই ধোঁয়ায় ঢাকা আকাশ। সারা দিনে ৯০ ওভার করে খেলা হওয়াই কঠিন।
আর রাজধানীর এই ধোঁয়াশা ঢুকে পড়ল বাংলার ড্রেসিংরুমেও।
ধোঁয়াশা ১, অশোক দিন্দার সঙ্গী হবেন কোন পেসার?
আর ধোঁয়াশা ২, দলের ১৬ ও ১৭ নম্বর ক্রিকেটার কোটলার ড্রেসিং রুমে থাকতে পারবেন?
রেলওয়েজ ও উত্তর প্রদেশকে সরাসরি হারিয়ে আসা গুজরাতের বিরুদ্ধে কোটলায় দুই স্পিনারে নামারই ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন মনোজ, ‘‘উইকেটটা স্লো। ম্যাচের দ্বিতীয় দিন থেকেই বল ঘুরবে মনে হয়। তাই দুই স্পিনারই রাখতে হবে দলে।’’ প্রজ্ঞান ওঝা আর আমির গনি সেই দুই স্পিনার। কিন্তু পেস বিভাগে অশোক দিন্দার সঙ্গী কে, তা নিয়ে একটা প্রশ্ন থাকছেই। দুই ম্যাচে ১৩ উইকেট নেওয়া অমিত কুইলা। না তরুণ মিডিয়াম পেসার সায়ন ঘোষ?
কোটলার উইকেটই কঠিন করে তুলেছে এর উত্তর। মনোজ বললেন, ‘‘যে ভাল রিভার্স সুইং করাতে পারে, এই উইকেটে সে-ই উপযুক্ত। আর সায়নের রাউন্ড আর্ম অ্যাকশনের জন্য ও রিভার্স সুইংটা ভাল পায়। অমিত আবার গুড লেংথ বা শর্ট লেংথ থেকে বল উঁচুতে তুলতে পারে। ওর স্পিডও বেশি। ওদের মধ্যে কে খেলবে, তা ম্যাচের আগে ঠিক করব।’’ সমস্যা আর একটা জায়গায়। দিল্লি রওনা হওয়ার আগে দেওয়া চা চক্রে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় মনোজকে বারবার বলে দিয়েছেন অমিত কুইলাকে বুদ্ধি করে দলের কাজে লাগাতে। মনোজ নাকি ধন্দে পড়েছেন, তাঁকে বাদ দিলে ‘দাদা’ কী বলবেন, তা ভেবে উঠতে না পেরে।
এর মধ্যে আর এক খুচরো বিতর্ক দলের সঙ্গে যাওয়া দুই বাড়তি ক্রিকেটার ইশান পোড়েল ও মুকেশ কুমারকে নিয়ে। তাঁদের ড্রেসিংরুমে ঢুকতে দিতে রাজি নন বোর্ডের দুর্নীতি দমন কর্তারা। তাঁরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ১৫ জনের বেশি কোনও ক্রিকেটারকে ড্রেসিংরুমে ঢুকতে দেওয়া হবে না। তা হলে কি গ্যালারিতে বসেই ম্যাচ দেখতে হবে ওঁদের? শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তেমনই খবর। দলের ক্রিকেট অপারেশনস ম্যানেজার জয়দীপ মুখোপাধ্যায় অবশ্য বললেন, ‘‘কাল সকালে খেলা শুরুর আগে ম্যাচ রেফারির সঙ্গে কথা বলে সমস্যাটা মিটিয়ে ফেলব।’’ ‘স্মগ’-টা কিন্তু রয়েই গেল।
দিল্লির এই ধোঁয়াশার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটা যেমন সোজা নয়, তেমনই এই ম্যাচে প্রতিপক্ষও কঠিন। তিন ম্যাচে পনেরো পয়েন্ট পেয়ে এ বার রাজধানীর যুদ্ধে যাদের মুখোমুখি মনোজ তিওয়ারিরা, সেই গুজরাতের হাতেও ১৫ পয়েন্ট। কিন্তু নেট রান রেটে পার্থিব পটেলরা এগিয়ে। ভারতীয় দল থেকে জসপ্রীত বুমরাহ ও অক্ষর পটেল রঞ্জির কর্তব্য পালনে চলে আসায় পার্থিবরা এখন আরও শক্তিশালী। ফলে ফিরোজ শাহ কোটলায় বাংলার কাজটাও কঠিন।
ক্যাপ্টেন মনোজ তিওয়ারি অবশ্য তা মানছেন না। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমরা পঞ্জাবের মতো টিমকে রীতিমতো দাপটের সঙ্গে হারিয়েছি। গুজরাত আর একটা ভাল টিম। ওদেরও আমরা হারাতে পারি।’’
আর বিপক্ষে টিম ইন্ডিয়া ফেরত দুই ক্রিকেটারের থাকা নিয়ে মনোজের সাফ কথা, ‘‘ওই দু’জন এসে যাওয়ায় দলটার শক্তি বেড়েছে ঠিকই। তবে ওদের দলে কে আছে, তা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। আমরা নিজেদের খেলা নিয়ে বেশি ভাবছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy