বিশ্রাম: হাল্কা মেজাজে স্ত্রী ও পোষ্যের সঙ্গে রোহিত শর্মা। ছবি: টুইটার
হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট কাটিয়ে ফিরে এসে দুরন্ত ফর্মে ব্যাট করে চলেছেন রোহিত শর্মা। ভারতীয় টিমের ওয়ান ডে ওপেনার এই ফর্মটাই ধরে রাখতে চান। ‘‘আসলে টিম সব সময় ওপেনারদের ওপর একটু বাড়তি নির্ভরশীল থাকে। টিম সব সময় চায় শুরুটা যেন ভাল হয়। টিমের সাফল্যে ওপেনারদের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়। তাই আমার কাজটা হল ওপেনার হিসেবে যত বেশি সম্ভব রান করে যাওয়া,’’ নাগপুরে পঞ্চম ওয়ান ডে-তে টিমকে জিতিয়ে উঠে বলেছেন রোহিত।
আইপিএলে ভাল ফর্মে ছিলেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও। এর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বিশ্রাম নিলেও প্রথমে শ্রীলঙ্কা এবং তার পরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রান পেয়েছেন। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে রানের মধ্যে আছেন রোহিতের সঙ্গী ওপেনার অজিঙ্ক রাহানেও। রোহিত জানাচ্ছেন, রাহানের সঙ্গে ব্যাট করাটা তাঁর কাছে বেশ উপভোগ্য। নাগপুর ম্যাচ শেষে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘আমি আর অজিঙ্ক মুম্বইয়ের হয়ে অনেক ম্যাচ একসঙ্গে খেলেছি। আমরা পিচে নিজেদের মধ্যে অনেক আলোচনা করি। কখন ঝুঁকি নিতে হবে, কখন খুচরো রান নিয়ে খেলতে হবে, এ সব নিয়ে আলোচনা করি। এই ছোট ছোট ব্যাপারগুলোই একটা বড় পার্টনারশিপ গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।’’
রোহিত-রাহানে জুটিকে এখন দেখা যাচ্ছে শিখর ধবন দলের বাইরে থাকায়। এ ছাড়াও রিজার্ভ বে়ঞ্চে আছেন মহম্মদ শামি, উমেশ যাদব, রবীন্দ্র জাডেজা, আর. অশ্বিনদের মতো ক্রিকেটার। আপনি কি মনে করেন, ভারতীয় ক্রিকেটে এত ভাল রিজার্ভ বেঞ্চ বহুদিন দেখা যায়নি? রোহিত বলছেন, ‘‘দেখুন, এই নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে পারব না। কারণ আমি নিজে ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে বছর দশেক হল জড়িত।’’
আরও পড়ুন: টি২০ সিরিজে অজি বধে ভারতের ১৫ সেনা কে কে জানেন?
এর পরে রোহিত যোগ করছেন, ‘‘এই টিমের রিজার্ভ বেঞ্চও খুব ভাল। যে সুযোগ পেয়েছে, সে এসেই পারফর্ম করেছে। এতেই বোঝা যায় আমাদের শক্তি কত বেশি। বোঝা যায়, আমাদের দলে যারা আছে, তারা সব সময় চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি।’’ এর পরেই একটা উদাহরণ দিয়ে রোহিত বলেছেন, ‘‘শেষ ম্যাচটায় যেমন যুজবেন্দ্র চহাল খেলতে পারল না। কিন্তু দেখুন, ওর জায়গায় অক্ষর পটেল এসে কী ভাবে পারফর্ম করে গেল। রাহানে এসে ধারাবাহিক ভাবে রান পেল। এতেই বোঝা যাচ্ছে, টিমটার ভবিষ্যৎ কতটা উজ্জ্বল।’’
একই সঙ্গে রোহিত প্রশংসা করছেন তাঁর বোলারদের। ভারতীয় টিমের সহ-অধিনায়ক বলছেন, ‘‘আমাদের দলের বোলারদের মানসিকতা একই রকম। সবাই জানে, উইকেট নিতে হবে। এবং ওরা সেটাই করছে। নাগপুরে অস্ট্রেলিয়াকে আড়াই শো রানের কমে আটকে রাখা সহজ কাজ নয়। এর আগের ম্যাচগুলোতেও আমাদের বোলাররা অস্ট্রেলিয়াকে আটকে দিয়েছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy