মরিয়া: চোট নিয়েও নামতে চান দীপা কর্মকার। ফাইল চিত্র
আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্স বিশ্বকাপের ফাইনালে আজ, শনিবার পদক জেতার জন্য নামার কথা দীপা কর্মকারের। যোগ্যতানির্ণায়ক পর্বে তৃতীয় হওয়ার পর ফাইনালে পদক জেতার স্বপ্নই দেখেছিলেন তিনি। তাতে শুক্রবার হঠাৎ-ই প্রশ্ন চিহ্ন পড়ে গেল। দীপার কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দী আজেরবাইজান থেকে ফোনে বললেন, ‘‘ভল্টিং টেবলে চোট পেয়েছে দীপা। এশিয়ান গেমসের সময় যে পায়ে লেগেছিল, সেখানেই লেগেছে। ব্যথা নিরোধক ওষুধ খেয়ে সুস্থ হওয়ার চেষ্টা করছে।’’
তাঁর কোচ যখন চোটের কথা বলছেন, তখন ডান পায়ে বরফ বেঁধে হোটেলের অন্য একটি ঘরে বসে আছেন তাঁর ছাত্রী। ফিজিয়ো-র কাছে রি-হ্যাবও করার পর দেশের সেরা জিমন্যাস্টকে বলা হয়েছে রাতে বরফ বেঁধে বসে থাকতে।
শুক্রবার ব্যালান্সিং বিম ইভেন্ট ছিল দীপার। সেখানে সফল হওয়ার কথাও ছিল না। জোরও দেননি পদক জেতার জন্য। ফাইনালেও উঠতে পারেননি। কুড়ি নম্বরে শেষ করেছেন। বিশ্বেশ্বর বললেন, ‘‘অক্টোবরে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে নামতে হবে দীপাকে। চারটে ইভেন্টে নামতে হবে। তার মধ্যে ব্যালান্সিং বিমও রয়েছে। সে জন্যই ওকে নামানো হয়েছিল।’’ কিন্তু সেটা করতে গিয়েই চোট লাগে দীপার। যে পায়ে অস্ত্রোপচার হয়েছিল সেখানেই চোট লেগেছে। ফলে চিন্তায় কোচ।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
চোট নিয়ে রিয়ো অলিম্পিক্সে চমকে দিয়েছিলেন দীপা। ভারতের ইতিহাসে প্রথম মেয়ে জিমন্যাস্ট হিসাবে চতুর্থ হয়েছিলেন। অল্পের জন্য পদক হাতছাড়া হয়েছিল। অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। এখন দীপা চেষ্টা চালাচ্ছেন ২০২০ টোকিয়ো অলিম্পিক্সের যোগ্যতামান পাওয়ার জন্য। সেই যোগ্যতা পাওয়ার জন্য দুটো বিশ্বকাপে (বাকু এবং দোহা) সোনা দরকার। দরকার এশীয় চ্যাম্পিয়নশিপের ভাল ফল। বিশ্বেশ্বর বলছিলেন, ‘‘দীপা এখানে পদকের জন্য এসেছে। সেরাটা দেওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিল। রি-হ্যাব চলছে। ওষুধ খেয়ে ও নামবে। দেখা যাক কী হয়। ও যা জেদি মেয়ে, তাতে শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবে।’’
কিন্তু চোটের জন্য ভল্টে কি পরিবর্তন আনবেন? বিশ্বেশ্বর ভাঙতে চাইলেন না। বললেন, ‘‘আগে সুস্থ হোক। তারপর ঠিক করব কোনটা করবে। এখানে বিশ্বসেরারা নেমেছে। তাই অনেক কিছু ভাবতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy