দাপট: যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে ছুটে চলেছে সেরিনার জয়রথ। ছবি: রয়টার্স
উঠতি টেনিস খেলোয়াড়দের জন্য যেন একটা সতর্কবার্তা জারি করলেন সেরিনা উইলিয়ামস। ২৩ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ীর ঘোষণা, তাঁর মেয়ে অলিম্পিয়া টেনিস ভালবাসে এবং অদূর ভবিষ্যতে হয়তো তাকে টেনিস র্যাকেট হাতে কোর্টে দেখা যাবে।
সোমবার রাতে যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পরে সেরিনা বলেছেন, ‘‘আমার মেয়ে টেনিসের ভক্ত। টেনিস দেখতে ও খুব পছন্দ করে। আমি প্র্যাক্টিস করার সময় ও দেখে।’’ তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে স্লোয়ান স্টিফেন্সের বিরুদ্ধে সেরিনা যখন লড়াই করছেন স্টেডিয়ামে দেখা গিয়েছিল অলিম্পিয়াকে। বাবার কোলে চড়ে বসেছিল সে। মার দিকে হাসতে হাসতে হাতও নাড়ছিল। আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে মারিয়া সাক্কারিকে হারিয়ে উঠে সেরিনা আরও বলেছেন, ‘‘এই কোর্টে যখন আমি প্র্যাক্টিস করি ওর খুব ভাল লাগে। কারণ ও বসে বসে দেখতে পারে। ওর বয়স এখন তিন বছর। আমার তখন যেন মনে হয়, আমার কেরিয়ার থাক, ওর হাতে একটা র্যাকেট তুলে দিই। সত্যি বলছি, ওর বাবাকেও সেটা আগের দিন বলছিলাম।’’
সেরিনাকে এ বার আর এক মা-এর সঙ্গে লড়তে হবে। তিনি সেতানা পিরোনকোভা। বুলগেরিয়ার খেলোয়াড় সেতানা মা হওয়ার তিন বছর পরে কোনও প্রতিযোগিতায় খেলতে নেমেই শেষ আটে উঠলেন। পাশাপাশি মঙ্গলবার মার্কিন খেলোয়াড় জেনিফার ব্র্যাডি ফের চমকে দিলেন। ৬-৩, ৬-২ তিনি উলিয়া পুতিনসেভাকে হারিয়ে প্রথম বার সেমিফাইনালে উঠলেন।
সেরিনার মতো আর এক টেনিস তারকাও আগ্রহের কেন্দ্রে এ বার যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে। তিনি নেয়োমি ওসাকা। যিনি কোর্টে লড়াইয়ের পাশাপাশি বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন। প্রতি ম্যাচে নামার সময় তাঁর মুখাবরণে থাকছে যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবিদ্বেষের শিকার এক জনের নাম। যে প্রতিবাদ তাঁর কোর্টের লড়াইকে আরও উদ্বুদ্ধ করছে বলে মনে করেন নেয়োমির কোচ উইম ফিসেট।‘‘নিশ্চিত ভাবে এই ব্যাপারটা ওকে সাহায্য করছে। আরও শক্তি দিচ্ছে,’’ বলেছেন ফিসেট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy