ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। —ফাইল চিত্র।
দলের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা প্রায় তলানিতে। এই পরিস্থিতিতে আরও চাপে পড়লেন
কনজ়ারভেটিভ পার্টির নেতা তথা ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক।
ব্রিটেনের বিভিন্ন অংশে এখন স্থানীয় নির্বাচন চলছে। গত কাল স্থানীয় সময় রাত ১০টা নাগাদ বন্ধ হয়েছিল ভোটগ্রহণ। আজ সকাল থেকে শুরু হয় গণনা। সন্ধের মধ্যেই ছবিটা স্পষ্ট হতে শুরু করে। অনেকগুলি এলাকায় বড় ধাক্কা খেয়েছে সুনকের দল কনজ়ারভেটিভ পার্টি। উল্টো দিকে, বিরোধী দল লেবার পার্টির উত্থান চোখে পড়ার মতো। ২৬ শতাংশ বেশি ভোট এ বার গিয়েছে তাদের দখলে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এই প্রথম এত বড় সাফল্য পেয়েছে লেবার পার্টি।
আজ রাত পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, মোট তিনটি কাউন্সিলে হেরে গিয়েছে কনজ়ারভেটিভ পার্টি। অন্তত ১০০ জন কাউন্সিলরও হারিয়েছে তারা। তবে বেশ কয়েকটি আসনে ফল ঘোষণা এখনও বাকি।
ব্ল্যাকপুল সাউথের পার্লামেন্টের আসনটি এ বার ফিরে পেয়েছে লেবার পার্টি। ফলে পার্লামেন্টে একটি আসন হারিয়েছে সুনকদের দল। ওই কেন্দ্রের নতুন এমপি ক্রিস ওয়েব কনজ়ারভেটিভ পার্টির ডেভিড জোনসকে হারিয়েছেন। এ ছাড়া রেডিচ, থাররক, হার্টলেপুল, রাশমুরের মতো কেন্দ্রেও স্থানীয় ভোটে জয় পেয়েছেন লেবার প্রার্থীরা। শুধু ওল্ডহ্যামে জয় পায়নি তারা। সেখানকার মুসলিম সম্প্রদায় গাজ়া নিয়ে লেবার পার্টির অবস্থানে আদৌ সন্তুষ্ট নন। তাঁরা মনে করছেন, গাজ়ায় যুদ্ধ-বিরতির কথা ভাবেনি লেবার পার্টি। তবে দলের এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত লেবার পার্টির নেতা তথা ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বিরোধী দলনেতা কিয়ার স্টার্মার। আজই সাংবাদিকদের স্টার্মার বলেছেন, ‘‘এই ফল আশা করি ঋষি সুনককে একটা বড়সড় বার্তা দিতে পেরেছে। এ বার ওঁর যাওয়ার পালা। ব্রিটেনের সাধারণ মানুষ জানতে পেরে গিয়েছেন যে, এই লেবার পার্টি সম্পূর্ণ নতুন রূপে ফিরে এসেছে। তাই এ বার আমাদের নিজেদের কাজটা করতে দিন।’’ দলের এই ভাল ফলাফলের পরে আগামী অক্টোবরের সাধারণ নির্বাচনও এগিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন স্টার্মার।
লেবার পার্টির মতো কিছু এলাকায় সাফল্য পেয়েছে গ্রিন পার্টিও।। ব্রেক্সিটের সময়ে শুরু হওয়া নাইজেল ফারাজের দল ‘রিফর্ম ইউ কে’-ও বেশ কিছু আসনে জয় পেয়েছে।
তবে এখন সকলের চোখ লন্ডনের মেয়র নির্বাচনের ফলের দিকে। পাল্লা ভারী লেবার নেতা সাদিক খানেরই। পর পর তিন বার লন্ডনের মেয়র পদে জিতে তিনি রেকর্ড গড়তে চলেছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
সব মিলিয়ে অক্টোবরের নির্বাচনের আগে প্রবল চাপে সুনক। ভোটের আগে তাঁর দলেরই কিছু এমপি তাঁর ইস্তফা চাইতে পারেন বলে খবর। সুনকের জায়গায় পেনি মরড্যান্টের নাম হাওয়ায় ভাসছে। তবে গত কাল পেনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, বদলি হিসেবে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে তিনি ঢুকতে চান না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy