কলকাতা লিগের হাল যে প্রতিদিন খারাপ হচ্ছে, সেটা নতুন কিছু নয়। তবে এ বার সেই লিগকে কোণঠাসা করতে মাঠে নেমে পড়ল খোদ ফেডারেশনই।
কলকাতা লিগের সময়ে ভারতীয় দলের শুভেচ্ছা সফরের ব্যবস্থা করে।
ভারতীয় দলের কোচ স্টিভন কনস্ট্যান্টাইন কিছু দিন আগেই টুইট করে বলেছিলেন, ‘‘আমি বেশি বেশি করে প্রদর্শনী ম্যাচ খেলতে চাই।’’ তাঁর সেই টুইট ফেডারেশনের বড় কর্তাদের কোনও ভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে কি না জানা নেই। তবে স্টিভনের ইচ্ছাকেই মনে হয় সম্মান জানালেন কর্তারা! ১-১৪ অগস্ট যুক্তরাষ্ট্রে পাঁচটি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলবে ভারত। এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছে ভারতীয় ফুটবল দল। আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল, সেই ‘এক্সপোজার ট্যুর’ বা শুভেচ্ছা সফরের জন্য কলকাতা লিগের সময়কেই বেছে নিলেন কর্তারা।
এখানে বলা রাখা ভাল যে, বিভিন্ন ঘরোয়া লিগ কখন হবে তা ঠিক করে দেন ফেডারেশন কর্তারাই। সেই সময়ের মধ্যেই কলকাতা লিগ হচ্ছে। আজ শনিবার সরকারি ভাবে লিগের সূচি জানাবে আইএফএ। তার আগেই তাদের ধাক্কা খেতে হচ্ছে। কারণ দুই প্রধানের সাত তারকা ফুটবলারকে নিয়ে প্রদর্শনী ম্যাচ খেলতে বিদেশ সফরে যাচ্ছেন ব্রিটিশ কোচ। তাই প্রশ্ন উঠছে, ফেডারেশন কি চায় না ঘরোয়া লিগ জমজমাট হোক।
যুক্তরাষ্ট্রগামী জাতীয় শিবির হচ্ছে (২৪-৩১ জুলাই) নয়াদিল্লিতে। সেই শিবিরের জন্য যে তালিকা তৈরি করেছেন স্টিভন তাতে ইস্টবেঙ্গল থেকে যে চার জন ফুটবলার নেওয়া হয়েছে তাতে আছেন অর্ণব মণ্ডল, নারায়ণ দাস, মহম্মদ রফিক এবং কৌশিক সরকার। মোহনবাগানের প্রীতম কোটাল, প্রণয় হালদার ও বিক্রমজিৎ সিংহ। বাগানের তিন জন অবশ্য কলকাতা লিগের টিমে এখনও নেই। তবে খুব তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ২৯ জনের শিবির থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বেঙ্গালুরু এফসি-র ফুটবলারদের। এমনকী ভারতীয় দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীর নামও নেই তালিকায়। কেন নেই তাঁরা, সেই ব্যাখ্যা অবশ্য দিলেন স্বয়ং সুনীলই। শুক্রবার রাতে ফোনে তিনি বললেন, ‘‘এই নিয়ে আমার সঙ্গে আগেই কথা হয়ে গিয়েছে ফেডারেশনের। আসলে ট্যাম্পাইন্স রোভার্সের সঙ্গে আমাদের এএফসি কাপের ম্যাচ আছে সেপ্টেম্বরে। সেটার জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। ২৪ জুলাই থেকে নতুন কোচের সঙ্গে মরসুম শুরু করছি। যেহেতু শুভেচ্ছা সফর তাই বেঙ্গালুরু এফসি ফুটবলার ছাড়েনি।’’
সেপ্টেম্বরে এএফসি কাপের ম্যাচ আছে বলে অগস্টে জাতীয় দলের জন্য ফুটবলার ছাড়েনি বেঙ্গালুরু। এখন প্রশ্ন, কলকাতা লিগের মাঝে কি ফুটবলার ছাড়বে ইস্ট-মোহন? এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে, ক্লাবেরা তাদের দলের কোচের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তবে যে প্রশ্নের কোনও উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না সেটা হল, কেন কলকাতা লিগের মধ্যেই এ রকম একটা বিদেশ সফর করতে উদ্যোগী হল ফেডারেশন?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy