মোহনবাগান ক্লাবের রাজনীতি নাটকীয় ভাবে নতুন দিকে মোড় নিতে চলেছে।
ক্লাবের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে দুই বন্ধুর আটান্ন বছরের সম্পর্ক এ বার ভাঙনের মুখে। পদত্যাগী প্রেসিডেন্ট টুটু বসুর সঙ্গে এ বার কার্যত সম্মুখ সমরে নেমে পড়লেন সচিব অঞ্জন মিত্র। আশা করা গিয়েছিল অচলাবস্থা কাটাতে দুই শীর্ষকর্তা আলোচনায় বসবেন। হল ঠিক উল্টোটা। যা পরিস্থিতি, তাতে আসন্ন নির্বাচনে দুই বন্ধু একে অপরের শত্রু হয়ে হয়তো আসরে নামতে চলেছেন।
সোমবার দুপুরে টুটু একটি ই-মেল পাঠিয়েছেন সচিবকে। তাতে তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের মধ্যে যত মনমালিন্যই হোক, তার প্রভাব যেন ফুটবল দলের উপর না পড়ে। আমি বকেয়া মেটাতে এক কোটি টাকা দিচ্ছি। আপনি ক্লাবের জেনারেল ম্যানেজারকে বলুন সৃঞ্জয় বসুর (পদত্যাগী সহসচিব) সঙ্গে আলোচনা করে ফুটবলারদের মাইনে দিয়ে দিতে।’ ই-মেল পেয়ে সচিব এ দিন ক্লাবের জেনারেল ম্যানেজারকে পাঠান সৃঞ্জয়ের কাছে। ফোনে অবশ্য সচিব অঞ্জন বলে দিলেন, ‘‘গতবারের কোনও টাকা আমি দেব না। বড় বাজেটের দল গড়ার সময় আমি বারণ করেছিলাম। ওরা যখন সেটা শোনেনি তখন বাকি টাকা ওদেরকেই দিতে হবে। ক্লাব যদি এ এফ সির লাইসেন্স না পায়, সেই দায় এখন ওদেরই।’’
ক্লাবের আর্থিক সমস্যা সামাল দিতে কর্মসমিতির কোনও সদস্যই এখনও এগিয়ে আসেননি। প্রেসিডেন্ট টাকা দেওয়ার পরে এখনও দরকার আরও দু’কোটি। ক্লাব সূত্রের খবর, গত বার ফুটবল দলের জন্য খরচ হয়েছিল প্রায় সাড়ে বারো কোটি টাকা। স্পনসরদের থেকে পাওয়া গিয়েছিল সাড়ে নয় কোটি।
সচিবের গড়া নতুন পাঁচ সদস্যের বিশেষ কমিটি আজ, মঙ্গলবার ক্লাব তাঁবুতে আলোচনায় বসবে। পরের মরসুমের ২৫ ফুটবলারের চুক্তিপত্র নিয়ে তাঁরা আলোচনা করবেন বলে খবর। সেখানে দামি ফুটবলারদের টাকা কমানোর কথা বলা হবে।
মোহনবাগান নির্বাচন সেপ্টেম্বরের আগে হওয়া কঠিন। কিন্তু এখন থেকেই ক্লাব তাঁবুতে উত্তেজনা চরমে। সদস্যরা দু’ভাগ হয়ে গিয়ে নিজেদের মতো প্রচার শুরু করেছেন। অঞ্জন বললেন, ‘‘ভোট তো হবেই। আমার সঙ্গে যারা আছে, তাদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে ঠিক করব সবকিছু।’’ আর টুটুর অনুগামীরা তো নিজেদের দলবল নিয়ে ‘ভোট হোক, দেখা যাবে’ বলে নেমে পড়ছেন ময়দানে। অবস্থা যা, তাতে কর্তাদের এই যুদ্ধে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছে শঙ্করলাল চক্রবর্তীর দল। কারণ, হেনরি কিসেক্কা, আজহারউদ্দিন মল্লিকরা তো এখন অভিভাবকহীন। যাঁরা দল গড়েছেন তাঁরা সবাই যে পদত্যাগ করে বসে আছেন!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy