মুগ্ধ: মোহনবাগান ফুটবলারদের শুভেচ্ছা ব্যারেটোর। —নিজস্ব চিত্র।
পাঁচ বছর আগে তিনি মোহনবাগান ছেড়েছেন। অথচ তাঁকে নিয়ে সবুজ-মেরুন সমর্থকদের উন্মদনা বিন্ধুমাত্র কমেনি। তিনি, হোসে রামিরেজ ব্যারেটো।
চল্লিশতম জন্মদিন পালন করতে রবিবার সকালেই মুম্বই থেকে কলকাতায় চলে এসেছেন ব্যারেটো। টালিগঞ্জ অগ্রগামীর বিরুদ্ধে ম্যাচ দেখতে মোহনবাগানের লোগো দেওয়া সাদা টি-শার্ট পরে মাঠে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গেই যেন আবেগের বিস্ফোরণ ঘটল। সমর্থকদের কেউ কেউ তো সবুজ তোতার পায়ে ঝাঁপিয়েই পড়লেন!
ম্যাচ শেষ হওয়ার পর মাঠ প্রদক্ষিণ করছিলেন ব্যারেটো। হঠাৎই দেখা গেল গ্যালারির ফেন্সিং টপকে দলে দলে মাঠে লাফিয়ে পড়ছেন দর্শকরা। তাঁদের আটকাতে রীতিমতো নাজেহাল অবস্থা পুলিশের। অভিভূত ব্যারেটো বললেন, ‘‘আমার জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্ত। আমার জন্মদিনে এই জয়, এর চেয়ে সেরা কিছু হয় না। মোহনবাগানে থাকার সময় জন্মদিনে কখনও ম্যাচ খেলেনি। কাকতালীয় ভাবে এ বারই এটা হল।’’
কলকাতা ছেড়ে এখন মুম্বইয়ে পাকাপাকি ভাবে থাকেন ব্যারেটো। কোচিং করান রিলায়্যান্স অ্যাকাডেমিতে। রবিবার তাঁকে নিয়ে মোহনবাগান সমর্থকদের উন্মাদনা দেখে অভিভূত ব্যারেটো বলছিলেন, ‘‘মনে হল যেন নিজের বাড়িতে ফিরলাম।’’ সঙ্গে যোগ করলেন, ‘‘পাঁচ বছর হয়ে গেল ক্লাব ছেড়েছি। কিন্তু মোহনবাগান সমর্থকরা এখনও আমাকে একই রকম ভালবাসেন। মনে হচ্ছে যেন, সোনালি অতীতে ফিরে গিয়েছি। ওঁদের কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই।’’ম্যাচ শেষ হওয়ার পর ক্লাব তাঁবুতে কেক-ও কাটলেন ব্যারেটো। তবে তার মধ্যেই ব্রাজিলীয় তারকার আক্ষেপ, ‘‘অনেকেই আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলেন। কিন্তু সকলের সঙ্গে দেখা করতে পারলাম না।’’ এই একবার যেন হতাশ দেখাল সবুজ তোতাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy