লড়াই: এ ভাবেই চার্চিল রক্ষণে আটকে গেলেন সনি। এআইএফএফ
জয়ের সরণিতে প্রত্যাবর্তনের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল মোহনবাগানের। শনিবার গোয়ায় চার্চিল ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও জয় হাতছাড়া করলেন সনি নর্দেরা। আর ড্র করে চার্চিল খেতাবি দৌড় থেকে কার্যত ছিটকে যাওয়ায় স্বস্তি চেন্নাই সিটি এফসি, রিয়াল কাশ্মীর ও ইস্টবেঙ্গল শিবিরে!
আই লিগের খেতাবি দৌড় থেকে মোহনবাগান আগেই ছিটকে গিয়েছে। কিন্তু সুপার কাপের মূল পর্বে খেলা নিশ্চিত করতে চার্চিলের বিরুদ্ধে জিততে এ দিন মরিয়া ছিলেন সনিরা। ৩৯ মিনিটে চার্চিল ডিফেন্ডারদের ভুলে বল পেয়ে যান দিপান্দা ডিকা। ঠান্ডা মাথায় গোল করে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন তিনি।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে এ দিন জিততেই হত চার্চিলকে। অথচ প্রথমার্ধেই নেমে এল বিপর্যয়। তার উপরে খালিদ জামিলের রণকৌশলে শুরু থেকেই ছন্দহীন উইলিস প্লাজ়া। ১৭ গোল করে বিধ্বংসী ফর্মে থাকা চার্চিল স্ট্রাইকার এ দিন মোহনবাগানের চক্রব্যূহে বন্দি হয়ে হাসফাঁস করলেন। প্রথম পর্বের ম্যাচে প্লাজ়া একাই কার্যত গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন এজে কিংসলেদের যাবতীয় প্রতিরোধ। সেই সময় মোহবাগানের কোচ যিনি ছিলেন, সেই শঙ্করলাল চক্রবর্তী বিপক্ষের সেরা অস্ত্রকে থামানোর কোনও চেষ্টাই করেননি। শনিবার খালিদ কিন্তু সেই ভুলটা করেননি। প্লাজ়া নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়তেই চার্চিল ছন্দহীন। তা সত্ত্বেও মোহনবাগান জয় হাতছাড়া করল রক্ষণের ভুলে। পেনাল্টি বক্সের মধ্যে প্লাজ়াকে ফাউল করেন কিংসলে। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির নির্দেশ দেন। গোল করে সমতা ফেরান অ্যান্টনি উলফ।
এ দিনের ড্রয়ের ফলে লিগ টেবলে চার্চিল ও মোহনবাগানের অবস্থানে কোনও পরিবর্তন হল না। ১৭ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে প্লাজ়ারা তৃতীয় স্থানে থাকলেও খেতাবি দৌড় থেকে কার্যত ছিটকে গেলেন। এক ম্যাচ কম খেলে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানেই মোহনবাগান। প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে যথাক্রমে চেন্নাই সিটি এফসি ও রিয়াল কাশ্মীর। ১৫ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট পেদ্রো মানজ়িদের। কাশ্মীরের পয়েন্ট ১৬ ম্যাচে ৩২। চতুর্থ স্থানে থাকা ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট ১৪ ম্যাচে ২৮।
চার্চিল ব্রাদার্স: বিগ্নেশ্বরণ ভাস্করণ, ওয়েন ভাস, হুসেইন এলদোর (রওলসন রদ্রিগেজ), নেনাদ নোভাকোভিচ, জোভেল মার্টিন্স, খালিদ আউচো, রিচার্ড কোস্তা (অ্যানিস্টন ফার্নান্দেজ), চেস্টারপল লিংডো (অ্যান্টনি উলফ), কেভিন লোবো, দাওদা সিসে ও উইলিস প্লাজ়া।
মোহনবাগান: শিল্টন পাল, অময় রানাওয়াড়ে (অরিজিৎ বাগুই), বিক্রমজিৎ সিংহ, এজে কিংসলে, গুরজিন্দর কুমার, ওমর এলহুসেইনি (শেখ ফৈয়জ), মেহতাব হোসেন, অবিনাশ রুইদাস, সনি নর্দে, হেনরি কিসেক্কা ও দিপান্দা ডিকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy