মহড়া: বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শিবিরে নেমার। ছবি: এএফপি
বিশ্বকাপ শুরুর আগে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য ব্রাজিলভক্তের মুখে হাসি ফোটালেন ফাবিও মাহসেরেদিয়ান।
ফাবিও ব্রাজিল বিশ্বকাপ দলের কোচ তিতের অত্যন্ত প্রিয় এক জন মানুষ। তিনিই ফিটনেস কোচ। স্বভাবতই এমন এক জন যখন বললেন, নেমার দ্য সিলভা স্যান্টোস জুনিয়র প্রত্যাশার চেয়েও বেশি তাড়াতাড়ি বিশ্বকাপ মঞ্চের জন্য তৈরি হচ্ছেন, তখন ব্রাজিল সমর্থকদের আশ্বস্ত হওয়ারই কথা। এমনকি এমনও জানালেন ফাবিও, ১৭ জুন রাশিয়ায় সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেই নেমারকে দেশের জার্সিতে খেলতে দেখা যেতে পারে।
এতটা বিশ্বাস করা কঠিন মনে হলেও ফাবিও কিন্তু প্রবল আশাবাদী। তাঁর দাবি, ‘‘আমরা নিজেরাও ভাবিনি নেমার এত তাড়াতাড়ি উন্নতি করবে।’’ ফরাসি লিগ ওয়ান-এ মার্সেইয়ের সঙ্গে ম্যাচে গোড়ালির হাড় ভাঙে নেমারের। অস্ত্রোপচার হয়। সেই সঙ্গে দীর্ঘ দিন রিহ্যাবও চলেছে। স্বভাবতই বিশ্বকাপে কতটা সুস্থ নেমারকে খেলতে দেখা যাবে, তা নিয়ে সংশয় ছিলই। তবে ফাবিওর কথায়, নিশ্চয়ই উদ্বেগ অনেকটাই কমবে। তিনি আরও বলেছেন, ‘‘চিন্তা করবেন না। বিশ্বকাপ শুরুর আগেই নেমার পুরো দলের সঙ্গে ম্যাচ খেলে অনুশীলন করতে পারবে। আর রাশিয়ায় তো একেবারে তৈরি হয়েই যাবে।’’
ফাবিওর আরও কথা, ‘‘আপনারা শুনলে অবাক হবেন, নেমার এখনই বল নিয়ে অনুশীলন শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, ড্রিবলিংও করছে। এখন আমাদের একটাই লক্ষ্য, যত দ্রুত সম্ভব ওকে সেরা জায়গায় নিয়ে যাওয়া। আপাতত আমাদের বিশ্বকাপ দলের সবাই সেই চেষ্টাই করছে।’’
জুন মাসের ৩ ও ১০ তারিখ ব্রাজিল দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ক্রোয়েশিয়া এবং অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে। এই দু’টি ম্যাচেও কি খেলতে পারেন নেমার? ফাবির জবাব, ‘‘না, এতটা আশা করা ঠিক হবে না। আমি অন্তত দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারছি না যে এই ম্যাচগুলোতেও ও খেলবে।’’
ফাবিও মনে করেন, নেমার নিজের খেলাকে যে উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারেন, তাতে তাঁর পক্ষে রাশিয়াতেও দারুণ কিছু করা অসম্ভব নয়। যদিও যোগ করেছেন, ‘‘ভীষণ তাড়াতাড়ি নেমার খেলার জায়গায় চলে আসছে এটা ঘটনা। কিন্তু বিশ্বকাপের আগে কত দ্রুত মাঠে নেমে ম্যাচ খেলতে পারবে তা বলা কঠিন।’’
প্রসঙ্গত, ২০১৪ বিশ্বকাপে নেমারকে ভুগিয়েছিল পিঠের ব্যথা। সেমিফাইনালে খেলতেই পারেননি। সেই ম্যাচ জার্মানির কাছে ব্রাজিল ১-৭ হারে। নেমার যা নিয়ে বলেছিলেন, ‘‘যত দিন বেঁচে থাকব তত দিন সেই হারের স্মৃতি কষ্ট দেবে।’’ এখন দেখার রাশিয়ায় প্রত্যাশাপূরণ করে নেমার সেই ক্ষতে সত্যিকারের প্রলেপ দিতে পারেন কি না। আর ফাবিওর মন্তব্য, ‘‘আগে তো মাঠে নামুক। পুরোপুরি সুস্থ হয়েছে কি না সেটা একমাত্র বোঝা যাবে নেমার ম্যাচ খেলতে পারলে।’’
নেমারের দ্রুত সুস্থ হওয়ার খবরে উচ্ছ্বসিত হলেও রিভাল্ডো বলেছেন, ‘‘যতই সুস্থ হোক, মনে একটা ভয় থাকবেই। বিশ্বকাপের মতো আসরে মনে ভয় নিয়ে ভাল খেলা যায় না। জানি না, এটা নিয়ে ব্রাজিল দলে সমস্যা তৈরি হবে কি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy