বিজয়োৎসব: পতাকা উত্তোলন করছেন ক্রোমা। নিজস্ব চিত্র
দীপাবলির আগের সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয়েছিল সিকিম গভর্নস গোল্ড কাপ জয়ের উৎসবের। মোহনবাগান তাঁবুর বুধবার বিকেলের সেই অনুষ্ঠান শেষ পর্যন্ত ঘুরে গেল আসন্ন আই লিগের দিকে।
সিকিমের ফাইনালের গোলদাতা আনসুমানা ক্রোমা যেমন বলে দিলেন, ‘‘কলকাতা লিগ অল্পের জন্য হাতছাড়া হওয়ায় হতাশ হয়েছিলাম। সিকিম সেটা পুষিয়ে দিয়েছে। এ বার আই লিগ জিততে দুশো পার্সেন্ট পরিশ্রম দেব।’’ তাঁর পাশে বসে গত আই লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা দিপান্দা ডিকার হুঙ্কার, ‘‘আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই তো মোহনবাগানে আসা।’’
তাঁর পাশে বসে সিকিম জয়ী কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তীর মন্তব্য, ‘‘সিকিমের ট্রফি জয় আমাদের আই লিগে আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। এটা টিম গেমের জয়। কলকাতা লিগ জেতার পর এই ট্রফিটা আমাদের দরকার ছিল।’’
আরও পড়ুন: ‘শুধু শিল্পেরই নয়, সাম্বা সুর এখন শক্তিরও’
ট্রফির সঙ্গে ছবি তুলতে হাজির ছিলেন কিছু সমর্থকও। কিন্তু বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস বলতে যা বোঝায় তেমন কিছু ছিল না। কর্তাদের বেশিরভাগই গর হাজির। আসলে সিকিম-জয় তো সবুজ-মেরুনের গা সওয়া। সবারই লক্ষ্য যে সামনের আই লিগ। সে জন্যই সম্ভবত এ দিন উৎসব শেষেই পুরো টিম নিয়ে বসে পড়লেন অর্থ সচিব, ফুটবল সচিবের সঙ্গে চিফ কোচ সঞ্জয় সেনও। ঠিক হল, সোমবার থেকেই শুরু হবে আই লিগের প্রস্তুতি। তার আগে বিমানের টিকিট সমস্যা মিটলে রবিবারের মধ্যে এসে পড়বেন সনি নর্দে। বাকি সব ফুটবলারই এসে পড়েছেন। অস্ত্রোপচার করিয়ে এখন সুস্থ সঞ্জয় এ দিন ফুটবলারদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পাশাপাশি বলে দেন, ‘‘আই লিগটা পেতে হবে এ বার। সেই লক্ষ্যেই এগোতে হবে।’’ কর্তারাও বলে দেন, ‘‘সিকিমে আট জন নতুন ফুটবলার যোগ দেওয়ার পরও ট্রফি এসেছে এটা বড় ব্যাপার।’’
সিকিম জয়ের পর বাগানে অনুশীলন হয়নি। এ দিন সেই অর্থে ছিল বিজয়া সম্মিলনী। মোহনবাগান লনে ট্রফি রেখে তৈরি হয়েছিল মঞ্চ। সেখানেই সাংবাদিক সম্মেলন করেন কোচ ও তারকারা। ডিকা, ক্রোমা, কিংশুকের সঙ্গে ছিলেন নতুন আসা অস্ট্রেলীয় দিয়েগো ফেরিরাও।
তাঁকেও অন্যদের মতো বলতে শোনা যায়, ‘‘আই লিগ জিততে হবে।’’ জানিয়ে দেন, ডিফেন্সিভ মিডিও হিসাবে খেলতেই বেশি পছন্দ করেন তিনি।
ক্রোমার নতুন সতীর্থ ডিকাকে এ দিন প্রশ্ন করা হয়, এ বার তো আই লিগে সেই অর্থে খেতাব জেতার পথে ইস্টবেঙ্গল ছাড়া অন্য কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই? ডার্বি জিতলেই কী খেতাব নিশ্চিত? ডিকা বলে দেন, ‘‘গতবার তো আইজলকে কেউ ধরেইনি। তারাই কিন্তু শেষ পর্যন্ত খেতাব জিতেছিল। কোন দল কতটা শক্তিশালী তা এখন বোঝা সম্ভব নয়। সব ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ।’’
তাঁকে সমর্থন করেন ক্রোমাও। তিনি বলে দেন, ‘‘ডার্বি তো অনেক পরে। তার আগে তো আমাদের অনেকগুলো ম্যাচ আছে। সেগুলো না জিতলে ট্রফি আসবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy