ফাইল চিত্র।
যত কাণ্ড ইস্টবেঙ্গলে! দীর্ঘ টালবাহানার পরে পুরনো বিনিয়োগকারীর সঙ্গে বিচ্ছেদ। তার পরে ক্রীড়া স্বত্ব ফেরত পাওয়া নিয়ে আরও এক দফা নাটক। এ বার বকেয়া অর্থের দাবিতে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন ইস্টবেঙ্গলের সাত ফুটবলার।
করোনা অতিমারির জেরে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই মরসুম বাতিল করে দিয়েছিল এআইএফএফ। এর পরেই ইস্টবেঙ্গলের আগের বিনিয়োগকারী সংস্থা ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়। শুধু তাই নয়। দু’মাসের বেতনও না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পরে অবশ্য এক মাসের বেতন মিটিয়ে দেওয়া হয়। যাঁদের চুক্তি এখনও শেষ হয়নি, তাঁরাই সব চেয়ে সমস্যায় পড়েছেন। যেমন অভিষেক আম্বেকর। তাঁর আরও এক বছর চুক্তি রয়েছে। পিন্টু মাহাতোর দু’বছর এখনও ইস্টবেঙ্গলে খেলার কথা। এই তালিকায় রক্ষিত ডাগার, খাইমে সান্তোস কোলাদো, জনি আকস্তা, লালরিনডিকা রালতে, ফিজিক্যাল ট্রেনার কার্লোস নোদারেরও নাম রয়েছে।
ইতিমধ্যেই ক্ষুব্ধ ফুটবলারেরা আগের বিনিয়োগকারী সংস্থাকে নোটিশ পাঠিয়েছেন বকেয়া মেটানোর জন্য। কিন্তু বিনিয়োগকারী সংস্থার তরফে দাবি করা হচ্ছে, ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। তাই বকেয়া মেটানোর দায়িত্ব তাদের নয়। এর পরেই দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তিতে থাকা ফুটবলারেরাই ভারতে ফুটবলারদের সংস্থার মাধ্যমে এআইএফএফ-র প্লেয়ার্স স্টেটাস কমিটির কাছে অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁদের দাবি, চুক্তি অনুযায়ী পুরো অর্থই দিতে হবে। নাম প্রকাশ করা যাবে না শর্তে তাঁরা বললেন, ‘‘পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে চুক্তি ছিন্ন হওয়ার কথা ছিল। আমরা ইস্টবেঙ্গলের আগের বিনিয়োগকারী সংস্থার শর্তে রাজি হইনি। আমাদের একটাই দাবি, চুক্তি অনুযায়ী অর্থ দিয়ে দেওয়া হোক। কয়েক দিনের মধ্যেই আমরা চিঠি দিচ্ছি ফেডারেশনকে’’ ইস্টবেঙ্গলও ফুটবলারদের বকেয়া মেটাতে রাজি নয়। তারা কাঠগড়ায় তুলছে আগের বিনিয়োগকারী সংস্থাকেই।
তা হলে ফুটবলারদের বকেয়া কে মেটাবে? ফেডারেশনের শীর্ষ কর্তাদের কথায়, ‘‘আগের বিনিয়োগকারীর সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের বিচ্ছেদের চুক্তিতে কী রয়েছে সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি লেখা থাকে আর্থিক কোনও দায় আর বিনিয়োগকারী সংস্থার নেই, তা হলে ইস্টবেঙ্গলকেই বকেয়া মেটাতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy