যুজবেন্দ্র চহাল। ফাইল চিত্র।
জীবনে প্রথমবার বিশ্বকাপ ক্রিকেটে খেলার সুযোগ পেয়ে উত্তেজিত তিনি। তবে তাই বলে নিজস্ব লক্ষ্য থেকে সরে যেতে রাজি নন যুজবেন্দ্র চহাল।
সোমবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে হারের পর সাংবাদিক সম্মেলনে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর দলের লেগস্পিনার বলেছেন, ‘‘এটা আমার জীবনের প্রথম বিশ্বকাপ হতে চলেছে। সঙ্গত কারণে অন্য একটা উত্তেজনা অনুভব করছি। বিশ্বকাপ-মঞ্চে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার ইচ্ছে সকলের থাকে। তার মধ্যে একটা বিশেষ একটা অনুভূতি থাকে। আমি সেই সুযোগ পেয়ে রোমাঞ্চবোধ করছি।’’
তবে এই মুহূর্তে বিশ্বকাপের চেয়ে চহালের কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ আইপিএল। যেখানে সোমবার হারের পরে প্লে অফে খেলা কার্যত শেষ হয়ে গিয়েছে আরসিবি-র। যদিও কোহালির দলের এক নম্বর লেগস্পিনার শেষ ম্যাচ পর্যন্ত লড়াই করার দর্শনে বিশ্বাসী। তিনি বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপ শুরু হতে এখনও এক মাস বাকি রয়েছে। এই মুহূর্তে আমি আরসিবি-র হয়ে আইপিএলে খেলছি। ফলে আগামী সাতটি ম্যাচ আমার কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শেষ ম্যাচ পর্যন্ত আমাদের লড়াই করতে হবে।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সোমবারের ম্যাচেও তিনি দুই উইকেট নেন। তবে সমস্ত লড়াই ব্যর্থ হয়ে যায় হার্দিক পাণ্ড্যের বিধ্বংসী অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে। সেই প্রসঙ্গ চহাল বলেছেন, ‘‘ওয়াংখেড়ের পিচে স্পিনাররা ভাল টার্ন পেয়েছে। সেখানে দাঁড়িয়ে স্পিনারদের পাল্টা আক্রমণ করার কাজটা সহজ ছিল না। কিন্তু হার্দিক অসাধারণ খেলেছে।’’ সেখানে না থেমে চহাল আরও যোগ করেন, ‘‘১৮ ওভার পর্যন্ত লড়াইটা সমানে সমানে ছিল। কিন্তু তার পরেই সমস্ত সম্ভাবনা শেষ করে দেয় হার্দিক। ওর ব্যাটিংকে কৃতিত্ব দিতেই হবে।’’ যদিও চহাল জানিয়ে দিয়েছেন, সোমবারের হারের জন্য নির্দিষ্ট কোনও বোলারকে দায়ী করতে রাজি নন। তিনি বলেছেন, ‘‘কোনও নির্দিষ্ট বোলারকে দোষারোপ করা অর্থহীন। ক্রিকেট দলগত খেলা। ফলে ম্যাচে হারলে সকলকেই তার দায়ভার নিতে হবে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে কোনও বোলারের দিকে আঙুল তুলতে রাজি নই।’’
চহালের মন্তব্যেরই প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছে আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহালির গলাতেও। তিনি বলেছেন, ‘‘চাপের মুখে দাঁড়িয়ে লড়াই করার অভ্যাস রপ্ত করতে হবে দলকে। সেই সময়ে সংহত থাকা অনেক বেশি প্রয়োজনীয়।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘ সে ভাবে দেখতে গেলে আমরা ভালই ক্রিকেট খেলেছি। তবে বোলিংয়ের সময়ে প্রথম ছয় ওভার ভাল ছিল না। তবে পরের দিকে বোলাররা পাল্টা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy