Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

টেলি-বৈঠকে হতে পারে কোহালিদের অভিনব টিম মিটিং

এ রকম কঠিন সময়ে কী ভাবে নিজেদের ফিট রাখা যায়?

কৌশল: মাঠ বন্ধ। ফোনেই মিটিংয়ের ভাবনা বিরাট-শাস্ত্রীদের। ফাইল চিত্র

কৌশল: মাঠ বন্ধ। ফোনেই মিটিংয়ের ভাবনা বিরাট-শাস্ত্রীদের। ফাইল চিত্র

সুমিত ঘোষ 
শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২০ ০৪:৩২
Share: Save:

করোনাভাইরাসের জেরে কার্যত সারা পৃথিবী জুড়েই চলছে ‘লকডাউন’। স্তব্ধ প্রায় সব দেশের খেলা। কেউ জানে না, কবে আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। লিয়োনেল মেসি যেমন বার্সেলোনার বাড়িতে বসে, তেমনই মুম্বইয়ের ফ্ল্যাটে বন্দি বিরাট কোহালি। খেলা তো দূরের কথা, কেউ জানে না, কবে আবার দলের সকলে একত্রিত হতে পারবেন।

এ রকম কঠিন সময়ে কী ভাবে নিজেদের ফিট রাখা যায়? ক্রিকেট নৈপুণ্য ধরে রাখার কৌশলই বা কী হতে পারে? এ সব নিয়ে আলোচনা করার জন্য টেলি কনফারেন্স আয়োজন করার কথা ভাবছে রবি শাস্ত্রী, বিরাট কোহালিদের ভারতীয় দল। বৃহস্পতিবার রাতের দিকে পাওয়া ইঙ্গিত অনুযায়ী, এই প্রস্তাব এখনও প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। তবে দীর্ঘ সময় ধরে যে-হেতু সকলে নিজেদের ঘরে আটকে থাকছেন এবং অনুমান করা হচ্ছে, লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়তে পারে, তাই টেলি-বৈঠক করে জরুরি ‘টিম মিটিং’ করার কথা উঠেছে।

কোহালি, রোহিত শর্মা, চেতেশ্বর পুজারা-সহ ভারতীয় দলের সব ক্রিকেটার লকডাউনের পক্ষে বক্তব্য রেখেছেন। বার্তা দিয়েছেন, করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে জিততে লকডাউন সফল করার। প্রত্যেকেই ক্রিকেট মাঠে ফেরার চেয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাই ঘরের বাইরে বেরনো নিয়ে কারও তাড়াহুড়ো নেই। কিন্তু ঘরের মধ্যে বসেও যে অনেক কিছু সম্ভব, তা মানছেন ক্রিকেটারদের অনেকে। অলিম্পিক্সের জন্য অনেক ক্রীড়াবিদ যেমন বাড়িতে আটকে থেকেও যতটা সম্ভব খেলোয়াড়ের দৈনিক রুটিন মেনে চলেছেন, সেই ফর্মুলা অনুসরণ করতে চাইছে ভারতীয় ক্রিকেট দলও।

জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহেই অধিনায়ক কোহালি, হেড কোচ শাস্ত্রী, সহকারী কোচেরা মিলে টেলি-বৈঠকে কথা বলতে পারেন সব ক্রিকেটারের সঙ্গে। এই অবস্থায় বাড়িতে বসেই কী কী করা যায় নিজেদের নৈপুণ্য এবং সক্ষমতা ধরে রাখার জন্য, তা নিয়ে সকলের মতামত নেওয়া হতে পারে। দলের মধ্যে আলোচনার পরে ‘লকডাউন রুটিন’ গোছের কোনও সূচি চূড়ান্ত করা হতে পারে। যে-হেতু ক্রিকেট দলগত খেলা, করোনার দুঃসময়ে এই টেলি-বৈঠক একতা ধরে রাখার প্রক্রিয়া হিসেবেও কাজ করতে পারে বলে অনেকের মনে হচ্ছে।

এমনিতে কোহালিরা শেষ বার টিম হিসেবে একত্রিত হয়েছিলেন ১২ মার্চ। ধর্মশালায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে ম্যাচের জন্য। তা-ও সেই ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যায়। এর পরে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা দু’টি দলই পরের ম্যাচ খেলতে লখনউ পৌঁছয়। কিন্তু লখনউ থেকেই সিরিজ বাতিল হয়ে যায়। সেখান থেকেই যে যাঁর ঘরে ফিরে যান কোহালি, কে এল রাহুলরা। সে ভাবে দেখতে গেলে কোহালিরা শেষ ম্যাচ খেলেছেন ক্রাইস্টচার্চে নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট। ২৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে যা শেষ হয়ে যায় ২ মার্চ। তার পর থেকে আর খুব একটা ব্যাট-বলের সঙ্গে সম্পর্ক কারও নেই। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাড়িতে বসে ফিটনেস রুটিন যতই চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হোক, ক্রিকেট স্কিলের অর্থাৎ নেটে গিয়ে ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলন না-করার প্রভাব প্রত্যেকের খেলায় পড়তে বাধ্য।

গত কয়েক বছরে ভারতীয় দলে ফিটনেস নিয়ে বিপ্লব ঘটে গিয়েছে। কোহালির নেতৃত্বে ফিট একাদশ খেলানোর মন্ত্র নেওয়া হয়েছে। ফাস্ট বোলারদের দুর্দান্ত সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে এই ফিটনেস সাধনা। খেটেখুটে তৈরি করা সেই শারীরিক সক্ষমতা যাতে করোনা হানার এই সময়ে হারিয়ে না-যায়, তার জন্য ইতিমধ্যেই ভারতীয় দলের ট্রেনার এবং ফিজিয়ো যোগাযোগ করেছেন সব ক্রিকেটারের সঙ্গে। প্রত্যেকের বাড়িতে জিম করার কী কী উপকরণ আছে, তা জেনে নিয়ে সেই অনুযায়ী তাঁদের ট্রেনিং সূচি দেওয়া হয়েছে। মানসিক ভাবে চাঙ্গা থাকার কিছু টোটকাও দেওয়া হতে পারে।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেনআপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE