ক্যারিবিয়ান ইনিংসে ভাঙন ধরালেন উমেশ। ছবি: পিটিআই।
হায়দরাবাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে জেতার জন্য ভারতের দরকার ছিল ৭২ রান। তৃতীয় দিনে বাকি ছিল ১৫ ওভারের মতো। সময় ছিল প্রায় ৪৫ মিনিট। রবিবারই সিরিজ ২-০ করতে পারবে কিনা টিম ইন্ডিয়া, এটাই ছিল একমাত্র চ্যালেঞ্জ। বিরাট কোহালির ভারতের সামনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের তরফে যে কোনও চ্যালেঞ্জই ছিল না!
তা আক্রমণাত্মক মেজাজেই ভারত (৭৫-০) পৌঁছে গেল জয়ের লক্ষ্যে। জয় এল দশ উইকেটে। অপরাজিত থাকলেন দুই ওপেনার। পৃথ্বী শ করলেন ৩৩। লোকেশ রাহুল-ও করলেন ৩৩। রাজকোটে প্রথম টেস্টও তিন দিনে জিতেছিল ভারত। এই টেস্টেও জয় এল তিন দিনে। অথচ, সকালে ভারতের প্রথম ইনিংস যখন ৩৬৭ রানে থামিয়ে দিয়েছিল ক্যারিবিয়ানরা, তখন বোঝাই যায়নি ব্যাট হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে এ ভাবে আত্মসমর্পণ করবে তারা। কিন্তু, হল ঠিক তাই।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হল ১২৭ রানে। ৪৬.১ ওভারেই থেমে গেল প্রতিরোধ। পেসার উমেশ যাদবই ভাঙলেন। প্রথম ইনিংসে ৮৮ রানে ছয় উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ৪৫ রানে নিলেন চার উইকেট।ম্যাচে দশ উইকেট হল তাঁর।তিন উইকেট নিলেন রবীন্দ্র জাডেজা। দুই উইকেট নিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এক উইকেট কুলদীপ যাদবের।সুনীল অ্যামব্রিস (৩৮), শাই হোপ (২৮) ছাড়া কেউ কুড়ির ওপারে যাননি।
আরও পড়ুন: জানেন এই বিখ্যাত ক্রিকেটারদের সঙ্গে কী ভাবে আলাপ হয়েছিল তাঁদের লাইফ পার্টনারের
আরও পড়ুন: এই ভুল আর করব না, শপথ পৃথ্বীর
ভারতের প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। ছবি: এপি।
সকালে ৫৬ রানের লিড পেয়েছিল বিরাট কোহালির ভারত। জমে গিয়েছিল টেস্ট।রবিবার সকালে চার উইকেটে ৩০৮ রান নিয়ে শুরু করেছিলেন ঋষভ পন্থ ও অজিঙ্ক রাহানে। দু'জনেই সেঞ্চুরির কাছাকাছি ছিলেন। অসমাপ্ত পঞ্চম উইকেটে ঋষভ-রাহানে দেড়শোর মতো রান যোগও করে ফেলেছিলেন। মনে করা হচ্ছিল, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩১১ রান টপকে দেড়শো থেকে দু'শো রানের লিড নেবে টিম ইন্ডিয়া। অন্যরকম ভেবেছিলেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। রবিবার সকালে তাঁর পাঁচ উইকেট ভাঙন ধরিয়েছিল। রাহানে (৮০), রবীন্দ্র জাডেজা (০), কুলদীপ যাদব (৬) পরপর ফিরেছিলেন তাঁর বলে। অসাধারণ বোলিং গড় তাঁর। ২৩-৫-৫৬-৫। এর আগে ব্যাটেও ৫২ করেছিলেন হোল্ডার। কিন্তু, বাকিদের থেকে ব্যাটে-বলে সহায়তা পাননি তিনি।
রাজকোটে সিরিজের প্রথম টেস্টে ৯২ রানে ফিরেছিলেন ঋষভ। এদিনও শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে ওই রানেই ফিরেছিলেন। পরপর দুই টেস্টে, লাগাতার দুই ইনিংসে ৯২ রানে ফিরলেন তিনি। রাহানেও তিন অঙ্কের রানে পৌঁছনোর সুযোগ হারিয়েছিলেন। লোয়ার অর্ডারে রান পাননি উমেশ যাদব (২)। কুঁচকির চোট নিয়েও নেমে ৪ রানে অপরাজিত থেকেছিলেন শার্দুল ঠাকুর। ভারতের লিড পঞ্চাশের ওপারে নিয়ে গিয়েছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন (৩৫)। শেষ উইকেটে অশ্বিন-শার্দুল যোগ করেছিলেন ২৮ রান। যা ম্যাচের পরিস্থিতি অনুসারে মূল্যবান হয়ে উঠল। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে অশ্বিনকে ফিরিয়েছিলেন গ্যাব্রিয়েল (৩-১০৭)।
(আইসিসি বিশ্বকাপ হোক বা আইপিএল টেস্ট ক্রিকেট, ওয়ান ডে কিংবা টি-টোয়েন্টি। ক্রিকেট খেলার সব আপডেট আমাদের খেলা বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy