এই মাঠেই সব ম্যাচ চাইছেন দুই প্রধানের কর্তারা।—ছবি সংগৃহীত।
আই লিগের ইতিহাসে যা কখনও হয়নি, তাই সম্ভবত এ বার হতে চলেছে দুই প্রধানে। খরচ বাঁচাতে, আর্থিক সঙ্কট সামাল দিতে জোড়া ডার্বি বাদ দিয়ে মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গলের বাকি প্রায় সমস্ত ম্যাচই কল্যাণীতে নিয়ে যেতে চাইছেন দুই প্রধানের কর্তারা।
সবুজ-মেরুন কর্তারা ইতিমধ্যেই তাঁদের ঘরের মাঠে দশটি ম্যাচের সূচি পাঠিয়ে কল্যাণী মাঠ ভাড়া নিয়েছেন। আজ, বৃহস্পতিবার ইস্টবেঙ্গলের বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তারাও চুক্তিপত্র নিয়ে যাচ্ছেন কল্যাণীতে। অগ্রিম দিয়ে মাঠ ভাড়া করাই লক্ষ্য। ইস্টবেঙ্গল অবশ্য তাদের একটি ম্যাচ (৩ ডিসেম্বর) নিজেদের মাঠে খেলতে চাইছে শতবর্ষের অঙ্গ হিসেবে। লাল-হলুদ কোচ আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস, ফেডারেশন এবং প্রতিপক্ষ রিয়াল কাশ্মীর রাজি হলে সেই ম্যাচ ময়দানে হওয়ার সম্ভবনা থাকছে। তবে সব কিছু নির্ভর করছে আজ, বৃহস্পতিবার দিল্লিতে ফেডারেশনের সঙ্গে আই লিগের ক্লাবগুলির সভার উপরে।
প্রায় সাড়ে বারো লক্ষ টাকা দিয়ে স্টেডিয়াম ভাড়া নিয়ে, আলো জ্বালিয়ে, পুলিশ এবং অন্যান্য খরচ দিয়ে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে একটি ম্যাচ করতে এটিকের খরচ হয় প্রায় আঠাশ লক্ষ টাকা। ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের থেকে রাজ্য ক্রীড়া দফতর স্টেডিয়ামের কোনও ভাড়া নেয় না। পরিচ্ছন্নতার জন্য ম্যাচ প্রতি দিতে হয় পনেরো হাজার টাকা। তাতেও যুবভারতীতে ম্যাচ আয়োজন করতে ক্লাবগুলির খরচ হত ১০-১১ লক্ষ টাকা। মোহনবাগানের এক কর্তা বললেন, ‘‘যুবভারতীতে আলো জ্বালালেই খরচ ছয় লক্ষ টাকা। কল্যাণীতে সমস্যা কম।’’ কলণ্যীতে খেলা হলে সব মিলিয়ে ম্যাচ প্রতি খরচ পড়বে সাড়ে তিন লক্ষ টাকার মতো। স্টেডিয়ামের ভাড়া দু’লক্ষ টাকা। বাকি বিষয়গুলি আয়োজনের জন্য খরচ হয় আরও লাখ দেড়েক টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy