মহড়া: অনুশীলন দেখার ফাঁকে বল নাচাচ্ছেন সনি। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
বড় ম্যাচের ৪৮ ঘণ্টা আগেও সনি নর্দে প্রথম থেকে খেলবেন কি না সে সম্পর্কে কোনও আভাস নেই মোহনবাগানে। কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তীর মুখে কুলুপ। সনি নিয়ে যা বলার তা শুক্রবার বললেন সবুজ-মেরুনের ক্লাব সচিব।
যুবভারতীতে এ দিন আগাগোড়া দলের অনুশীলন দেখেন মোহনবাগান সচিব। মাঠ ছেড়ে বেরোনোর সময় বলে যান, ‘‘সনি যাতে খেলতে পারে, তার জন্য সব রকম চেষ্টা চলছে।’’ হাইতির এই ফুটবলারের বড় ম্যাচে খেলার সম্ভাবনা কতটা তা জানতে চাওয়া হলে মোহনবাগান কোচ কার্যত এড়িয়ে যান সাংবাদিকদের। তিনি বলে যান, ‘‘এ ব্যাপারে আমি বলার কেউ নই। বিষয়টি নিয়ে কর্তারা কথা বলেছেন।’’ বোঝাই যাচ্ছে বড় ম্যাচে সনির খেলার ব্যাপারটা সবুজ-মেরুন শিবিরের কর্তারাই দেখছেন।
বৃহস্পতিবার দলের সঙ্গে বল নিয়ে অনুশীলন করেছিলেন সনি। এ দিন তিনি দলের সঙ্গে অনুশীলন না করায় কারও কারও অনুমান, সনিকে বড় ম্যাচের আগে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। যাতে রবিবারের ডার্বিতে চনমনে মেজাজে পাওয়া যায় তাঁকে। সূত্রের খবর, বড় ম্যাচে খেলার জন্য নাকি ঘনিষ্ঠ মহলে ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন সনি। তাই সনিকে মাথায় রেখেই বড় ম্যাচের অঙ্ক কষছে মোহনবাগান শিবির। অনুশীলনেই এ দিন সনিকে দেখে চনমনেই মনে হয়েছে।
যাঁকে নিয়ে এত জল্পনা সেই সনি শুক্রবার দলের সঙ্গে অনুশীলন করেননি। অনুশীলনের শুরুতে দল নিয়ে গোটা মাঠ হাঁটার পরে মাঠের এক কোণে ফিজিয়ো ও ফিজিক্যাল ট্রেনারের সঙ্গে সময় কাটান তিনি। পরে বসা অবস্থায় পায়ে বল নিয়ে নাচাতে দেখা যায় তাঁকে। দলের অনুশীলন শেষ হলে ড্রেসিংরুমে ঢুকে যান সনি।
হাইতির ফরোয়ার্ড এ দিন দলের সঙ্গে অনুশীলন না করলেও সবুজ-মেরুনের আর এক বিদেশি মহম্মদ এলহুসেইনি পুরোদমে অনুশীলন করলেন। বৃহস্পতিবার শোনা গিয়েছিল চোট রয়েছে ওমরেরও। কিন্তু এ দিন মিশরীয় এই ফুটবলারকে দেখা গিয়েছে, সতীর্থদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অনুশীলন করতে। উইং ধরে বেশ কিছু ক্রসও তুলতে দেখা যায় তাঁকে। ফলে বড় ম্যাচের আগে ঘাড়ে চেপে বসা চোট-আঘাত সমস্যা ক্রমে কাটিয়ে উঠছে মোহনবাগান।
ইস্টবেঙ্গল যখন সাংবাদিকদের নজরের বাইরে থাকতে যুবভারতী সংলগ্ন ঘেরা মাঠে কালো পর্দা টাঙিয়ে অনুশীলন করছে, মোহনবাগানে তখন খোলা হাওয়া। সাংবাদিকদের সামনেই এ দিন ঘণ্টা দেড়েক অনুশীলন করান সবুজ-মেরুন শিবিরের কোচ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy