—ফাইল চিত্র।
ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে দুই রানে হেরে বিজয় হজারে ট্রফি থেকে কার্যত বিদায় বাংলার। যা হতাশ করেছে বাংলার সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় থেকে প্রাক্তন অধিনায়ক সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অশোক মলহোত্রেরা।
সোমবার চেন্নাইয়ে প্রথমে ব্যাট করে আট উইকেট হারিয়ে ২৬৭ রান করেছিল বাংলা। ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরন (১৪৯) ও মনোজ তিওয়ারি (৬৯) রান না পেলে হয়তো আজ একশো রানের মধ্যেই শেষ হয়ে যেতে পারত বাংলার ইনিংস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৬৪ রান করে ঝাড়খণ্ড। তাঁরা ম্যাচ জেতে দুই রানে, ভিজেডি পদ্ধতির সৌজন্যে। কারণ আলো কমে আসায় ম্যাচ বন্ধ করতে বাধ্য হন আম্পায়ারেরা।
সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ মনে করেন, দলে ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্সের অভাবই বাংলার হারের মূল কারণ। সোমবার সিএবি-তে তিনি বলেন, ‘‘অভিমন্যু, মনোজ রান করেছে ঠিকই, কিন্তু দলে ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্সের অভাব। ওদের তিনশোর ওপরে রান করা উচিত ছিল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘হারটা ইতিহাস হয়ে যাচ্ছে। এটা বদলানোর জন্য যাবতীয় চেষ্টা করা হচ্ছে। মনোবিদেরও ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু খেলতে তো হবে।’’ বাংলার রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও বেশ হতাশ। তাঁর মতে, কোচ সাইরাজ বাহুতুলের কাছে এ ব্যাপারে কৈফিয়ৎ চাওয়া উচিত সিএবির। সম্বরণ বলেন, ‘‘সিএবি এত সুযোগ, সুবিধা দেওয়ার পরেও কেন ছেলেদের এই হাল, সেটা কোচকে প্রশ্ন করা উচিত। মনোজ, অভিমন্যুরা আর কত রান করবে? জুনিয়রদেরও দলকে জেতানোর দায়িত্ব নিতে হবে।’’
প্রাক্তন ভারতীয় ব্যাটসম্যান অশোক মলহোত্রের প্রশ্ন দলগঠন নিয়ে। বলেন, ‘‘বাংলার দলগঠন দেখে আমি হতাশ। গত বছর রঞ্জি ট্রফিতে দলের হয়ে যে সব চেয়ে বেশি রান করেছে সেই অভিষেক রামনকে বাদ দিয়েই দল গড়েছে বাংলা। অফস্পিনার আমির গনিকেও খেলানো হচ্ছে না। তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়মিত সুযোগ দেওয়া না হলে তারা কী ভাবে একদিন নেমেই ম্যাচ জিতিয়ে দেবে! তারই সঙ্গে সমস্যা বেড়েছে সুদীপ (চট্টোপাধ্যায়) রান না পাওয়ায়।’’ দলের কোচিং নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে তাঁর। অশোকের প্রতিক্রিয়া, ‘‘কোচ কিন্তু দলকে সে ভাবে সাফল্য দিতে পারেনি। তা হলে রাজ্যের বাইরে থেকে কেন কোচ নিয়ে আসা হচ্ছে?’’
ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে হারের পরে এলিট গ্রুপ ‘সি’-র ষষ্ঠ স্থানেই রয়েছে বাংলা। এখনও হাতে তিনটি ম্যাচ। কিন্তু এই গ্রুপ থেকে প্রথম দু’টি দলই কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার সুযোগ পাবে। ফলে বাংলা পরের তিনটি ম্যাচ জিতলেও অন্যদের পারফরম্যান্সের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। মনোজদের পরের প্রতিপক্ষ হরিয়ানা, রাজস্থান ও গুজরাত। তিনটি দলের মধ্যে রাজস্থান সে ভাবে নজর কাড়তে না পারলেও গ্রুপের তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে থাকা হরিয়ানা ও গুজরাতের বিরুদ্ধে ম্যাচ বাকি মনোজদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy