দ্বিতীয় দিনের নায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়াল।—ছবি পিটিআই।
টেস্টে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করার পরে সেখানেই না থেমে সেটা ডাবল সেঞ্চুরিতে নিয়ে যাওয়া। বিপক্ষের সমীহ করার মতো বোলিংকে দক্ষতার সঙ্গে সামলানো। দীর্ঘক্ষণ ক্রিজ কামড়ে পড়ে থাকা।
বিশাখাপত্তনমে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্টের প্রথম দিনটা যদি ‘রোহিত শো’ হয়, তা হলে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের নায়ক নিঃসন্দেহে মায়াঙ্ক আগরওয়াল।
১০ বছর পরে দেশের মাটিতে প্রথম ভারতীয় ওপেনার হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরিও এল মায়াঙ্কের ব্যাটে। যে পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে, কতটা গুরুত্বপূর্ণ তাঁর এই ইনিংস। তবু নিজের ইনিংস নয়, দিনের শেষে মায়াঙ্কের মুখে দলের কথা।
‘‘সব চেয়ে বেশি খুশি হয়েছি দলের জন্য অবদান রাখতে পেরে। তা-ও এমন একটা দলের জন্য, যারা ম্যাচ-ট্রফি জিতে চলেছে। আমার কাছে সম্ভাব্য সাফল্যের অন্যতম অংশ হতে পারাটা দারুণ ব্যাপার। বিশ্বাস করুন, সেঞ্চুরি করার পরে স্নায়ুগুলো চাপমুক্ত রাখার চেষ্টা করেছিলাম। তা ছাড়া দীর্ঘক্ষণ ক্রিজে থাকাটা আমায় আরও আত্মবিশ্বাস এনে দিয়েছে,’’ বলেন মায়াঙ্ক।
এই সাফল্যের নেপথ্যে কত পরিশ্রম, প্রস্তুতি রয়েছে সেটাও জানাতে ভোলেননি কর্নাটকের ব্যাটসম্যান। তিনি বলেন, ‘‘নিঃসন্দেহে ব্যাটে এতটা সফল হয়ে আমি দারুণ খুশি। আসলে বিভিন্ন পরিবেশ, পরিস্থিতিতে খেলতে গেলে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা থাকা চাই। আমার ক্ষেত্রে দীর্ঘ পাল্লার দৌড় অনেক সাহায্য করেছে। যখন প্রস্তুতি নিয়েছি, লক্ষ্য রেখেছিলাম যেন পাঁচ থেকে ছ’ঘণ্টা ব্যাটিং যেন করতে পারি। এই প্রস্তুতিই আমাকে নিজের ব্যাটিং উন্নত করতে সাহায্য করেছে।’’
মায়াঙ্কের ২১৫ এবং রোহিত শর্মার ১৭৬ রানের দাপটের পরে ভারত ৫০২-৭ তুলে ডিক্লেয়ার করে দেয়। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে ৩৯ রানেই তিন উইকেট চলে গিয়েছে। ভারতীয় দল দ্বিতীয় দিনেই বিপক্ষকে এ রকম চাপে ফেলে দিলেও মায়াঙ্ক বলে দিচ্ছেন আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। ‘‘প্রথম দু’দিন আমরা যে ভাবে খেলেছি তাতে অবশ্যই খুশি। তবে আত্মতুষ্টির প্রশ্ন নেই। আমরা এই চাপটা ধরে রাখার চেষ্টা করে যাব। সেটাই আমাদের লক্ষ্য,’’ বলেন মায়াঙ্ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy