কেকেআরের বিদায়ে আমার মনে হচ্ছে, আন্দ্রে রাসেলকে চোটের জন্য না পাওয়াটাই ওদের ভাগ্যে বড় ধাক্কা দিয়েছে। রাসেল মি়ডল অর্ডারে একটা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ছিল। ফলে ও না থাকায় ইউসুফ পাঠানের ঘাড়ে বাড়তি দায়িত্ব পড়ে চাপের মুখে রান করার। রাসেল কেবল ব্যাটে নয়, বোলিংয়েও দলের একটা শক্তি ছিল। সব মিলিয়ে গম্ভীরের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিকল্প ছিল ও। কেকেআর ওকে টুর্নামেন্টের বিজনেস এন্ডে হারায়। এবং আমি মনে করি সেটাই ওদের হারিয়ে দিয়েছে। কেকেআরের কাছে আর একটা ধাক্কা ছিল নতুন নারিন। নতুন বোলিং অ্যাকশনের নারিন। এ বছর ও সেই আগের মতো ছিল না। উল্টে ওর চার ওভারই বিপক্ষকে হাত খোলার লাইসেন্স দিয়েছে।
বেঙ্গালুরু আবার আরও বেশি ছন্দ পাচ্ছে। সঙ্গে আত্মবিশ্বাসও। বিশেষ করে ওদের কোয়ালিফায়ার ম্যাচের পরে। বেঙ্গালুরুকে ফাইনালে তুলতে সে দিন একটা সময় অতিমানবীয় চেষ্টার দরকার ছিল। অর্ধেক ইনিংস খুইয়ে জেতার টার্গেট ছোঁয়াকে প্রায় অবিশ্বাস্য দেখাচ্ছিল। কিন্তু তখন এবি ডে’ভিলিয়ার্স এমন একটা ইনিংস খেলল যেটা প্রত্যেক ব্যাটসম্যান খেলার স্বপ্ন দেখে। টেনশনে থাকা বেঙ্গালুরু ডাগ-আউট ডে’ভিলিয়ার্সের প্রতিটা অতিমানবীয় শটের পর যে ভাবে উল্লাসে ফেটে পড়ছিল, সেটাতেই বোঝা গিয়েছে ফাইনালে উঠতে কতটা মরিয়া ছিল। কোনও সন্দেহ নেই, ডে’ভিলিয়ার্সের ওই ভয়ঙ্কর মূর্তির সামনে ফিল্ডিং টিমের অধিনায়ক সুরেশ রায়নাকে অসহায় দেখাচ্ছিল। গুজরাতের বোলাররা বুঝতে পারছিল না থ্রি সিক্সটি ডিগ্রি ব্যাটসম্যানকে কোথায় বল করবে!
গুজরাত আরও একটা ম্যাচের জন্য বেঁচে রয়েছে। আজ দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ওরা হায়দরাবাদকে টপকালে রবিবার ফের চিন্নাস্বামীতে বেঙ্গালুরুকে সামনে পাবে। গুজরাত এমনিতে বেশ দক্ষ টিম। যে জিনিসটা ওদের কামব্যাক ঘটানোর প্রশ্নে নিজেদের উপর বিশ্বাস তৈরি করবে। কিন্তু বেঙ্গালুরুর মোকাবিলা করাই যেন এখন ভয়ের!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy