সচিন তেন্ডুলকর।
বিশ্বকাপ ফাইনালের ভাগ্য ঠিক করে দেওয়া বিতর্কিত সেই বাউন্ডারি আইন উঠিয়ে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি, তাকে স্বাগত জানালেন সচিন তেন্ডুলকর।
বিশ্বকাপ ফাইনালে ইংল্যান্ড-নিউজ়িল্যান্ড দ্বৈরথ সুপার ওভারে টাই হয়ে যাওয়ার পরে ম্যাচে বেশি বাউন্ডারি মারার বিচারে চ্যাম্পিয়ন হয় অইন মর্গ্যানের দল। কিন্তু সেই নিয়ম নিয়ে প্রচুর বিতর্ক হয়েছিল। স্বয়ং সচিনও এই নিয়মের বিপক্ষে মুখ খুলেছিলেন। দিন দুয়েক আগে, আইসিসি জানিয়ে দেয় এই নিয়ম বাতিল করে দেওয়া হল। এ বার থেকে আইসিসি পরিচালিত প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল বা ফাইনালে সুপার ওভারও যদি টাই হয়,তা হলে আবার একটা সুপার হবে। এই ভাবেই চলতে থাকবে, যত ক্ষণ না পর্যন্ত কোনও দল বেশি রান করে ম্যাচ জিতে নেয়।
বুধবার সচিন টুইট করেন, ‘‘আমার মনে হয় এ রকম একটা সিদ্ধান্তের প্রয়োজন ছিল। যখন দুটো দলকে কোনও ভাবেই আলাদা করা যায় না, তখন এ রকম একটা রাস্তা বার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’
বিশ্বকাপ ফাইনালে ইংল্যান্ড-নিউজ়িল্যান্ড ম্যাচ সুপার ওভারেও টাই হয়ে যাওয়ার পরে দেখা যায়, মর্গ্যানের দল ২২টি চার এবং দুটি ছয় মেরেছে। অন্য দিকে নিউজ়িল্যান্ড মেরেছে ১৬টি চার। এর পরে ইংল্যান্ডকে জয়ী ঘোষণা করে দেওয়া হয়। ফাইনালের দু’দিন পরে সচিন প্রস্তাব দিয়েছিলেন, বাউন্ডারির সংখ্যা না দেখে প্রয়োজনে আরও একটা সুপার ওভার হওয়া উচিত। সচিনের সেই প্রস্তাবই এ বার
মেনে নিল আইসিসি।
শুধু সচিনই নন, অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটারই আইসিসির এই নিয়মের সমালোচনা করেছিলেন। কেউ কেউ মনে করেন, একটু দেরিতেই ঘুম ভাঙল আইসিসির। যেমন নিউজ়িল্যান্ডের প্রাক্তন ব্যাটিং কোচ ক্রেগ ম্যাকমিলান। একই বক্তব্য নিউজ়িল্যান্ডের অলরাউন্ডার জিমি নিশামেরও। যিনি সুপার ওভার টাই হওয়ার সময় ব্যাট হাতে ক্রিজে ছিলেন। তিনি মজা করে টুইট করেন, ‘‘এর পরের কর্মসূচি হল টাইটানিকের জন্য আরও ভাল দূরবিনের ব্যবস্থা করা। যাতে আগে ভাগে হিমশৈল দেখা যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy