লড়াকু: বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে সেঞ্চুরি পেলেন ইমাম। ছবি: এপি।
বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন শেষ পাকিস্তানের। শুক্রবার লর্ডসে ৩১৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই আট রান করে ফেলে বাংলাদেশ।
সরফরাজ় আহমেদদের শেষ চারের স্বপ্ন বেঁচে থাকত যদি সাত রানের মধ্যে বিপক্ষকে অলআউট করতেন মহম্মদ আমির, শাহিন শাহ আফ্রিদিরা। কিন্তু বিশ্বকাপে দুরন্ত খেলা শাকিব আল হাসানের দলের বিরুদ্ধে তা স্বপ্নই থেকে গিয়েছে। এ দিন বিশ্বকাপের চার দল নিশ্চিত হয়ে গেল। ভারত, অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি জায়গা করে নিল ইংল্যান্ড ও নিউজ়িল্যান্ড। বাংলাদেশকে ৯৪ রানে হারালেও নেট রানরেটে পিছিয়ে থাকার জন্য সেমিফাইনাল খেলা হল না পাকিস্তানের।
তবুও শাহিন শাহ আফ্রিদির পারফরম্যান্সই দুঃখের দিনেও মুখে হাসি ফোটাল পাক সমর্থকদের। ৯.১ ওভার বল করে ৩৫ রান দিয়ে ছয় উইকেট শাহিনের। ৭৭ বলে ৬৪ রান করে শাকিব পেরোলেন ৬০০ রানের গণ্ডি। এ বারের বিশ্বকাপে ৬০৬ রান করার পাশাপাশি ১১টি উইকেট রয়েছে শাকিবের ঝুলিতে।
বৃহস্পতিবার আবেগের বসে পাক অধিনায়ক সরফরাজ় আহমেদ বলেছিলেন, ‘‘৫০০ রান করা অসম্ভব নয়। শেষ চারের লড়াইয়ে টিকে থাকার জন্য আমরা নিজেদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত।’’ ৫০০ রান তো হলই না, ৩৫০ রানের গণ্ডিও পেরোতে পারল না পাকিস্তান। বাংলাদেশ একাধিক ক্যাচ ও ফিল্ডিং ফস্কানোর পরে নয় উইকেট হারিয়ে ৩১৫ রান করে পাকিস্তান। এ দিনই বিশ্বকাপের প্রথম সেঞ্চুরি পেলেন পাক ওপেনার ইমাম উল হক। ১০০ বলে ১০০ রান করে ফিরে যান তিনি। দ্বিতীয় সেঞ্চুরি ফস্কালেন বাবর আজ়ম। তিনি ফিরে যান ৯৮ বলে ৯৬ রান করে।
৫০০ রানের গণ্ডি পেরোতে পাকিস্তানকে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে হত শুরু থেকেই। কিন্তু এ দিন প্রথম দশ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান তোলে ৩৮ রান। ওভার প্রতি ৩.৮ রান করে করলে ৪০০ রান করা কি আদৌ সম্ভব? পাক ওপেনারদের ব্যাটিং দেখে বোঝাই গেল না জটিল অঙ্কের হিসেব নিয়ে খেলতে নেমেছে। এ দিন পাওয়ারপ্লে-তে বল করেন অফস্পিনার মেহদি হাসান মিরাজ়। প্রথম পাঁচ ওভারে তিনি মাত্র নয় রান দেন। পেসারদের বিরুদ্ধেও সে রকম আগ্রাসী ব্যাটিং করতে দেখা যায়নি পাকিস্তানকে।
এ দিন টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার পরে পাক কোচ মিকি আর্থারকে জড়িয়ে ধরেন সরফরাজ়। ধারাভাষ্যকার সুনীল গাওস্করকে বলতে শোনা যায়, ‘‘হয়তো প্রতিযোগিতায় বেঁচে থাকার উৎসব এখন থেকেই শুরু করল পাকিস্তান।’’ কিন্তু প্রথম দশ ওভারে ইমামদের ব্যাটিং দেখেই পাকিস্তানের বিদায়ের ছবিও যেন ক্রমশ প্রকট হতে থাকে।
ব্যাটিং অর্ডারেও পরিবর্তন করতে দেখা গেল না সরফরাজ়কে। পাক অধিনায়কের হাতে বড় শট রয়েছে। শেষ বিশ্বকাপে ওপেন করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। তবুও কেন তিনি উপরের দিকে ব্যাট করতে এলেন না তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। এ ছাড়াও ইমাদ ওয়াসিম, হ্যারিস সোহেলদেরও উপরের দিকে ব্যাট করতে পাঠাননি পাক অধিনায়ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy