Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ছ’বলের ছক ফাঁস বুমরার

অস্ট্রেলিয়ার কাছে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারের পরে ভারতীয় বোলারদের করা শেষ দু’টো ওভার নিয়ে ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যশপ্রীত বুমরার ১৯তম আর উমেশ যাদবের ২০তম ওভার।

যশপ্রীত বুমরাহ। —ফাইল চিত্র।

যশপ্রীত বুমরাহ। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:৩৫
Share: Save:

অস্ট্রেলিয়ার কাছে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারের পরে ভারতীয় বোলারদের করা শেষ দু’টো ওভার নিয়ে ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যশপ্রীত বুমরার ১৯তম আর উমেশ যাদবের ২০তম ওভার।

বুমরার ওভারে দু’উইকেট হারিয়ে মাত্র দু’রান তুলতে পারে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু উমেশের শেষ ওভারে ১৪ রান তুলে দলকে ম্যাচ জিতিয়ে দেন অস্ট্রেলিয়ার দুই পেসার প্যাট কামিন্স আর জাই রিচার্ডসন।

এর পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেমন প্রশংসিত হয়েছেন বুমরা, তেমনই কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে উমেশকে। ম্যাচ শেষে সাংবাদিক বৈঠকে এসে বুমরা তাঁর সতীর্থের পাশে দাঁড়িয়ে বলেছেন, ‘‘এ রকমটা হতেই পারে। ডেথ বোলিং মোটেই সোজা কাজ নয়। ব্যাপারটা ৫০-৫০। যে কোনও দিকে ম্যাচ ঘুরে যেতে পারে।’’

সাদা বলের ক্রিকেটে ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচটা ভুলে যেতে চাইবেন উমেশ। চার ওভারে ৩৫ রান দিয়ে কোনও উইকেট পাননি তিনি। বুমরা অবশ্য বলছেন, ‘‘সবাই নিজের সেরাটা দেওয়ারই চেষ্টা করে। সবাই জানি, শেষ ওভারে বল করতে এলে কী করা উচিত। কোনও কোনও দিন সব কিছু ঠিকঠাক হয়, কোনও কোনও দিন হয় না। এতে চিন্তার কিছু নেই।’’

রবিবারের ম্যাচে বুমরা অবশ্য সব কিছুই ঠিকঠাক করেছেন। চার ওভারে ১৬ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন। যার মধ্যে ১৮টি ডট বল। তাঁর করা ইনিংসের ১৯তম ওভারটিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ম্যাজিক ওভার’ বলা হচ্ছে। ওই ওভার করার সময় কী পরিকল্পনা করেছিলেন? বিসিসিআই টিভি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই ছ’টা বল নিয়ে নিজের ভাবনার কথা বলেছেন বুমরা—

১৮.১ ওভার: উইকেটটা মন্থর ছিল। বড় শট খেলা সহজ ছিল না। ব্যাক অব দ্য লেংথ বল করেছিলাম। পিটার হ্যান্ডসকম্ব আড়াআড়ি মারতে গিয়ে ফস্কায়। ডট বল।

১৮.২ ওভার: একই রকম ডেলিভারি করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু হ্যান্ডসকম্ব এগিয়ে এসে বলটা স্কোয়ার লেগের দিকে মারে। এক রান।

১৮.৩ ওভার: স্ট্রাইকে নেথান কুল্টার-নাইল। একটু ফিল্ডিংয়ে বদল করে আবার সেই ব্যাক অব দ্য লেংথ ডেলিভারি। ডট বল।

১৮.৪ ওভার: বলটা করার সময় ভাবছিলাম, কী করব। যেটা ঠিকঠাক হচ্ছে, সেটাই করব না কি লাইন-লেংথটা বদলাব? এই সময় ব্যাটসম্যান ভাবে ইয়র্কার করবে বোলার। কিন্তু এই ধরনের উইকেটে লেংথ বল খুব কার্যকর হয়। সেটাই করলাম। এক রান হল।

১৮.৫ ওভার: অধিনায়ক বিরাট কোহালির সঙ্গে এক বার আলোচনা করে নিলাম। ঠিক করলাম, আগের চারটে ডেলিভারির মতোই লেংথ বল করব। জানতাম, হ্যান্ডসকম্ব ঝুঁকি নেবে। শেষ পর্যন্ত ওর ওপর নজর রেখেছিলাম। দেখতে চেয়েছিলাম, ও এগিয়ে আসে বা স্টাম্প থেকে সরে গিয়ে জায়গা বানানোর চেষ্টা করে কি না। হ্যান্ডসকম্ব এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে ধোনির হাতে ক্যাচ দিল।

১৮.৬ ওভার: নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে নিলাম। জানতাম, শেষ বলটা ভাল করতে পারলে অস্ট্রেলিয়া চাপে পড়ে যাবে। বিরাট আর রোহিতের সঙ্গে কথা বলার পরে ঠিক করি, আমার যেটা শক্তি, সেটা কাজে লাগাব। অর্থাৎ ইয়র্কারই করব। ইয়র্কারটা ঠিক জায়গাতেই পড়ে কুল্টার-নাইলের স্টাম্প ছিটকে দেয়।

বুমরার ওভারও ভারতকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ০-১ পিছিয়ে পড়া থেকে আটকাতে পারেনি। বুধবার বেঙ্গালুরুতে শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজ বাঁচাতে পারেন কি না কোহালিরা, সেটাই এখন দেখার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE