ছবি পিটিআই।
আইপিএল আক্ষরিক অর্থে জমজমাট অবস্থায়। রবিবারটা অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ দিন। বিরাট কোহালির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের (আরসিবি) কথাই ধরা যাক। কে না জানে, এই মুহূর্তে ওদের হারানোর কিছুই নেই। শুরুর সময়টা ওদের খুব খুব খারাপ কেটেছে। পরের পর ম্যাচ হেরেছে বিরাটরা। কিন্তু তার পরেই হঠাৎ যেন ছবিটা পাল্টে গেল। নিজেদের খেলার আদলটা সম্পূর্ণ বদলে ফেলে মোট পাঁচ ম্যাচ জিতে (টানা তিনটি) চমকে দিল আরসিবি। জানি, এখন ওদের নিয়ে অনেকে অনেক রকম কথা ভাবছে। আর আমার মনে হচ্ছে, বিরাটরা হঠাৎই এই টুর্নামেন্টের অন্য আরও অনেক দলের থেকে বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে।
অনেকেই ভাবতে বসেছেন, কী ভাবে আরসিবি দ্রুত নিজেদের এতটা বদলে ফেলল। এটা তো অনেকটা পুনরুত্থানের মতোই। আমার মনে হচ্ছে, এই অসম্ভব একটা ব্যাপার সম্ভব হয়েছে ওদের বোলিংয়ে দুরন্ত ধারাবাহিকতার জন্য। এমনিতে এই টুর্নামেন্টের একটা বৈশিষ্ট্য সব সময়ই চোখে পড়ে। সেটা হচ্ছে, লিগের একেবারে শেষ দিকে এসে এক-একটা দলের তুরুপের তাস হয়ে ওঠে স্পিনাররা। দেখেছি অতীতে বারবার ভাল স্পিনাররা লিগের শেষ দিকে এসে ভেল্কি দেখাতে শুরু করে। এ বারও কিন্তু সেটাই দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন কেন্দ্রে উইকেটের চরিত্রও বদলে যাচ্ছে। পিচ দেখছি ক্রমশ মন্থর হয়ে পড়ছে। তাই হয়তো সেই অর্থে বড় রানের ইনিংস আর দেখা যাচ্ছে না। হয়তো আর দেখা যাবেও না।
এমন একটা অবস্থায় টস কিন্তু বিরাট গুরুত্বপূর্ণ। দেখা যাচ্ছে যে সব দলকে রান তাড়া করতে হচ্ছে তারা সফল হচ্ছে তুলনায় অনেক বেশি। যার প্রধান কারণ প্রথমে ব্যাট করে কত রান তুলতে পারলে জয় নিশ্চিত হবে সেটা বোঝা যাচ্ছে না। তার উপর বড় রান তুলতে গিয়ে বেশির ভাগ দল পরপর উইকেট হারাচ্ছে। শেষে দেখা যাচ্ছে, জয়ের জন্য নিরাপদ রান থেকে সব সময় প্রায় প্রথমে ব্যাট করতে নামা দল ১৫ থেকে ২০ রান কম করছে।
রবিবার দিল্লি ক্যাপিটালস জিতলে লিগ টেবলে প্রথম দু’টি দলের জায়গা নিয়ে লড়াই তীব্র হবে। এমনিতে আমার মনে হয়, চেন্নাই সুপার কিংসই এক নম্বরে শেষ করবে। আর দু’নম্বরের জন্য লড়াইটা হবে দিল্লি ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যে। সন্দেহ নেই রোহিত শর্মার মুম্বই এখন সব বিভাগে সফল হচ্ছে। আমি বারবারই একটা দলের ভাল কম্বিনেশনের উপর জোর দিই। মনে হচ্ছে, আইপিএলের প্রাক্তন চ্যাম্পিয়ন মুম্বই অন্তত সেটা ভাল বুঝেছে। ব্যক্তিগত উৎকর্ষ একটা দলকে একটা কী দুটো ম্যাচ জেতাতে পারে। কিন্তু পুরো টুর্নামেন্টে সফল হওয়ার জন্য দরকার ভাল দলের।
এখানে রোহিত শর্মার কথা অলাদা করে বলব। একেবারে মোক্ষম সময়ে ছেলেটা ফর্মে ফিরেছে। চেন্নাই ম্যাচটায় যেন আমাদের পুরনো আর চেনা রোহিতকে দেখলাম। তা ছাড়া মুম্বইকেও দেখে মনে হচ্ছে, এখন ওদের হারানো বেশ কঠিন। মনে হয় অন্য দলগুলোও একই কথা ভাবছে। রবিবার রোহিত আবার খেলবে ওর প্রিয় ইডেনে। বারবার যেখানে সফল হয়েছে ডাকসাইটে ভারতীয় ওপেনার। প্রসঙ্গত কেকেআরের কথাও একটু বলতেই হয়। আইপিএলে দীনেশ কার্তিকরা যে জায়গায় রয়েছে, তাতে ওদের মুম্বইকে যে কোনও অবস্থায় হারাতে হবে। বলা যায় না, তেমন কিছু হলে নাইটদের জন্য ক্ষীণতম একটা সম্ভাবনা তৈরি হলেও হতে পারে। অবশ্যই সে ক্ষেত্রে অন্যদের ফলের উপরও তাকিয়ে থাকতে হবে কেকেআরকে। এটাই এখন ওদের জন্য বাস্তব। (টিসিএম)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy