কাশ্মীরি ফুটবলের ইতিহাস তৈরির দিনে মাঠের পাশে বরফ সরানোর যন্ত্র তৈরি রাখছেন রিয়াল কাশ্মীরের কর্তারা। যাতে দ্রুত তা সরানো যায়। আজ মঙ্গলবার আই লিগে রিয়ালের সঙ্গে খেলা চার্চিল ব্রাদার্সের। সেখানে বড় সমস্যা বরফ আর ঠান্ডা।
জাতীয় লিগ বা আই লিগ কখনও হয়নি কাশ্মীরে। গুলি, বন্দুক, আর মৃত্যু মিছিলের রাজ্যে প্রথম বারের ফুটবল ম্যাচ নিয়ে তাই আগ্রহ তুঙ্গে। আর সেই সময়ই প্রায় আঠারো বছর পর শ্রীনগরে বরফ পড়েছে। রবিবারও মাঠের বিভিন্ন জায়গায় থোকা থোকা বরফ পড়েছিল। সবুজ কৃত্রিম ঘাসে সেই অবস্থায় অনুশীলন করে দু’দল। শ্রীনগর থেকে ফোনে কাশ্মীরের দলটির সহকারী কোচ সুমন দত্ত বলছিলেন, ‘‘প্রচণ্ড ঠান্ডা। মাঝেমধ্যে দুই ডিগ্রি নেমে যাচ্ছে তাপমাত্রা। নভেম্বরে এখানে বরফ পড়ে না। এ বার পড়েছে। তবে আজ (সোমবার) আকাশে কালো মেঘ থাকলেও বরফ পড়েনি।’’ সুমনের কাছ থেকে ভারতীয় ফুটবল নিয়ে তথ্য নেন রিয়ালের স্কটিশ কোচ ডেভিড রবার্টসন। সেই ডেভিড ফুটবলারদের বলে দিয়েছেন, ‘‘ঘরের মাঠের এই ঠান্ডার সুবিধাটা কাজে লাগাতে হবে।’’ ঠান্ডা যে কতটা ভাবাচ্ছে বিভিন্ন দলকে, তা বোঝা গিয়েছে তেরো বছর ধরে আই লিগ খেলা মোহনবাগান অধিনায়ক শিল্টন পালের কথা শুনে। মোহনবাগানে এ দিন কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তীদের সঙ্গে সভা ছিল ফুটবলারদের। সেখানে সনি নর্দে, ইউতা কিনওয়াকি, দিপান্দা ডিকারা নিজেদের ব্যর্থতা নিয়ে কাটাছেঁড়া করেন। শিল্টন বলছিলেন, ‘‘আমাদের পরের ম্যাচ ইন্ডিয়ান অ্যারোজের বিরুদ্ধে। তার পরই তো কাশ্মীরের ঠান্ডায় গিয়ে পড়তে হবে। শুধু আমাদের নয় সব দলেরই বড় সমস্যা হবে ঠান্ডা।’’
মেহেরাজউদ্দিন, ইসফাক আমেদের মতো তারকা ফুটবলার উঠে এসেছেন কাশ্মীর থেকে। তবে তাঁরা নিজের রাজ্যের ক্লাবের হয়ে খেলার সুযোগ পাননি। এ বারের কাশ্মীরের দলে পাঁচ বিদেশির মতো পাঁচ বঙ্গসন্তানও খেলেন। কলকাতায় এসে গত বছর ট্রায়ালে পছন্দ করে আভাস খাটুয়া, ঋত্বিক দাস, সন্দীপ পাল, শম্ভু মিস্ত্রি এবং সহকারী কোচ-ফুটবলার হিসাবে সুমন দত্তকে দলে নিয়েছিলেন কাশ্মীরের কোচ। তিন বছর কোচ আছেন ডেভিড। দলকে তুলেছেন আই লিগে। কলকাতার চেনা বিদেশি বাজি আর্মান্দের সঙ্গে খেলবেন কোচের ছেলে মাসানি রবার্টসনও।
গতবারের চ্যাম্পিয়ন মিনার্ভা পঞ্জাবকে তাদের মাঠে গিয়েই হারিয়ে এসেছে রিয়াল। প্রথম ম্যাচেই। দলের কোচ ডেভিড বলছিলেন, ‘‘ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচ জিতেও ইতিহাস তৈরি করতে হবে আমাদের। সেই চেষ্টাই করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy