Advertisement
১১ মে ২০২৪
নাম উঠতে পারে আরও অনেকের

ব্লাটার বনাম যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলছে ব্লাটার বনাম প্লাতিনিও

সেপ ব্লাটার আবার প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসলেন ঠিকই। কিন্তু কত দিনের জন্য, এখন সেটাই প্রশ্ন। একতরফা নির্বাচনে জর্ডনের প্রিন্স আলি বিন আল হুসেনকে হারিয়েও কলঙ্কের ছায়াতেই ব্লাটার। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর দিকে প্রথমেই ধেয়ে আসে প্রশ্ন, ‘কার বুদ্ধিতে এই গ্রেফতারগুলো করা হয়েছে?’ সঙ্গে সঙ্গে আঙুল উঠে যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর দিকে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৫ ০৩:১০
Share: Save:

সেপ ব্লাটার আবার প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসলেন ঠিকই। কিন্তু কত দিনের জন্য, এখন সেটাই প্রশ্ন।
একতরফা নির্বাচনে জর্ডনের প্রিন্স আলি বিন আল হুসেনকে হারিয়েও কলঙ্কের ছায়াতেই ব্লাটার। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর দিকে প্রথমেই ধেয়ে আসে প্রশ্ন, ‘কার বুদ্ধিতে এই গ্রেফতারগুলো করা হয়েছে?’ সঙ্গে সঙ্গে আঙুল উঠে যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর দিকে। ‘‘আমার সন্দেহ ছিল অনেকে গ্রেফতার হবে। কিন্তু ফিফা কংগ্রেস শুরুর আগে এ রকম হবে, ভাবতে পারিনি।’’ পুরো ঘটনার পিছনে ‘চক্রান্ত’ দেখতে পাচ্ছেন ফিফা প্রেসিডেন্ট। বলছেন, ‘‘২০২২ বিশ্বকাপ পাওয়ার দৌড়ে যুক্তরাষ্ট্র হেরেছিল। যদি খাম থেকে ওদের নাম উঠত, এই ঘটনা হত কিনা জানি না।’’
ব্লাটারের অভিযোগের পালা শেষ হতে না হতেই অবশ্য পাল্টা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের আর্থিক দুর্নীতির ব্যাপার যারা দেখে, সেই আইআরএস জানিয়েছে, ফিফা কেলেঙ্কারিতে আরও কয়েক জনের নামে অভিযোগ উঠতে পারে। মনে করা হচ্ছে, জালে হয়তো আরও ‘বড় মাছ’ পড়া বাকি।’

নতুন নাম কাদের, পরিষ্কার করে বলেননি আইআরএস শীর্ষকর্তা রিচার্ড ওয়েবার। তবে তাঁর ইঙ্গিতে স্পষ্ট, এখানেই শেষ নয়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ব্রিটিশ সংস্থা (সিরিয়াস ফ্রড অফিস) তদন্তে নেমেছে। জোড়া আক্রমণে কি প্রেসিডেন্টের চেয়ার দখল করে রাখতে পারবেন ব্লাটার, এখন সেটাই দেখার।

ব্লাটার বনাম যুক্তরাষ্ট্র যেমন চলছে এক দিকে, সে রকমই চলছে প্লাতিনি বনাম ব্লাটারও। গত কয়েক দিন সাবধানী হয়ে থাকলেও শনিবার আক্রমণাত্মক স্ট্র্যাটেজি বেছে নিলেন ফিফা প্রেসিডেন্ট। এর আগে ব্লাটারকে বিশ্বকাপ বয়কট করার হুমকি দিয়েছিলেন ‘বন্ধু’ মিশেল প্লাতিনি। যিনি ব্যক্তিগত ভাবে ব্লাটারকে আবেদনও জানিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্টের চেয়ার ছাড়তে। প্লাতিনির এই আচরণের তীব্র কটাক্ষ করে ব্লাটার এখন বলছেন, ‘‘এই চক্রান্ত শুধু উয়েফার এক জন করেনি। গোটা সংস্থাটাই আমার বিরুদ্ধে ছিল। ওরা ভুলে গেল ১৯৯৮-তে আমি প্রেসিডেন্ট হয়ে এসেছিলাম। ক্ষমা হয়তো করে দেব ওদের, কিন্তু ঘটনাটা ভুলব না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE