প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রে নতুন সরকার দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরে প্রথম বাজেটে, জাতীয় ক্রীড়াশিক্ষা বোর্ড (ন্যাশনাল স্পোর্টস এডুকেশন বোর্ড, সংক্ষেপে এনএসইবি) গঠনের কথা বলা হল। যা আদপে ‘খেলো ইন্ডিয়া’র কার্যক্রমকে আরও বিস্তৃত করার উদ্যোগ বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে ক্রীড়া খাতে বরাদ্দ আগে যা ছিল, নতুন আর্থিক বছরেও একই থাকছে।
সংসদে বাজেট-ভাষণে শুক্রবার নতুন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, ‘‘২০১৭-র অক্টোবরে ‘খেলো ইন্ডিয়া’ রূপায়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। যা এখন এ দেশের মানুষের সুস্থ জীবনযাপনের সঙ্গে একাত্ম হয়ে গিয়েছে। সব ধরনের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া গেলে খেলো ইন্ডিয়া-র কাজকে আরও বিস্তৃত করতে সরকার দায়বদ্ধ। এ দেশে সমস্ত স্তরে খেলাধুলোকে জনপ্রিয় করতে এ বার ন্যাশনাল স্পোর্টস এডুকেশন বোর্ড গঠন করা হবে। খেলোয়াড়দের গুণগত উন্নতি হবে তার মাধ্যমে।’’
এ’বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অন্তর্বর্তী বাজেটে ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতরের জন্য বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ ২১৪.২ কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছিল। স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার জন্য বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছিল ৫৫ কোটি টাকা। ফলে মোট বরাদ্দ দাঁড়ায় ৪৫০ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, সাই এখনও ভারতের খেলাধুলোর আঁতুড়ঘর। তাদের জন্য বরাদ্দের পরিমাণ এতটা বাড়ানো হয়েছিল কারণ সাইকেই বিভিন্ন জাতীয় শিবিরের আয়োজন করতে হয়। সঙ্গে ক্রীড়াসরঞ্জাম কেনার বিপুল খরচ আছে। অবশ্য বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছিল ‘খেলো ইন্ডিয়া’র জন্যও। বরাদ্দ বেড়ে দাঁড়ায় ৬০১ কোটি টাকা (বাড়ানো হয়েছিল ৫০.৩১ কোটি টাকা)। আর্থিক বরাদ্দ বেড়েছিল খেলা অথবা খেলার সঙ্গে সম্পর্কিত অন্য আরও বেশ কিছু ক্ষেত্রে। যেমন ন্যাশনাল স্কিল ডেভলপমেন্ট ফান্ডের বরাদ্দ ২ কোটি থেকে করা হয় ৭০ কোটি। খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করতে ভাতা বা আর্থিক পুরস্কার দেওয়ার জন্য আর্থিক বরাদ্দ বাড়ানো হয় ৯৪.০৭ টাকা। একটা সময় এই খাতে দেওয়া হত ৩১৬.৯৩ কোটি টা কা। এখন বেড়ে সেটা দাঁড়িয়েছে ৪১১ কোটি টাকা। কোথাও বরাদ্দ কমানো হয়নি। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজুর দাবি, নতুন বাজেট খেলাধুলোর উন্নতিতে সাহায্য করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও নতুন অর্থমন্ত্রীকে তাঁর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ক্রীড়ামন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy