লিয়োনেল মেসি।—ছবি রয়টার্স।
স্পেনে কর ফাঁকি দেওয়ার মামলায় অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সামনে পড়ে লিয়োনেল মেসি বার্সেলোনা ছাড়ার কথাও ভেবেছিলেন। যে ঘটনার শুরু ২০১৩-সালে। তখন কিংবদন্তি আর্জেন্টাইন তারকার মনে হয়েছিল, স্পেনে তাঁর সঙ্গে অকারণে খারাপ ব্যবহার করা হচ্ছে।
মেসি বার্সেলোনায় আছেন তেরো বছর বয়স থেকে। এই ক্লাবের সবার্ধিক গোলদাতাকে কর দফতর তাদের বিচারে দোষী সাব্যস্ত করে। বলা হয়, ছবির স্বত্ব বিক্রি করে তিনি এবং তাঁর বাবা জর্জে ২০০৭ থেকে ২০০৯-এর মধ্যে ভারতীয় মুদ্রায় ৩২ কোটি ৭৫ লক্ষ ৮৩ হাজার ২০০ টাকা উপার্জন করেন। যার জন্য কোনও কর দেওয়া হয়নি। বিচারে মেসির ২১ মাস হাজতবাস এবং সঙ্গে প্রায় ১৫ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা জরিমানা হয়। তবে জেল খাটার হাত থেকে বাঁচতে প্রচুর পরিমাণ জরিমানা দিয়ে তিনি মুক্তি পান।
এক সাক্ষাৎকারে এই ঘটনা নিয়ে মেসি বলেছেন, ‘‘বিশ্বাস করুন, তখন সব সময় ক্লাব ছাড়ার কথাই ভাবতাম। সেটা বার্সেলোনার জন্য নয় অবশ্যই। আসলে স্পেন থেকেই চলে যেতে চেয়েছিলাম। তখন মনে হয়েছিল, আমার সঙ্গে খুবই খারাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। তখনই ক্লাব ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যাওয়ার ইচ্ছেটা হয়েছিল।’’ যোগ করেছেন, ‘‘অনেক ক্লাবেই আমার জন্য দরজা খোলা ছিল। বলছি না, সরকারি ভাবে আমাকে কেউ কেউ প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু ইচ্ছে করলেই আমি কোথাও না কোথাও চলে যেতে পারতাম। আসলে সবাই ধরে নিত যে, বার্সাতেই থাকতে চাই চিরকাল। কিন্তু পরিস্থিতির চাপেই বার্সা ছাড়ার কথা ভাবতে বাধ্য হয়েছিলাম।’’ এখানেই থামেননি মেসি। আরও বলেন, ‘‘কর দফতর আমাকে দিয়ে নাকি উদাহরণ তৈরি করতে চেয়েছিল। তারা বোঝাতে চেয়েছিল, এর পর থেকে আর কেউ ছাড় পাবে না। যা আমার কাছে চরম অস্বস্তিকর অবস্থা হয়ে উঠেছিল।’’
এই সাক্ষাৎকারে মেসি অন্য আরও নানা বিষয়ে মুখ খুলেছেন। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো প্রসঙ্গে তাঁর কথা, ‘‘আমার ইচ্ছে ছিল রোনাল্ডো রিয়াল মাদ্রিদেই থাকুক। ও থাকা মানে লা লিগার মতো টুর্নামেন্ট আরও উজ্জ্বল হওয়া। তা হলে এল ক্লাসিকো নিয়েও লোকের মধ্যে বেশি উত্তেজনা থাকত।’’ মেসি যোগ করেছেন, ‘‘রিয়াল মাদ্রিদে এক ঝাঁক দারুণ সব ফুটবলার খেলে। সব সময়ই আমাদের কাছে ওরা কঠিন একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু রোনাল্ডো চলে যাওয়ায় ওদের শক্তি অনেক কমে যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy