ভারতীয় ফুটবলে ফের বড় ধাক্কা!
জেসিটি, মহীন্দ্রার মতোই এ বার টিম গুটিয়ে নিচ্ছে পুণে এফসি এবং ভারত এফসি। পুণে-ই হল ভারতের একমাত্র ফুটবল ক্লাব, যারা এএফসি লাইসেন্সিংয়ের যাবতীয় শর্তপূরণ করেছে। ভারত এফসি আবার ফেডারেশনেরই ফ্র্যাঞ্চাইজি টিম। যারা টাকা দিয়ে আই লিগ খেলে। যাদের অবনমন নেই। এ দিনের কাণ্ডে ফেডারেশন কর্তাদের চূড়ান্ত ব্যর্থতা আরও একবার সামনে আসছে। এমনিতেই আই লিগে টিম কমতে কমতে এসে দাঁড়িয়েছে ১১-এ। তিন বছর আগেও যেখানে ১৪ দলের আই লিগ হত। এ বার কি তবে দেশের সেরা ফুটবল লিগ ৯ টিমের? ফেডারেশন কর্তাদের মুখে যথারীতি কুলুপ। ভারতীয় ফুটবলে এহেন বিপর্যয়ের দিন আইলিগ সিইও সুনন্দ ধর, ফেডারেশন সচিব কুশল দাস কিংবা অন্যতম ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্ত— কেউ ফোন ধরলেন না। শোনা যাচ্ছে, ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেল পুণে এবং ভারত এফসি মিলিয়ে একটা দল করতে চাইছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে তড়িঘড়ি ২৪ অগস্ট কোর কমিটির সভাও ডাকা হয়েছে। যদিও ওই দুই দলের ভারতীয় ফুটবলারদের ভবিষ্যত নিয়ে এখনই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এত ফুটবলার এখন কোন ক্লাবে যাবেন? কিন্তু নিরুত্তর শীত ঘুমে থাকা ফেডারেশন!
পুণে এবং ভারত এফসি-র এমন সিদ্ধান্তের পিছনে কারণ কী? বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, আইএসএলকে যে ভাবে প্রচারের আলোয় নিয়ে আসা হচ্ছে, এবং ফেডারেশনের কর্তারা যে ভাবে এই বাণিজ্যিক টুর্নামেন্টের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন, তাতেই বিরক্ত এই দুই আই লিগ টিমের কর্তৃপক্ষ। পুণে এফসি কর্তা চিরাগ তন্না ফোনে শুধু বললেন, ‘‘আমাদের কিছু সমস্যা আছে। তবে এখনই কিছু বলতে চাই না। সাংবাদিক সম্মেলনে আমাদের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সব জানাব।’’
এই পরিস্থিতিতে ময়দানের দুই প্রধানের কর্তারা আবার মহমেডান এবং ডেম্পোকে আই লিগ খেলার ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য সরব হয়েছেন। ইস্টবেঙ্গলের অন্যতম শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার যেমন বললেন, ‘‘এ দেশে ফুটবলকে বাঁচাতে হলে আই লিগে টিম বাড়াতে হবে। মহমেডান আর ডেম্পোকে আই লিগে ঢোকানোর দাবি তুলব। প্রস্তাব দেব, প্রতিটা দলের মধ্যে তিন বার করে খেলা হোক।’’ মোহনবাগান অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত বলছেন, ‘‘লাইসেন্সিং নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে দরকার ফুটবলটাকে বাঁচানো। মহমেডানের অসংখ্য সমর্থক, ওদের সুযোগ না দেওয়ার কারণ নেই।’’
বুধবারে কলকাতা লিগ
ইস্টবেঙ্গল বনাম আর্মি একাদশ (ইস্টবেঙ্গল, ৩-৩০)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy