আইপিএলের চলতি মরসুমে প্লে-অফে চলে গিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। অথচ তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানের জন্য লড়াই চলছে পাঁচটি দলের মধ্যে। বুধবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সেই লড়াইয়ে টিকে থাকতে নামছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তাদের বিপক্ষ কিংস ইলেভেন পঞ্জাব।
গত ম্যাচে হেরে আত্মবিশ্বাসের দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে দু’দলই। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে হারতে হয়েছে রোহিতদের। ইনদওরে বিরাট কোহালিদের বিরুদ্ধে লজ্জাজনক ভাবে হেরেছে পঞ্জাব। ৮৮ রানে অল আউট হয়েছেন আর অশ্বিনরা। এই অবস্থায় দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ই উদ্বেগের মূল কারণ পঞ্জাব অধিনায়কের। অশ্বিন বলেছেন, ‘‘ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতাই আমাদের দলকে পিছিয়ে দিচ্ছে। আমরা হয়তো সেরা দলগুলোর মধ্যে পড়ি না। তবে সত্যি কথা বলতে আমাদের থেকে যা প্রত্যাশা করা হয়েছে, তার থেকে অনেকটাই ভাল খেলেছি।’’
অশ্বিন অবশ্য মনে করেন, যে ম্যাচগুলো তাঁরা হেরেছেন তার মধ্যে বেশ কয়েকটি জিততে পারতেন। বলছেন, ‘‘আমি ভেবেছিলাম প্লে-অফে ওঠার রাস্তা সহজ হবে না। কিন্তু এতটা কঠিন হয়ে যাবে সেটাও ভাবিনি। এক দু’টো ম্যাচ খুব খারাপ হেরেছি। না হলে এতদিনে ১৪ থেকে ১৬ পয়েন্টে আমরা থাকতাম।’
ক্রিস গেল ও কে এল রাহুলের ওপর নির্ভর করেই বেশির ভাগ ম্যাচ জিতেছে পঞ্জাব। গেলের থেকেও বেশি বিধ্বংসী দেখিয়েছে রাহুলকে। ১২ ম্যাচে তাঁর রান ৫৫৮। অথচ রানের মধ্যে নেই অ্যারন ফিঞ্চ, করুণ নায়ার, মায়াঙ্ক অগ্রবালরা। খারাপ ফর্মের জন্য দল থেকে বাদ পড়েছেন যুবরাজ সিংহও। কিন্তু দলের ব্যাটসম্যানদের ওপর থেকে বিশ্বাস হারাচ্ছেন না অধিনায়ক। অশ্বিনের বক্তব্য, ‘‘আমি যখন চেন্নাইয়ের হয়ে খেলতাম। ২০১১ মরসুমে আমাদের একজন ব্যাটসম্যান (মুরলী বিজয়) ছিল, যে গোটা টুর্নামেন্টে রান পায়নি। কিন্তু ফাইনালে ৯৫ রান করে দলকে জিতিয়েছিল। বড় ক্রিকেটারেরা বড় ম্যাচে ঠিক জ্বলে ওঠে। ঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করা উচিত। এটা ক্রিকেট। কোনও রকেট-বিজ্ঞান নয়।’’
অন্য দিকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের নেট রানরেট (০.৪০৫) সবচেয়ে বেশি। সে ক্ষেত্রে পরপর দু’টি ম্যাচ জিততে পারলে ১৪ পয়েন্ট নিয়েই প্লে-অফে যাওয়ার রাস্তা খুলে যেতে পারে রোহিতদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy