ছবি সংগৃহীত।
করোনার প্রকোপে ফুটবলের মতো টেনিসেও এ বার চলে এল পরিবর্তন। অগস্টে যুক্তরাষ্ট্র ওপেন দিয়ে ফিরছে গ্র্যান্ড স্ল্যাম। আর সেখানে বেশির ভাগ কোর্টে সম্ভবত লাইন-বিচারকদের রাখা হবে না। তার বদলে প্রযুক্তির সাহায্যে লাইন-কল করা হবে।
বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের সব চেয়ে বড় দু’টি কোর্টে লাইন-কল করার জন্য বিচারকেরা থাকবেন। বাকি কোর্টে শারীরিক দূরত্ব রক্ষার কারণে তাঁদের রাখা হবে না। সিঙ্গলসে কোনও যোগ্যতামান অর্জনের পর্ব রাখা হচ্ছে না। থাকবে না মিক্সড ডাবলসও। বল-বয় বা বল-গার্লের সংখ্যাও কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ছ’জনের পরিবর্তে রাখা হবে তিন জন। সেই সঙ্গে হুইলচেয়ার প্রতিযোগিতাও বাতিল করা হয়েছে, যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৫ ও ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে হুইলচেয়ার সিঙ্গলসে জয়ী ডিলান অ্যালকট তোপ দেগেছেন, ‘‘বিশ্বের এক নম্বর হওয়ায় যোগ্যতা অর্জন করতাম। কিন্তু হাঁটতে পারি না বলে খেলার সুযোগ হারালাম।’’ তবে আয়োজকদের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘‘এটা একটা নতুন যাত্রা। বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা।’’
যুক্তরাষ্ট্র ওপেন খেলতে এসে প্রথমেই করোনা পরীক্ষা করাতে হবে খেলোয়াড়দের। তার পর প্রতিযোগিতা চলার মাঝে প্রত্যেক সপ্তাহে এক বার করে পরীক্ষা হবে। অতিমারি মার্কিন মুলুকে ভয়ঙ্কর রূপ নিলেও নিউ ইয়র্ক সরকার টেনিসের গ্র্যান্ড স্ল্যাম করার অনুমতি দিয়েছে। ৩১ অগস্ট থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর প্রতিযোগিতা হবে। সেরিনা উইলিয়ামস জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি খেলবেন। কানাডার নতুন রানি বিয়াঙ্কা আন্দ্রেস্কু আসছেন। আবার নিক কিরিয়সের মতো কেউ কেউ সমালোচনায় মুখর। গত বারের চ্যাম্পিয়ন রাফায়েল নাদাল এবং নোভাক জোকোভিচ কী সিদ্ধান্ত নেন, সে দিকে তাকিয়ে টেনিস বিশ্ব। হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হওয়া রজার ফেডেরার এ বছরের মতো ছিটকে গিয়েছেন বলে খবর। এর মধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে, মে-জুনের পরিবর্তে এ বারের ফরাসি ওপেনের মূলপর্ব শুরু হবে ২৭ সেপ্টেম্বর। চলবে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy