কৈলাসের সঙ্গে আলোচনায় ইস্ট-মোহন কর্তারা, সঙ্গে কল্যাণ চৌবে। নিজস্ব চিত্র।
আই লিগই হোক বা আইএসএল, দেশের এক নম্বর ফুটবল লিগ হিসেবে যেটাকে মর্যাদা দেবে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ), তাতেই যেন রাখা হয় মোহনবাগান আর ইস্টবেঙ্গলকে। এই দাবি ‘যথাস্থানে’ পৌঁছে দেওয়ার আর্জি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের সঙ্গে দেখা করলেন দুই প্রধানের কর্তারা।
কিছু দিন আগেই এআইএফএফ বৈঠক করে জানিয়ে দেয়, যারা এ বছর থেকে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হবে তারা সরাসরি এএফসি কাপ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ালিফায়ারে খেলার সুযোগ পাবে। এবং যারা আইলিগ চ্যাম্পিয়ন হবে তারা এএফসি কাপের প্লে অফে খেলার সুযোগ পাবে। যার অর্থ, আইএসএল-কেই দেশের এক নম্বর লিগ করে দেওয়া হল। এই নিয়েই ক্ষোভ দেখা দিয়েছে বাংলার ঐতিহ্যশালী দুই ক্লাব মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠি দিয়েছে আই লিগ খেলা ছয় ক্লাবের জোট।
দুই প্রধানের এই ক্ষোভ মেটাতে ‘প্রভাবশালী’ হস্তক্ষেপের উদ্যোগ নিয়েছেন জাতীয় দলের প্রাক্তন গোলরক্ষক এবং গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কৃষ্ণনগরের প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। শুক্রবার তিনিই কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করেন কলকাতায়। সেই মতো বিজয়বর্গীয়ের সঙ্গে দেখা করেন মোহনবাগানের তরফে দেবাশিস দত্ত এবং সৃঞ্জয় বোস। ইস্টবেঙ্গলের তরফে দেখা করেন শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত এবং দেবব্রত সরকার।
দুই ক্লাবের প্রতিনিধিরাই সরব হন বাংলার ফুটবলের এই ‘অবমাননা’ নিয়ে। দাবি করেন তাদের যাতে দেশের এক নম্বর লিগে খেলতে দেওয়া হয়। বাংলার এই দুই ক্লাবের ঐতিহ্য অনেক পুরনো তাই এক নম্বর লিগে খেলতে দেওয়া না দিয়ে তাদের অবমাননা করা হচ্ছে বলেই মনে করেন দুই ক্লাবের কর্তারা।
আরও পড়ুন: মেরি কমই প্রেরণা, বলছেন সুনীল
বৈঠকের শেষে বিজয়বর্গীয় বলেন, “যে স্তরে আলোচনা করে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব সেই স্তরে গিয়ে আমি আলোচনা করব। আমি শীঘ্রই এই নিয়ে আমাদের ক্রিড়ামন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর সঙ্গে কথা বলব। আমি বাংলার ফুটবল ও দুই প্রাচীন ক্লাব সম্পর্কে জানি। তাঁদের যাতে এক নম্বর লিগে খেলতে দেওয়া হয় এই নিয়ে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব।”
প্রাক্তন গোলরক্ষক কল্যাণ চৌবে দুই ক্লাবের প্রতিনিধিদের বিজয়বর্গীয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করেন।— ফাইল চিত্র।
বাংলার দুই প্রধানের ড্রেসিংরুমের সঙ্গে পরিচিত প্রাক্তন গোলরক্ষক কল্যাণ চৌবে এ দিন আনন্দবাজারকে বলেন, “দুই ক্লাবের সঙ্গেই আমি পরিচিত। দুটো ক্লাবই কার্যত দ্বিতীয় ডিভিশনে নেমে গিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরে সংবাদমাধ্যমে এই খবর দেখে আমিই উদ্যোগ নিলাম। দুই ক্লাবের দাবিকে যাতে প্রাধান্য দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকারে থাকা শাসকদলের সঙ্গে আমার সম্পর্ক থাকার কারণে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে ঘটনার কথা বলে এই বৈঠকের ব্যবস্থা করেছিলাম। যে স্তরে কথা বললে কাজ হবে, কৈলাসজি সেই ব্যবস্থা নেবেন বলে কথা দিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy